প্রাণসহ ৫ কোম্পানির দুধে অ্যান্টিবায়োটিক: জেনে নিন ক্ষতিকর দিক



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণসহ নামিদামি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে মানবচিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব পাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। গবেষণা নিয়ে চলছে বিতর্কও। তবে এই বিতর্কের মধ্যেই দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও নামিদামি এসব কোম্পানির দুধে মিলল অ্যান্টিবায়োটিক।

তাও আবার নতুন ১০ টি নমুনার ১০ টিতেই পাওয়া গেছে অ্যান্টিবায়োটিক। এমনকি যেখানে প্রথম দফায় পাওয়া গিয়েছিল ৩ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। সেখানে এবার পাওয়া গেছে ৪ টি।  অ্যান্টিবায়োটিকগুলো হল, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লিভোফ্লক্সাসিন। এর মধ্যে আগের পরীক্ষায় অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন ছিল না।

প্রাণসহ নামিদামি কোম্পানির দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-আতঙ্ক। অন্যদিকে জনসাধারণের মনে এখন প্রশ্ন অ্যান্টিবায়োটিক মিশ্রিত দুধ খেলে কি হয়? আর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আসেই বা কিভাবে?

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রির্সাচ সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক ও এই গবেষণার টিমের প্রধান অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মানুষ ও পশুর জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক সম্পূর্ণ আলাদা। গরুকে মানুষের এন্টিবায়োটিক দিলে, দুধ ও মাংসের মাধ্যমে তা আবার মানুষের শরীরেই প্রবেশ করে। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়। পরীক্ষায় পাস্তুরিত দুধের  নমুনার সবগুলোতেই মানব চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো যদি আমরা দুধে মাধ্যমে সেবন করি। তাহলে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো স্বয়ংক্রিভাবে মানব শরীরে তার অস্তিত্ব গেড়ে বসবে। এতে যখন এই সংক্রান্ত অসুখ দেখা দেবে তখন ওই অ্যান্টিবায়োটিক গুলো আর কাজ করবে না।  সাধারণত গরু বা অন্য কোন প্রাণির দ্রুত রোগ সারানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়। সেটা যদি দুধ দেওয়া গাভীকে খাওয়ানো হয়, তখনই দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়।

এখন দেখা যাক, প্রাণ, আড়ংসহ নামিদামি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে পাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকগুলো কোন কোন রোগে ব্যবহার করা হয়। কেনো সেগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।  

সিপ্রোফ্লক্সাসিন: এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিক ফ্লুরোকুইনোলন গ্রুপের ওষুধ। ওষুধটি ত্বক ফুসফুস, হাড়, অস্থিসন্ধির ইনফেকশনে ভালো কাজ করে। এছাড়া সিগেলা ও জেজুনি ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনে বহুল ব্যবহৃত হয়। টাইফয়েড জ্বর ও খাদ্যে বিষক্রিয়াও খুব ভালো কাজ করে এটি। তবে যদি এটি দুধের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে পরবর্তীতে মানব শরীরে সিপ্রোফ্লক্সাসিন আর কাজ করবে না।

অক্সিটেট্রাসাইক্লিন: অ্যাক্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে । শরীরের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের কারণে এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। বুকে এবং মুখে ঘা হলে বা  সংক্রমণ দেখা দিলে সাধারণত চিকিৎসক এই অ্যান্টিবায়োটিকের সুপারিশ করে থাকেন।

এনরোফ্লক্সাসিন: লিম্ফয়েড লিউকোসিস টিউমার সৃষ্টিকারী ভাইরাস রোগ। এতে লিভার বা যকৃত বড় হয়ে যায়। এই রোগ যখন গরুর ক্ষেত্রেও দেখা দেয় তখন পশু চিকিৎসক এনরোফ্লক্সাসিন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। 

লিভোফ্লক্সাসিন:  বিভিন্ন জীবাণু সংক্রামণ যেমন: সাইনুসাইটিস, নিউমোনিয়া, মূত্রনালি, প্রোস্টেট ও পাকস্থলীর সংক্রমণ এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই অ্যান্টিবায়োটিক। দুধের মধ্য দিয়ে এ অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে প্রবেশ করলে পরবর্তীতে এসব রোগে লিভোফ্লক্সাসিন আর কাজ করবে না।

এদিকে মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফারুক হোসেন বলেন, এন্টিবায়োটিক অতিরিক্ত সেবন করা ঠিক নয়। এন্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক ঠান্ডা বা ভাইরাসজনিত রোগে কোনো কাজ করে না। যদি ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়, তবে বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

তিনি বলেন, এ ধরনের চিকিৎসা চলতে থাকলে অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যথার্থ না হলে এমন একটা সময় আসবে যখন ব্যাকটেরিয়াকে মারা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এ অবস্থাকে ব্যাকটেরিয়াল রেজিসট্যান্স বা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্স বলা হয়। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্স বা অকার্যকারিতার জন্য অনেক রোগের চিকিৎসা সফলভাবে করা সম্ভব হয় না। চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্স বা অকার্যকারিতা একটি বড় হুমকি।

   

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

এসময় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জনবলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কাজ যথাযথভাবে করতে হবে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

;

মদ বোঝায় পিক-আপ জব্দ, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ১ হাজার ৮৬৬ বোতল মদ বোঝাই পিক-আপ ভ্যান জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১)। একই সঙ্গে মো. মাসুদ বিশ্বাস (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বনানী থানাধীন এলাকায় ১ জন মাদক ব্যবসায়ী ১টি সাদা রং এর পিক-আপ ভ্যানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বহন করে বনানী এলাকা থেকে গুলশান এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ব্লক-জি এর সামনে রাস্তার উপর হতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বিশ্বাসকে (৩৪), গ্রেফতার করা হয়।

এসময় আসামির নিকট হতে কেরুর তৈরি ১ হাজার ৮৬৬ বোতল বিলাতি মদ ও ১টি পিক-আপ ভ্যান এবং ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

;

চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ গ্রেফতার ৩৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


র‍্যাব জানায়, অভিযান চালিয়ে পাঁচলাইশ থানার ফরেষ্টগেইট রেল ক্রসিং এলাকা থেকে রুবেল গ্রুপের প্রধান রুবেলসহ ছয়, মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকার বাচা গ্রুপের প্রধান বাচা সোহেলসহ পাঁচ, বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে জনি গ্রুপের প্রধান জনিসহ পাঁচ, পাহাড়তলীতে ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে সাজ্জাদ গ্রুপের প্রধান সাজ্জাদসহ সাত, সরাইপাড়া এলাকার সাকিব গ্রুপের প্রধানসহ ছয়, বিপুল গ্রুপের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ইভিটিজিং এর মতো অপরাধে এ কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব ছয় কিশোর গ্যাং লিডারসহ ৩৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঈদে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় র‍্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা নিয়োজিত আছেন বলে জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা।

;

গুচ্ছ গ্রামের এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়াতে একটি পুকুরে ১০০ রুপালি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ৩৫০- ৫৫০ গ্রাম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ গুলো দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের যুগান্তর কিল্লার উত্তরের পুকুরে মাছ গুলো ধরা পড়ে। এর আগে, গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আফছার উদ্দিন। তিনি জানান, একটি গুচ্ছ গ্রামে সাধারণত দুটি পুকুর থাকে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামে দুটি পুকুর রয়েছে। যুগান্তর কিল্লার উত্তরের বড় পুকুরটি লিজ নিয়েছেন আবদুল মান্নান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি এ পুকুরে গত কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। পুকুরটি ২৫টি পরিবার ব্যবহার করে।

তিনি আরও জানান, পুকুর থেকে মাছ ধরার জন্য মান্নান গত কয়েক দিন ধরে পুকুরে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি কমান। পানি কমিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে পুকুরের জাল ফেললে ১০০টি ইলিশ ধরা পড়ে। গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে আরও ৮-৯ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। আশা করা হচ্ছে এ পুকুরে আরও ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.দিনাজ উদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশ মাছও প্রবেশ করে। গত বছরও একই পুকুরে প্রায় ৪০-৪৫ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। এ বছর প্রথম ধামে এ ইলিশ গুলো ধরা পড়ে।

;