যাত্রী বেশে অটোরিকশা ছিনতাই করতেন তারা
যাত্রী সেজে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া নেওয়া হতো প্রথমে। পরে চালককে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতন করে বা পিটিয়ে আহত করে অটোরিকশা ছিনতাই করা হতো। এরপর চালক বা মালিকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে অটোরিকশা ফেরত দিতেন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। এ চক্রটির মূলহোতা ওয়ালী উল্লাহ জয় ও তার শ্বশুর ছোট শহীদ।
রোববার (১৬ জুন) রাতে রাজধানীর দারুস সালাম, ডেমরা এবং দক্ষিণখান এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ছয়জনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪ এর সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-ওয়ালী উল্লাহ জয়, হারুন অর রশিদ, রুহুল আমিন, জামাল হোসেন, সোহেল খাঁ ও রশিদ খান। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, ‘চক্রটি বেশ কয়েক বছর ধরে সক্রিয়ভাবে রাজধানীতে অটোরিকশা ছিনতাই করত। ছিনতাই চক্রের সদস্যরা কখনও যাত্রী সেজে অটোরিকশা ভাড়া নিতেন। পরে নির্জন জায়গায় গিয়ে চালককে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে যেতেন নিজেদের নির্ধারিত গ্যারেজে। অনেক সময় তারা যাত্রী বেশে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চালককে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে রাস্তায় ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেতেন। আবার অনেক সময় তারা চালক সেজে মালিকের কাছ থেকে অটোরিকশা ভাড়া নিতেন। পরে অটোরিকশা ছিনতাই হয়েছে বলে মালিককে ফোনে জানাতেন।
চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর সেগুলো টাকার বিনিময়ে ফেরত দিতেন তারা। এজন্য চক্রের কয়েকজন সদস্য অটোরিকশা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পরে ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় রফাদফা হতো। একটি অটোরিকশা ছিনতাই করতে পারলে চক্রের সদস্যরা ভাগে ১০ হাজার করে টাকা পেতেন। চক্রের মূলহোতা ওয়ালী উল্লাহ জয়। শ্বশুর ছোট শহীদের হাত ধরেই তিনি এই চক্রে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে ছোট শহীদ জেলে থাকায় তিনিই গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।