স্ট্যাম্প তৈরি করে ভাগ্য ফিরেছে ফরিদপুরের ওমর ফারুকের



রেজাউল করিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফরিদপুর
স্ট্যাম্প তৈরি করে ভাগ্য ফিরেছে ফরিদপুরের ওমর ফারুকের/ছবি: বার্তা২৪.কম

স্ট্যাম্প তৈরি করে ভাগ্য ফিরেছে ফরিদপুরের ওমর ফারুকের/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে দমে রাখা যায় না তারই উদাহরণ ফরিদপুরের ওমর ফারুক। লেখাপড়া জানেন না, অসচ্ছল পরিবার সন্তান, অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবুও থেমে নেই উদ্যোক্তা হয়ে তিনি নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তো করেছেনই। পাশাপাশি আরও ৫জন যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে ওমর ফারুকের মঞ্জিলা টন ঘরে। 

ফরিদপুরের কানাইপুরের একটি বাজারে ওমর ফারুক ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প তৈরি শুরু করে। তার তৈরি সেই স্ট্যাম্প এখন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলাতে। আর এই ক্রীড়া সামগ্রী তৈরি করে নিজে হয়েছেন স্বাবলম্বী। শুধু নিজে নয়, তার প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করছেন তারাও এখন অর্থনৈতিকভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করছেন।

ফরিদপুরে সদর উপজেলার কানাইপুর বাজারে সিনেমা হল পট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, বিরামহীন ভাবে ঘুরছে যান্ত্রিক মোটরের চাকা। আর সেখানেই কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ক্রিকেট খেলার অন্যতম উপাদান স্ট্যাম্প ও লোহার তৈরি সরঞ্জামের হাতুল। ৬ শ্রমিক জন, এর মধ্যে কেউ কাঠের মাপ ঠিকঠাক করে সাইজ করছেন, কেউ যান্ত্রিক চালিত মেশিনের সামনে নিয়ে রাখছেন, আবার কেউ ওই কাঠ দিয়ে তৈরি করছেন স্ট্যাম্প। এছাড়া কোদাল, বেলচা, কাঁচি, দা-সহ বিভিন্ন লোহার নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তৈরি করছেন তারা। 

কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় এই প্রতিষ্ঠানে মূল উদ্যোক্তা ওমর ফারুকের সঙ্গে।  

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/21/1561108585622.jpg

স্থানীয় এক দরিদ্র পরিবারের ছেলে ওমর ফারুক (৩৫)। কাজের সন্ধানে ১৯৯৪ সালে গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকাতে। সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রীড়া সামগ্রী তৈরির কাজ শিখে ২০০৭ সালে চলে আসেন এলাকায়।

পড়ালেখা না জানা এই যুবক নিজেই একটি মেশিন দিয়ে স্ট্যাম্প তৈরি শুরু করেন। নিজে নিজে দিন-রাত পরিশ্রম করে স্ট্যাম্প তৈরি করে ছুটে যেতেন জেলা ও জেলা বাইরের বিভিন্ন জায়গাতে। নিজের তৈরি ক্রীড়া সামগ্রীর মার্কেট ধরতে বিভিন্ন দোকানে দোকানে ধরনা দিতে হত তাকে।

এখন দিন বদলেছে ফারুকের। তাকে আর ছুটতে হয় না। নিজের কারখানাতেই বসে পাচ্ছেন অর্ডার । দিন রাত ৬ জন শ্রমিক মিলে কাজ করেও শেষ করতে পারছে না অর্ডারের কাজ। প্রতি মাসে ৩০ হাজার স্ট্যাম্পের অর্ডার পাচ্ছেন তিনি।

ওমর ফারুক জানালেন, দেশে এখন ক্রিকেটের অফ সিজন। তবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ায় কাজের চাপ বেড়েছে। জানালেন, প্রকারভেদে প্রতিটি স্ট্যাম্প বিক্রয় হয় ২৪ থেকে ২৮ টাকা দরে।

তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকে ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিলো তার, কিন্তু দরিদ্রতা তাকে সেই পথে বেশি দূর যেতে দেয়নি। বাধ্য হয়েই কিশোর বয়সে বাবার সঙ্গে মাঠে গিয়ে অন্যের ক্ষেতে কাজ করত। তবে সেই কাজ বেশি দিন করতে পারেন নি । কাজের সন্ধানে ছুটতে হয়েছে রাজধানীতে।

কারখানার স্ট্যাম্প তৈরির কারিগর নাজির বলেন, ৩ বছর ধরে কাজ করছি। প্রথম দেড় বছর কাজ শিখতে হয়েছে। এখন সব কাজ করতে পারি। প্রতিদিন ২৫০টি স্ট্যাম্প তৈরি করতে পারি। প্রতি স্ট্যাম্পে মজুরি হিসেবে দুই টাকা করে পায়। এক-একটি স্ট্যাম্প তৈরি করতে ২/৩ মিনিট সময় লাগে।

আরেক কারিগর শফিকুল বলেন, আমারও কাজ শিখতে ২ বছর লেগেছে। আমি এখানে ৪ বছর কাজ করছি। এখন সব কাজ করতে পারি। অন্য কাজের থেকে ব্যতিক্রম এই কাজ, আর খেলার স্ট্যাম্প তৈরি করতে ভাল লাগে। এখান থেকে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে পরিবার নিয়ে ভাল আছি।

‘পড়া-লেখা না জানা যুবকও যে উদ্যোক্তা হতে পারে তার নজির কানাইপুরের ওমর ফারুক। ওমর ফারুককে নিয়ে কানাইপুরের স্কুল শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, ওমর ফারুক আমাদের যুব সমাজের উদাহরণ, কারণ সে দরিদ্রকে জয় করে নিজেকে ও প্রতিষ্ঠানে অন্যদের স্বাবলম্বী করেছে। তার তৈরি ক্রীড়া সামগ্রী দেশের বিভিন্ন জেলাতে যাচ্ছে।

তিনি সরকারের কাছে ওমর ফারুকের জন্য পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আবহান জানান। যাতে সে আরো দূর এগিয়ে যেতে পারে।

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;