তীব্র খরতা‌পে স্ব‌স্তি খুঁজতে হা‌তির‌ঝিলে ভিড়



রা‌কিবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
হাতিরঝিল প্রকল্প, ছবি: বার্তা২৪.কম

হাতিরঝিল প্রকল্প, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর দর্শনীয় স্থানগু‌লোর অন্যতম হা‌তির‌ঝিল। শুধু দর্শনীয় স্থান হ‌য়ে থে‌মে থা‌কেনি বহুল আ‌লো‌চিত হা‌তিরঝিল। হাতির‌ঝিলের চক্রাকার বাস সা‌র্ভিস আর নৌ-প‌রিবহন এ এলাকার মানু‌ষের চলাচলকে ক‌রে‌ছে সহজ। এসবের সঙ্গে চলমান খরতা‌পে সাধারণ মানু‌ষের জন্য স্ব‌স্তির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে হা‌তির‌ঝিল। চার‌দি‌কের সবুজ ঘাস, বাহারি গা‌ছের স‌জিব লতাপাতা তাপদা‌হে পোড়া মানুষ‌কে ছাঁয়া দি‌য়ে চল‌ছে নিঃস্বার্থভা‌বে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রচণ্ড রোদে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নি‌তে আশা মানু‌ষের সঙ্গে আলাপকা‌লে এ স্থানের স্ব‌স্তির কথা শুনা‌লেন তারা।

স‌রেজ‌মি‌নে দেখা যায়, পু‌রো হা‌তির‌ঝিল এলাকার চারপা‌শে আড্ডা দি‌চ্ছেন তরুণ-তরুণীরা, কোথাও গ‌ল্পে ম‌জে‌ছে নানা পেশার নানান বয়‌সী মানুষ। আবার কোথাও রাস্তার পা‌শে প্রাই‌ভেট গাড়ি থা‌মি‌য়ে জি‌রি‌য়ে নি‌তে দেখা গেলো অ‌নেককে। এভাবেই দিনভর নারী-পুরুষ নি‌র্বি‌শেষে সবার স্বস্তির ঠিকানায় পরিণত হয়েছে হা‌তিরঝি‌ল।

এখা‌নকার আশপা‌শের বাসিন্দারা বল‌ছেন, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঝিলপাড়জু‌ড়ে বে‌ড়ে যায় মানু‌ষের আনা‌গোনা। বাড়‌তে থা‌কে মানু‌ষের চাপ। মানু‌ষের ভিড় থাকে রাত অবধি।

‌শেখ সু‌ফিয়ান, নেওয়াজ মুর্শেদ ও মাহমুদুল হাসান না‌মের মধ্যবয়সী তিন বন্ধু জ‌মে‌ছেন আড্ডায়। তাদের স‌ঙ্গে কথা হয় বার্তা২৪.কম-এর এই প্রতিবেদকের।

আলাপকা‌লে হা‌তির‌ঝি‌লে আসার কারণ বল‌তে গি‌য়ে ‌নেওয়াজ ম‌ুর্শেদ ব‌লেন, যে পরিমাণ তাপদাহ চল‌ছে; বাসায় ফ্যা‌নের বাতাসও গরম হ‌য়ে উ‌ঠে‌ছে। বাইরে যত রোদ থাকুক ঝিলপা‌ড়ে ছাঁয়া থা‌কে, সঙ্গে বাতাসও। তাই জোহরের নামাজ প‌ড়ে বসে আছি এখানে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/12/1560292865654.jpg

এ সময় পা‌শে থে‌কে সু‌ফিয়ান ব‌লেন, এখানকার সবই ঠিক আ‌ছে; শুধু পা‌নি‌র গন্ধটা ঠিক কর‌তে পার‌লে হা‌তিরঝিল হ‌বে রাজধানীর বু‌কে নগরবাসীর অন্যতম স্ব‌স্তির জায়গা।

হাতিরঝিলের ভাসমান চা বি‌ক্রেতা নজরুল ব‌লেন, প্রতিদিন এখা‌নে ক‌য়েক শ্রেণির মানুষ ‌দে‌খি। কেউ সকা‌লের দিকে হাঁট‌তে আ‌সে। কেউ সন্ধ্যায় হাঁট‌তে আ‌সে। আবার এক শ্রে‌ণির মানুষ যারা দুপু‌রে শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্য আসে। ত‌বে বে‌শি মানুষ থা‌কে চারটা থে‌কে রাত আটটা পর্যন্ত। আ‌মি আ‌গে অন্য জায়গায় হকারি করতাম। কিন্তু এখা‌নে ২০-২৫ দিন ধরে চা বিক্রি করছি। দে‌খি আরামও আ‌ছে, সারা‌দিন টুকটাক বেচা‌বি‌ক্রিও চ‌লে।

হাওয়া খে‌তে এ‌সে‌ রিক্সাচালক জ‌সিম ব‌লেন, সকা‌লে গা‌ড়ি নি‌য়ে বে‌ড়ি‌য়ে‌ছিলাম। দুপুর পর্যন্ত চালা‌নোর পর প্রচণ্ড গর‌মে আর টিক‌তে পার‌ছিলাম না। প‌রে গা‌ড়ি রে‌খে বের হ‌য়ে আসলাম এখা‌নে। একটু বাতাসে থাক‌লে আরাম পা‌বো।

এইচএস‌সি দ্বিতীয় ব‌র্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমান ব‌লেন, ক্লাস শেষ ক‌রে বন্ধুরা মি‌লে আস‌ছি ঘুরতে। এখা‌নের প‌রি‌বেশটা আড্ডা দেওয়ার মতোই। ঘন্টাখা‌নেক ঘু‌রে ফি‌রে যা‌বো বাসায়।

   

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

;