সিরিয়া ফেরত জঙ্গিরা নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হয়ে লড়াই করতে সিরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি জঙ্গিরা দেশে ফিরতে চান। তবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই জঙ্গিগোষ্ঠীর পতনের পর সিরিয়া-ইরাক থেকে ফিরতে চাওয়া জঙ্গিরা নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হিসাব বলছে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ৪০ জন আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হতে দেশ ছেড়েছেন। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকই হয়ত মারা গেছেন। বাকি ২০ জনের কে কোথায় আছেন। সে সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা নেই। কিন্ত আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ওই জঙ্গিরা আবার দেশে ফিরতে চান।
সিরিয়া ফেরত একজন সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতাররের পর রিমান্ডে নিয়েছিল কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তার কাছে থেকে বের হয়ে এসেছে অনেক তথ্য।
ওই ব্যক্তি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে প্রবেশের পর এমন সন্দেহের আরো পাখা মেলেছে। পাশাপাশি পুলিশ এটাও বলছে, ওই বিদেশ ফেরত জঙ্গি, দেশে প্রবেশ করেই, জঙ্গি তৎপরতার পরিকল্পনা করছিল। সব কিছু মিলে ওই জঙ্গিদের নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, শুধু গ্রেফতারের শেষ নয়, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী আপন দুই ভাই ইব্রাহিম হাসান খান ও জুনায়েদ হাসান খান নামের দুই জঙ্গিও দেশে ফিরতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
তথ্য বলছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে বসবাস করেন। তবে তারা যখন সিরিয়াতে যায়, তখন ঢাকা হয়েই সিরিয়াতে গেছেন। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে এই দুই ভাই সহপরিবারে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।
এমন সব আশঙ্কা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিইউ) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম বার্তা২৪. কমকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা সিরিয়ায় গেছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। বিমানবন্দরগুলোতে তাদের ছবিসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোন জঙ্গি এসেই পড়ে, সে বা তারা যেন কোনোভাবেই গ্রেফতার এড়াতে না পারেন, সে বিষয়ে আমরা সর্তক আছি।
উল্লেখ্য সিরিয়া ও ইরাকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পরে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে নাগরিকরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। সেই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ব্যক্তিরাসহ বিদেশে জন্ম নেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকরাও রয়েছেন।