উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী সবই করবেন: তাজুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও অতিথিরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও অতিথিরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি আন্তরিক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, 'রংপুরসহ সারাদেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। তাঁর কারণে আজ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে। কাউকে তিনি নিরাশ করেননি। উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী সবই করবেন।'

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'সমবায় একটি আন্দোলন। এটি সুপরিকল্পিত আর্থিক কর্মসূচি। ঋণ প্রদান কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, বিশেষ করে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ছাড়াও পেশাজীবী শ্রেণীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।'

সভায় রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির ব্ক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার।

অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম মুকুল, পরিচালক আলী রেজা মোঃ সাকের, পরিচালক আমিনুর রহমান, বাবলু মিয়া, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, পরিচালক আবু সাদাৎ হোসেন শাওন প্রমুখ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/06/1562412308431.jpg

সমবায় কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ভূয়সি প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, ‘রংপুর বিভাগের সবচেয়ে বড় সমবায় ব্যাংক কমপ্লেক্স রংপুরে নির্মিত হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বেকারত্ব ঘুচবে।’

সভা শেষে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্মাণাধীন ১৭ হাজার বর্গফুটের ১১তলা বিশিষ্ট রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্সের কাজ পরিদর্শন করেন।

এরপর মন্ত্রী পীরগঞ্জের ফতেহপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও তার কবর জিয়ারত করেন।

এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সেখানে রংপুর আসার পথে তারাগঞ্জে নির্মাণাধীন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ভবন এবং গঙ্গাচড়ায় নির্মানাধীন গৃহায়ন প্রকল্প পল্লী জনপদ পরিদর্শন করেন।

   

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এ জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিকে, সূর্যের প্রখরতার সাথে তীব্র গরম প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কড়া রোদে শ্রমজীবী মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। গরমে হাঁপাচ্ছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই এ জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদু তাপপ্রবাহ। এরপর থেকে ক্রমেই উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (১৪ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিনের ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখি ঝড় হলে তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক আজিজুর রহমান জানান, 'এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর তেমন ভাড়া না হওয়ায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।'

চুয়াডাঙ্গার একটি চাতালে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছেন এক নারী। তিনি বলেন, 'গরিবের আবার গরম! পেটে ভাত জুটানোর চিন্তা করলে ওসব রোদ-গরম সব তুচ্ছ মনে হয়।'

শরবত বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, গরম বাড়ায় তাদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

;

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার লিংক রোডের সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিদেশি নারী শিক্ষাথীর (২৫) নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে লিংক রোডের চরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত ফুটফাফোন জেইডলা (Phutphaphone xaydala) লাউসের নাগরিক। তিনি নগরীর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। আহত দুজনকে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজন বাংলাদেশি এবং সম্পর্কে ভাইবোন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মধ্যরাতে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে একটি পাজেরো গাড়ির ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই ওই বিদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। আহত দুইজন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পাজেরো গাড়িটির সামনের চাকা ব্লাস্ট হওয়ার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজকের সাথে ধাক্কা লাগে বলে ধারণা হচ্ছে। নিহত বিদেশি মেয়েটি গাড়ির পেছনের সিটে ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, সকালে পতেঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক নারী মরদেহ আনা হয়েছে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহ মর্গে রাখা আছে। 

;

অষ্টমীর স্নান, মাষাণকুড়া নদীর তীরে পুণ্যার্থীদের ঢল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছায় মাষাণকুড়া নদীর তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান ও বারুণী মেলা উপলক্ষে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিনব্যাপী নদীর তীরবর্তী উপজেলার কান্দিরহাটে ঐতিহ্যবাহী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী চারুকারু পণ্য, মাটির খেলনা, প্লাস্টিকের সামগ্রী, বড় আকারের মাছ, ফলমূল এবং বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রয়ের দোকান বসেছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পুণ্যার্থীদের স্নান শুরু হয়েছে। মাষাণকুড়া নদীর তীরে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজার আয়োজন করা হয়। ভোর থেকেই বিপুল সংখ্যক হিন্দু পুণ্যার্থী মাষাণকুড়া নদীতে স্নান সেরে পূজা অর্চনা করে। চৈত্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথির দিনেই এই অষ্টমী মেলা ও গঙ্গা দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।


সরেজমিন দেখা যায়, মাষাণকুড়া নদীর পাড়ে কান্দিরহাটে শিশুদের জন্য মাটি দিয়ে তৈরি নানা ধরনের খেলনার পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। মাটির ব্যাংক, হাঁড়ি-পাতিল, পুতুল, পালকিসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে মেলায়। অষ্টমী স্নান ও বারুণী মেলায় বেড়াতে আসা শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ মূলত এসব খেলনার দোকান ঘিরে ভিড় করছেন।

পুণ্যার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার থেকেই রংপুরের পীরগাছা ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা কান্দি মাষাণকুড়া নদীর পাড়ে আসতে শুরু করে।

স্থানীয় বাসিন্দা বকুল চন্দ্র বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলা উপলক্ষে অনেক স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অনেকে দূরদূরান্ত থেকে মেলায় আসছে।

অষ্টমী স্নান ও বারুণী মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র মংলু বলেন, দিনব্যাপী অষ্টমী স্নান ও বারুণী মেলা চলছে। শুরু থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে।

;

গ্যাস পাইপের পিলার ভেঙে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ পাম্পের পুরনো গ্যাস পাইপের পিলার ভেঙে আল আমিন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সারপুকুর ইউনিয়নের রইসবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত স্কুল ছাত্র আল আমিন একই এলাকার আব্দুল কাদের জিলানীর ছেলে এবং স্থানীয় রইসবাগ হরিদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রইসবাগ এলাকায় জমিতে সেচ দিতে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সেচ পাম্প গড়ে তুলে। যার দেখাশোনা করতেন স্থানীয় রজনি সরকারের ছেলে পুষ্প চন্দ্র। সেই সেচের আওতায় স্থানীয়দের মত বোরো চাষাবাদ করেছেন আল আমিনের বাবা আব্দুল কাদের জিলানী।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজেদের বোরো ক্ষেতে কাজ শেষে বরেন্দ্রের ওই সেচ পাম্পের পাশে পানি পান করতে যায় আল আমিন। এ সময় ওই পাম্পের পুরনো একটি গ্যাস পাইপের পিলার ভেঙে তার শরীরে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা পিলারে চাপা তার মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মৃতের বাবা আব্দুল কাদের জিলানী আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, তাদের পাম্পের পিলার দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙ্গা ছিলো। তারা জেনেও তা সংস্কার করেনি। তাদের ভুলে আমি আমার একমাত্র ছেলেকে হারালাম। আমি এর বিচার চাই।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বরেন্দ্রের সেচ পাম্পের পুরনো গ্যাস পাইপ ভেঙে পড়ে আল আমিন নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;