আমার সিএনজি ‘মানতি স্যার’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, রাঙ্গামাটি থেকে ফিরে
অটোরিকশায় লাগানো মান্থলি’র টোকেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

অটোরিকশায় লাগানো মান্থলি’র টোকেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিএনজি চালিত অটোরিকশায় রাঙ্গামাটি শহরে ঢুকছিলাম। বনরূপা (শহরের প্রাণকেন্দ্র) এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ সিগন্যাল দিলেন অটোরিকশা থামানোর জন্য। গতি খুব একটা ছিল না, চালক চলন্ত অবস্থায় বলে দিলেন, ‘মানতি স্যার’।

ট্রাফিক পুলিশ আর কিছুই বললেন না। যথারীতি এগিয়ে যেতে থাকলাম। মনের মধ্যেই নানান প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল, চালকের কাছে জানতে চাইলাম, পুলিশকে কী বললেন? জবাব দিলেন, ‘মানতি। আমার অটোরিকশা মানতি করা। না হলে শহরে যতবার ঢুকব ততবার ১শ’ টাকা করে দিতে হবে।’ তখন বুঝলাম, ইংরেজি মান্থলি মানে মাসিক শব্দের স্থানীয় সংস্করণ মানতি।

আবার প্রশ্ন করলাম, হাজার হাজার অটোরিকশা চলাচল করে, যদি মানতি করা না থাকলেও কেউ মানতি বলে! তাহলে বুঝবে কী করে?’ চালক জানালেন, ‘তা হওয়ার সুযোগ নেই। ওদের কাছে সবার তালিকা আছে। আবার বিট ভাগ করা আছে, সন্দেহ হলে বিটের অফিসার সার্জেন্টের নাম জানতে চাইবে। মাসে কত টাকা দিতে হয়? জবাব পাওয়া গেল, ‘২৫০ টাকা।’

আর কোথায় কোথায় এমন টাকা দিতে হয়? ‘সব জায়গায় দিতে হয়, না হলে সেই থানা এলাকায় প্রবেশ করা যায় না,’ বলেন তিনি।

কাপ্তাই লিচু বাগান এলাকার এই চালককে জ্বালানি (সিএনজি) ভরার জন্য যেতে হয় চট্টগ্রাম শহরে। কাপ্তাই রাস্তায় মাথায় অবস্থিত একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস ভরেন। এ কারণে হাইওয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় হাইওয়ে পুলিশকে মাসে দিতে হয় ৫শ’ টাকা।

যেহেতু চট্টগ্রাম যাওয়া আসার জন্য রাঙ্গুনিয়া এলাকার ওপর দিয়ে যেতে হয়, এজন্য রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশকে দিতে হয় ৩শ’ টাকা করে। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ এই মাসোহারা আদায় অনেকটাই আধুনিকায়ন করেছে। বিআরটিএ যেভাবে স্বচ্ছ ট্যাক্স টোকেন দেয় গাড়ির গ্লাসে লাগানোর জন্য। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশও এমন স্বচ্ছ টোকেন চালু করেছে। যা গাড়ির কাঁচে প্রদর্শন করতে হয়।

অধিকাংশ অটোরিকশায় এই টোকেন লক্ষ্যণীয়। এতে তেমন কিছুই লেখা নেই। শুধু থাকে মাসের নাম ও নিচে সন। প্রতি মাসে টাকা দিয়ে এই টোকেন সংগ্রহ করে গাড়ির গ্লাসে লাগিয়ে রাখতে হয়। কোনো মাসে টাকা দিতে দেরি হলেই আর রক্ষে নেই। সোজা মামলা দিয়ে দেয়। আবার কখনও কখনও গাড়িও আটকে দেওয়া হয়। খুব কম চালকই আছেন যারা দৈনিক ভিত্তিতে টাকা দেন।

টাকা দিতে হয় নোয়াপাড়াতেও। এখানে মাসে ৩শ’ টাকা হারে দিতে হয়। সবচেয়ে কম মাসোহারা কাপ্তাই থানা পুলিশের। সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে মাসে দেড়শ’ টাকা আদায় করছে হ্রদের পেটে থাকা এই থানা পুলিশ। মাসোহারা যথা সময়ে না দিলেই মামলা, গাড়ি আটকসহ নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়। শুধু জরিমানার টাকা দিয়ে এই মামলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। ৫শ’ টাকার মামলা দিলেও ৭ হাজার টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন ওই চালক।

পুলিশ ধরলে মামলা, জরিমানায় রক্ষা পেলেও শান্তি বাহিনীর থেকে ছাড় পাচ্ছেন না চালকরা। শান্তি বাহিনীকে মাসে ১ হাজার টাকা করে দিতে হয়। না হলে দুনিয়া থেকে গায়েব করে দেওয়া হতে পারে। এখানে পুলিশও নাকি শান্তি বাহিনীকে সমীহ করে চলে।

ওই অটোরিকশা চালক বলেন, `ছোট-বড় কোনো গাড়িই টাকা না দিয়ে চলতে পারে না। সবাইকে টাকা দিতে হয়। ছোটো গাড়ির কম, বড় গাড়ির বেশি মাসোহারা। অর্থাৎ সব ধরনের যানবাহন থেকে এই টাকা আদায় করা হচ্ছে। সম্ভবত বাংলাদেশের একমাত্র সড়ক রয়েছে নাটোরে, যেটি চলন বিলের ভেতর দিয়ে চলে গেছে। এই সড়কটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে টোল দিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু অটোরিকশা চালকের কথায় মনে হচ্ছে, সারা দেশের প্রায় সব সড়কেই নিরবে চাঁদাবাজি চলছে। কয়েকদিন আগে রাজধানীর মাংস বিক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, ‘চাঁদাবাজি বন্ধ হলে নাকি ৩শ’ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব।’

   

বরিশালে অবসরপ্রাপ্ত ১৮৪ সদস্যকে অনুদানের চেক বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তি, এককালীন অনুদান ও জরুরী চিকিৎসা সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বরিশালের অবসরপ্রাপ্ত ১৮৪ জন সদস্যকে ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।  

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বরিশাল  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই। সমিতির জেলা আহ্বায়ক সহকারী কমিশনার ফাহিজা বিসরাত, সহকারী কমিশনার ও এনডিসি বরিশাল আবু জাফর মজুমদার, সমিতির জেলা এডহক কমিটির সদস্য আলি আজম খানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অতিথিরা সমিতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন। পরে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১৮৪ জন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মাঝে চেক প্রদান করে জেলা প্রশাসক বরিশাল শহিদুল ইসলাম।



;

দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং’র বিভিন্ন গ্রুপের ৩৫ জন গ্রেফতার 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের মূলহতাসহ ৩৫ জন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব২)।আটককৃতরা বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, ‘এফডিসি মুন্না’ গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে এফডিসি মুন্না (২৮), গ্যাং সদস্য মো. আকাশ (২৪), মো. ফরিদ। ‘কিং জামাল গ্রুপ’ এর মূলহোতা মো. জামাল হোসেন (৩১), মো. ইমাম হোসেন (২০), মো. আরিফ ওরফে রাসেল মিয়া (২০)। ‘কিং মোশারফ গ্রুপ’ এর মো. মোশাররফ (৩২) তার সহযোগী মো. ফেরদাউস বেপারী (২৫), মো. আরমান শেখ (১৮), মো. সানি মিয়া (১৮)। ‘আপনা ভাই গ্রুপ’ এর মূলহোতা শাকিব ওরফে বস্তি শাকিব (১৯), মো. নাহিদ (২০), মো. লাদেন (২১) সহ অন্যান্য গ্রপের মো. হৃদয় (২২), মো. আবু সিদ্দিক (৪৫), মো. খোকন (৩৫), মো. নিলয় আহম্মেদ (২৫), মো. ইব্রাহিম (২৬), মো. বিপ্লব শেখ (২০), রাব্বি হোসাইন (২৪), তারেক জিয়া (২২), মো. জামাল (২৬), মো. শিমুল (২৩), মো. রতন(১৯), মো. পলাশ (২৪), মো. সাঈদ (২৪), মো. শরিফ (২০), মো. রাজন (২২), মো. মানিক (২৪), মো. কবির (২৪), হাসান (২২), মো. সাইদ (১৯), মো. রাজা শেখ (২৮), মো. ইকরাম (২৫) এবং মো. বিপ্লব শেখ (২২)।

শিহাব করিম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’ গ্রুপের সদস্য কর্তৃক ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এই সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী ও মামলা হয়। বিভিন্ন ‘কিশোর গ্যাং’ এর সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।

অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকানণ্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র‌্যাব। ফলশ্রতিতে র‌্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ হতে ১৮ মার্চ পর্যন্ত র‌্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে।

তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং এর মূলহোতাসহ ৩৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, এন্ট্রি কাটার ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পূর্বের বিভিন্ন অপরাধ এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা সর্ম্পকে তথ্য দেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, শেরে বাংলা নগরের নাখালপাড়া এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাধঁ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। গ্রপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।

এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ এসব এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। মূলত তারা নাখালপাড়া ও মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সাদা ফুলের ছদ্মবেশে 'কালো সোনা'



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত এক অনন্য দৃশ্যের দেখা মিলবে রাজশাহীতে। এখানকার সাদা ফুল শুধু সৌন্দর্যের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্বান হাতছানি দেয়। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে 'কালো সোনা', যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন।

পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজারমূল্যের কারণে কৃষি জগতে 'কালো সোনা' নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য 'কালো সোনা'।

পেঁয়াজের বাজার দাম উচ্চ থাকা ও অধিক লাভজনক হওয়ায় রাজশাহীতে পেঁয়াজের কদম চাষে আগ্রহের সাথে চাষীদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবছর চাষের জন্য বরাদ্দ জমির পরিমাণ বেড়েছে। বীজ উৎপাদনে বেশি দাম পেয়ে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা।

তবে, পেঁয়াজের কদমে রোগ ও অপ্রত্যাশিত শীলাবৃষ্টির সম্ভাবনা উৎপাদনের মান ও পরিমাণে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। এ সমস্যা মোকাবেলায়, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাষীদের পরাগায়নের কাজে মৌমাছি ও সাদা কাপড়ের ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে, যা উচ্চমানের ও অধিক পরিমাণে ফসল পাওয়া নিশ্চিত করতে পারে। এই নতুন উদ্যোগ ও পদ্ধতির মাধ্যমে চাষীদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে যে, তারা আগামী দিনে আরো বেশি লাভের সুযোগ পাবে।

নতুন উদ্যোগও পদ্ধতি চাষীদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে

রাজশাহীর কৃষি অফিসের মতে, এ বছর রাজশাহীতে পেঁয়াজের বীজ চাষ ১২ হেক্টর বেশি জমিতে করা হয়েছে। বাজারে বীজের দাম উচ্চ হওয়ার কারণে চাষীরা বীজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর, পেঁয়াজের বীজ ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

কৃষি বলছে, এ বছর রাজশাহী জেলায় ২৭০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ হয়েছে, যা থেকে ২০০ মেট্রিক টনের অধিক বীজ উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গত বছর, ২৫৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ হয়েছিল। উৎপাদিত এসব বীজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করা হয়।

এ বছর দুর্গাপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের বীজ চাষ হয়েছে, যেখানে ১০৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলা যেমন গোদাগাড়ীতে ৮৫ হেক্টর, পুঠিয়ায় ৭০ হেক্টর, এবং পবা, মোহনপুর, বাগমারা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় ৫ থেকে ১০ হেক্টর জমি করে।

মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের কইকুড়ি অঞ্চলে ১০ কাঠা ভূমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন মো. কলিম খাঁ। তিনি জানান, এ বছর পেঁয়াজের (কদম) রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রায়ই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের ফুলকা শুকিয়ে যাচ্ছে, যা ফলনের উপর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বৈশাখ মাসের শীলাবৃষ্টি সবচেয়ে বড় হুমকি, কারণ এতে পেঁয়াজের কদম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মো. কলিম খাঁ বলেন, পেঁয়াজের কদম চার মাস জমিতে থাকবে। চাষ শুরু করার সময় তিনি বীজ পেঁয়াজ কিনেছিলেন ৪ হাজার টাকা মণ প্রতি। গত বছরও তিনি পেঁয়াজ কদমের চাষ করেছিলেন এবং পেঁয়াজের কদম থেকে আহৃত বীজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা প্রতি হাজারে বিক্রি করেছিলেন।

কালো সোনা চাষে লাভবান চাষীরা

দুর্গাপুর উপজেলার জমির উদ্দিন গত বছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন। তাই এ বছর তিনি দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করেছেন। তিনি জানান, গত বছর বীজ বিক্রি করে তিনি ৮৫ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। এবছর তিনি নিজের এবং লিজ নেওয়া জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করেছেন, যেখানে এক বিঘা জমিতে তার মোট খরচ হয়েছে ৫৮ হাজার টাকা। পেঁয়াজ বীজের ফসলে পরিচর্যা বেশি প্রয়োজন, এবং পরিচর্যা না করলে ফলন কমে যেতে পারে। সময়মতো কীটনাশক প্রয়োগ করা আবশ্যক।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন উল্লেখ করেন, পেঁয়াজের ফুলকে সাধারণত কদম বলা হয়; যা থেকে পেঁয়াজের বীজ তৈরি হয়। গত বছর চাষীরা ভালো দাম পেয়েছিলেন, যার ফলে এ বছর পেঁয়াজ বীজের চাষ বেড়েছে। পেঁয়াজের বীজ চাষে মৌমাছির পরাগায়ন নিয়ে নতুন চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সাদা কাপড়ের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটানোর কথা বলেছি। এতে বীজ ভালো মানের ও বেশি ফসল উৎপাদন হবে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৩২৫ পিস ইয়াবা, ১৮৬ গ্রাম হেরোইন, ৪ কেজি ৮২৫ গ্রাম গাঁজা ও ২০০টি ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;