'যানজটের জন্য দায়ী প্রাইভেট কার'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ধানমণ্ডিতে রিকশা ও সাইকেল র‍্যালি, ছবি: বার্তা২৪.কম

ধানমণ্ডিতে রিকশা ও সাইকেল র‍্যালি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শহরের যানজটের জন্য মূলত দায়ী প্রাইভেট কার বা ব্যক্তিগত গাড়ি। যদি গাড়ি ব্যবহার করা বাদ দিয়ে হাঁটা, সাইকেল ব্যবহারে নগরবাসীকে উৎসাহ দেওয়া হয়, বাস সার্ভিস ও রেল সেবার উন্নয়ন করা যায় তাহলেই যানজট কমবে বলে মনে করে কয়েকটি সামাজিক সংগঠন।

বুধবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির আবাহনী মাঠের পাশে কারফ্রি সিটিস এলায়েন্সের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত রিকশা ও সাইকেল র‍্যালিতে বক্তরা এসব কথা বলেন।

র‍্যালির আয়োজন করে কার ফ্রি সিটিস এলায়েন্স বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অফ ওয়েলয়িং বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইয়ুথ।

র‍্যালি শুরু হওয়ার আগে আয়োজিত সংগঠনগুলোর পক্ষে বক্তব্য রাখা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, 'যানজটের কারণে ঢাকা শহরের জীবনের গতি থেমে যাচ্ছে। শহরের গাড়ির গতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁটা ও সাইকেলের গতির চেয়েও কম।

এ সময় উপস্থিত ওয়ার্ক ফর বেটটার বাংলাদেশ ট্রাষ্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মারুফ হোসেন বলেন, 'আজকে অনেকে হয়তো বাধ্য হয়ে প্রাইভেট কার কিনছেন, কিন্তু সেটা সুখকর নয়। আমরা দেখেছি একটা পরিবারে যখন একটা গাড়ি কেনে তখন তার ছেলের জন্য, মেয়ের জন্যও গাড়ি ক্রয় করে। তখন কিন্তু একটা পরিবারে ৫-৬টা পর্যন্ত গাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি আমরা গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করি তাহলে চলাচলের মতো অবস্থা থাকবে না। গাড়ির মধ্যে আমাদের বসে থাকতে হবে। এতে সময় ও জ্বালানির অপচয় হবে, তাপমাত্রা বাড়বে। তাই আমরা দাবি করছি, প্রাইভেট কারের পরিমাণ যেন না বাড়ে, চলাচলের জন্য বাস ও রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'হাঁটা ও সাইকেল ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়। হাঁটার জন্য ফুটপাত প্রশস্ত ও সাইকেলের জন্য আলাদা লেন, জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে বেশিরভাগ মানুষ হেঁটে গন্তব্যে যাবেন। অনেকেই দেখা যায় ৫০০ মিটার যেতে বাচ্চার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়। আমরা বলব এরকম অল্প জায়গা সবাই হেঁটে যাবে, প্রতিটি কমিউনিটিতে বিদ্যালয় রাখতে হবে। এতে সে শারীরিক ভাবে যেমন সে সুস্থ থাকবে তেমনি এই পৃথিবীর জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে, কার্বনডাইঅক্সাইড কমানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।'

তিনি আরও বলেন, 'জ্যামের ক্ষেত্রে অনেক সময় রিকশাকে দায়ী করা হয়। আমরা ২০০৪ সালে বলেছিলাম, রিকশা যদি বন্ধ করা হয়, সেই জায়গা প্রাইভেট কার নেবে। তার ফলে যানজট বেড়ে যাবে এবং তাই হয়েছে। মিরপুর রোডে ২০০৪ সালে যখন রিকশা বন্ধ করা হয় তখন গতি ছিল ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার কিন্তু এখন হয়েছে ৫-৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অতএব, রিকশা মূলত যানজটের কারণ না, যানজট হচ্ছে প্রাইভেট কারের কারণে।'

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইনস্টিটিউট অফ ওয়েলবিং বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক জেব্রা ইছরইমসন, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাষ্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, স্কেটিং ৭১ এর প্রতিষ্ঠাতা রিহাদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া র‍্যালিতে প্রায় শতাধিক মানুষ রিকশা ও সাইকেল নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।

   

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

;