৯ বছরে পরিবেশ দূষণে জরিমানা আদায় ১৭৭ কোটি
পরিবেশের দূষণের অপরাধে ২০১০ সালে থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৮৭ কোটি তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যার মধ্যে গত ৯ বছরে ১৭৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে পরিবেশ অধিদফতরে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব তথ্য জানান।
পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, চলতি অর্থ বছরে ৭৭৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪৯৯টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৬৯ দশমিক ৮ টন পলিথিন জব্দ এবং পাহাড় কাটার অপরাধে ৩২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান জনবলের তুলনায় কাজের ব্যপ্তি খুবই বেশি। পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে এবং এর জনবল কাঠামোকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা রয়েছে। উদ্যোক্তাদের কারিগরি জ্ঞানের অভাবে শিল্প কারখানা হতে পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যায় না এবং যথাসময়ে পর্যাপ্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং বিষয়।’
রফিক আহাম্মদ বলেন, ‘বিভিন্ন শিল্প কারখানায় সার্বক্ষণিক পরিবীক্ষণ করার জন্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মনিটরিং শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম উইংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।’
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) রুবিনা ফেরদৌসী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিসিজেএফ’র সভাপতি কাউসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, দফতর সম্পাদক ইসমাঈল হোসাইন রাসেল প্রমুখ।