বিনোদন কেন্দ্রের অভাবে খুলনাবাসীর ঈদ আনন্দে ভাটা



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনাবাসীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে রূপসা ব্রিজ | ছবি: বার্তা২৪

খুলনাবাসীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে রূপসা ব্রিজ | ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানেই আনন্দ-আয়োজনে সময় কাটানো। খুশির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিটি মানুষই সাধ্য অনুযায়ী ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঢুকে আনন্দ উৎসবে শামিল হন। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় খুলনাবাসীর ঈদ আনন্দে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খুলনাবাসী ও দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষেরা। নগরীতে হাতেগোনা কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র থাকলেও তাতে নেই বিনোদন পাওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা।

ঈদের ৩য় দিন শুক্রবার (৭ জুন) সরেজমিনে খুলনা মহানগর ঘুরে দেখা যায়, খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল। শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের নর-নারী ও যুগলদের উপস্থিতিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে। ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির কারণে অনেকেই ভ্রমণে বের হতে পারেননি। যে কারণে ঈদ আনন্দ উদযাপনে ঈদের তৃতীয় দিনেরটিকে বেছে নিতে কেউ ভুল করেননি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/07/1559925347036.jpg
ঈদে বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে সবচেয়ে বেশি মুখর ছিলো, রূপসা নদীর ওপর খানজাহান আলী (র.) সেতু, রূপসা সিটি বাইপাস, ৭নং ঘাট রুজভেল্ট জেটি, খালিশপুরের ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক, মুজগুন্নি ঈদ মেলা, গিলাতলা ক্যান্টনমেন্ট চিড়িয়াখানা, জাতিসংঘ শিশুপার্ক, হাদিস পার্ক, শেখ রাসেল ইকো পার্ক, ভূতের আড্ডা ও ফরেস্ট ঘাটে।

তবে এসব পার্কের ভেতরে শুধুমাত্র নগরের খালিশপুরের ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নানা উপকরণ (রাইড) রয়েছে। অন্য কোনো বিনোদন কেন্দ্রেই নেই শিশুদের উপযোগী উপকরণ। নগরের মুজগুন্নির শিশুপার্কে শিশুদের জন্য নানা উপকরণ (রাইড) থাকলেও কিছুদিন আগে পার্কটি সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পরিবারের সঙ্গে খানজাহান আলী (র.) সেতুতে ঘুরতে আসা মেহজাবিন মুবিনা বার্তা২৪. কমকে বলেন, রূপসা ব্রিজ কোনো বিনোদন কেন্দ্র না। খুলনায় তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। ঈদের ছুটিতে একটু নির্মল বাতাস আর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে মানুষ মূলত ব্রিজের এখানে আসে। ব্যাপারটা এমন যে, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছি। বিনোদন কেন্দ্র নেই বলে আমরা রূপসা ব্রিজকে বিনোদন কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছি।

পরিবার পরিজন নিয়ে শেখ রাসেল ইকো পার্কে ঘুরতে আসা জাবি ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, খুলনা নগরীর আশপাশে ভালো কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। নগরীতে যে কয়টা পার্ক আছে তাতে শিশুদের জন্য কিছু নেই। শেখ রাসেল পার্ক নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলাম আমরা। কিন্তু প্রায় ২ বছরেও পার্কের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গভাবে পার্কটি চালু করার দাবি জানান তিনি।

৭নং ঘাট রুজভেল্ট জেটিতে ঘুরতে আসা সাজ্জাদ আহমেদ বলেন, খুলনা বেশ ছোট শহর। তার উপরে কোনো বিনোদনের জায়গা নেই। গতকাল সিনেমা হলে গিয়েছিলাম। তাতে যা পরিবেশ, সেখানে বসার উপায় নেই। বিনোদন কেন্দ্র বলতে নদীর পাড়কেই বেছে নিচ্ছে সবাই।

ঢাকা থেকে খুলনায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে আসা চাকরিজীবী মামুন রহমান বলেন, ঈদ করতে খুলনায় এসেছি। বৃষ্টির কারণে প্রথম দু’দিন বের হতে পারিনি। আজ জাতিসংঘ পার্কের মেলায় গিয়ে দেখলাম সেখানে কয়েকটা দোলনা, স্লিপার আর কয়েকটা চটপটির দোকান। এই হচ্ছে বিনোদনের ব্যবস্থা। এর থেকে ঢাকার ফুটপাতে অনেক বেশি বিনোদনের ব্যবস্থা আছে!
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/07/1559925383737.jpg
নামমাত্র বিনোদন কেন্দ্রের কারণে বিনোদনপ্রেমীরা বিনোদনকেন্দ্র বিমুখ হচ্ছে খুলনায়। ঈদকে কেন্দ্র করে কাছে-দূরের যেকোন দর্শনীয় স্থানে প্রিয় মানুষদের নিয়ে ভ্রমণযাত্রা করা ও সেখানে স্বপ্নের মতো কিছু সময় কাটানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খুলনাবাসী।

নাগরিক আন্দোলনের সংগঠন জনউদ্যোগ খুলনার আহ্বায়ক কুদরত-ই-খুদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, শুধু উৎসবই না সারাবছরই নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন। ১৬ লাখ মানুষের আবাসস্থলে চাহিদা অনুসারে খুলনায় পর্যাপ্ত বিনোদন কেন্দ্র নেই। বিশেষত উৎসবের সময়টায় বিনোদন থেকে বেশি বঞ্চিত হন খুলনাবাসী। তবুও আমরা আশাবাদী, কারণ বর্তমান সরকার এদিকে খেয়াল রাখছেন।

খুলনা জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন বলেন, খুলনায় প্রায় দেড়শ’ বিঘা জায়গার উপর শেখ রাসেল ইকোপার্কটি স্থাপন করা হচ্ছে। কাজটি শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য এটি হবে একটি মডেল পার্ক। খুলনার মানুষের বিনোদনের জন্য আমাদের আরো অনেক পরিকল্পনা আছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাস্তবায়ন হবে।

   

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বায়েজিদের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০মিনিটে বায়েজিদে একটি কুরিয়ান পোশাক কারখানায় আগুন লাগার খবর পায়। প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ বর্তমানে ৫টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

;

বগুড়ায় মহাসড়কে চলছে উন্নয়ন কাজ, ঈদে দুর্ভোগের আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশে চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ঈদে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি পয়েন্টে যানজটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক বাসচালক। আর যানজটে তীব্র ভোগান্তিতে পড়বে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা। তবে বগুড়া জেলা পুলিশ মহাসড়কে যানজট হতে পারে এমন ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকা- রংপুর মহাসড়কে বগুড়া অংশে ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলেও এবার কোন যানজট হবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যানজট হয় এমন স্থান গুলোতে ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস চালু হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ মার্চ মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন বিব্লক আন্ডার পাস, বগুড়া শহর সংলগ্ন ফুলতলা আন্ডার পাস এবং বগুড়া তিনমাথা রেলগেট ফ্লাই ওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মহাসড়কে যে সকল পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ চলছে সেই স্থান গুলোতে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক করা হয়েছে। এছাড়াও বগুড়া শহরতলীর বনানী এবং মাটিডালী মোড়ে দ্রুত গতিতে সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই দুই স্থানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

রংপুর -ঢাকা রুটে চলাচলকারী টি আর পরিবহনের চালক সিকদার, শ্যামলী পরিবহনের চালক করিম, একতা পরিবহনের চালক সাব্বির বলেন, মহাসড়কের দক্ষিণে চান্দাইকোনা থেকে উত্তরে রহবল পর্যন্ত মহাসড়কে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি স্থানে এবার যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তারা বলেন, মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড, ভটভটি চলাচল এবং মালবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদেরকে যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

এছাড়াও মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝে বালুর ঢিবি করে রাখার কারণে দুর্ঘটনা ছাড়াও যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রাখা যাবে না। ফলে ওই সকল স্থান গুলোতে যানবাহনের জট লেগে থাকতে পারে।

এদিকে বগুড়া জেলা পুলিশ মহাসড়কের বগুড়া অংশে যানজট হতে পারে এমন ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো হচ্ছে, শেরপুরের চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার, শেরপুরের ধুনট মোড়, শাজাহানপুরের লিচুতলা বাইপাস ও বনানী মোড়, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, বগুড়া শহরতলীর চারমাথা বাস টার্মিনাল, মাটিডালী এবং শিবগঞ্জের মোকামতলা বন্দর।

বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদেরকে যেন মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পয়েন্ট গুলোতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে যানবাহন চলাচল স্বভাবিক রাখতে কাজ করবে।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ সমন্বয় করে মহাসড়ক মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কাজ করে যাবে। আশা করি এবার যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শিশুদের গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনাসভা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন এবং একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি শিশুদের অত্যাধিক ভালবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর আদর্শ ধারণ করে প্রত্যেকটি শিশুকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মনোভাব নিয়ে বড় হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’জনেই আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগের জন্য তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, চিত্রনায়িকা মেহজাবিনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনাসভার শেষে মন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের পক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেন।

;

প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় কানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার দায়ে এক পরীক্ষার্থীসহ দুইজনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার ও তার ভাই আব্দুল জলিল। তারা জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার সন্তান।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী ছিলেন রিনা আক্তার। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পেরোলেও প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে ছিলেন তিনি। তখন পরীক্ষাকেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে রিনার দেহ তল্লাশি চালায়। এতে কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ খবর দিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও তার ভাই আব্দুল আজিজকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার তার কানে ডিভাইস লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ সময়ের দশ মিনিট পূর্বে উত্তর লেখার চেষ্টা করতেন। এটি করতে তার ভাই সাহায্য করেছেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আর কেউ থাকলে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।

;