প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অবস্থান সাংস্কৃতিক জোটের



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে এবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মাঠে নামল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। পাকিস্তানে আদালতের রায়ের পর নওয়াজ শরিফের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কালো পতাকা মিছিল করেন জোটের নেতাকর্মীরা।ওই বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে কালো পতাকা মিছিলটি বের হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বক্তব্য দেন। বাচ্চু বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন নানা ঘটনা ঘটেছে বিচার বিভাগ নিয়ে, আমরা (সংস্কৃতিকর্মী) চুপ থেকেছি। প্রধান বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে রায় দিতে পারেন, এর এখতিয়ার তার রয়েছে। কিন্তু একজন নাগরিক হিসেবে, সে রায় গ্রহণে অক্ষমতা প্রকাশ করছি।বিচার বিভাগ যখন সংসদকে অবমাননা করে তখন আমাদের আক্ষেপ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু থাকে না।’ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে ‘বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে রায়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারি দলের নেতারা কড়া সমালোচনা করেন, বাক আক্রমণের শিকার হন প্রধান বিচারপতি সিনহা। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি আদালতে এক শুনানিতে নওয়াজ শরিফের ক্ষমতা ছাড়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, তারা অনৈক ধৈর্য ধরেছেন। ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এস কে সিনহা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন দাবি করে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘শুধু প্রধান বিচারপতি কেন, বাংলাদেশের সাংবিধানিক পদে থেকে কেউই পাকিস্তানের সঙ্গে এ দেশের তুলনা করতে পারেন না। করলে আমরা তা গ্রহণ করব না।’ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ও ১১ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না। এটা কেমন দেশ? এটা কি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ না কি বিচারতন্ত্রী বাংলাদেশ? এ দেশের সকল সামরিক অভ্যুত্থানকেও স্বীকৃতি দিয়েছে বিচারপতিরা।’ প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘যারা এদেশের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রমে আঘাত দিয়েছে সেই পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করাকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সংবিধানে লেখা রয়েছে, আইন সবার জন্য সমান। এ দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী জবাবদিহির অধীনে হলে বিচারপতিরাও জবাবদিহির বাইরে নন।’ জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা, কবি ও সাংসদ কাজী রোজী, চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পথনাটক ‘বোধোদয়’ পরিবেশন করে সুবচন নাট্যসংসদ।  
   

ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত দুই, আহত ২৮



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ২৮ জন আহত হয়েছেন ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ময়মনসিংহ তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, রাজ সুপার বাসের হেলপার শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রাজভল্লবপুর গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (২৬), ও একই জেলার নকলা উপজেলার মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে সুইটি আক্তার (২০)।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি ওয়াজেদ আলী সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কে তারাকান্দার কোদালধর এলাকায় ঢাকা থেকে আসা শেরপুরগামী ও শেরপুর থেকে ঢাকাগামী আরেকটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী দুইটি বাসই খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং বাস দুটিকে জব্দ করে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বরে জানান তিনি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দা কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ২৮ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মাঝে ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে, একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

জামালপুরে ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেলো শিশু আয়াতের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইজিবাইকের চাপায় মো. আয়াত (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মালঞ্চ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়াত উপজেলার মালঞ্চ দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমির হামজার ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে চাচার বিয়ের পাত্রী দেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় মালঞ্চ বাজার মোড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

এ সময় ব্যাটারী চালিত একটি ইজিবাইক মোড় ঘোরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশু আয়াতের উপরে উল্টে যায়। এতে শিশু আয়াত মাথায় প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়।

স্থানীয়রা আহত শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু আয়াতের মৃত্যু হয়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ জানান, দুর্ঘটনায় একজন শিশু নিহত হয়েছে, তবে এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

নববর্ষ বরণে রাঙামাটিতে চলছে সাংগ্রাই জলোৎসব



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পার্বত্য অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সংস্কৃতি বিকাশে এগিয়ে আসার আহ্বানে উচ্ছ্বাস আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে সর্ববৃহৎ সার্বজনীন সাংগ্রাই জলোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মারমা যুবক যুবতীরা একে অপরের প্রতি জল ছিঁটিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ, গ্লানি, বেদনাকে ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। এ যেন এক প্রাণের উৎসবে মিলিত হয়েছেন তারা। 

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) এর আয়োজনে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটিস্থ চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়াম মাঠে ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এর আগে উক্ত অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ও রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নববর্ষকে বরণ এবং পুরানো বর্ষকে বিদায় উপলক্ষে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাঁই জল উৎসবের অন্যতম জনপ্রিয় গানটি গেয়ে যখন মারমা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করার সাথে সাথেই হাজার হাজার লোকের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়াম মাঠ।

;

সেই অঙ্কিতা পেলো নতুন বই-জামা-টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসার ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে বসে কেঁদেই চলেছিল অঙ্কিতা দাশ। হাতে আধ পোড়া বই-কোনোটি অর্থনীতি, কোনোটি আবার ব্যবস্থাপনা। আর কদিন পরেই তার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। তার আগে আগুনে সব বই হারিয়ে চোখে যেন শর্ষে ফুল দেখছিল ১৭ বছরের মেয়েটি। তাই তো তার চোখে এত কান্না, এত জল।

অঙ্কিতার সেই কান্নার ছবি আর দুঃখের গল্প তুলে ধরেছিল বার্তা২৪.কম। সেই প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়ার পর অঙ্কিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। কেউ দিয়েছেন নতুন বই, কেউবা নতুন জামা। আবার কেউ দিয়েছেন পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য টাকাও।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের টেক পাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ সময় তিনি অঙ্কিতার হাতে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এর আগে তাকে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সবগুলো বই কিনে দিয়েছেন কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব। আগুনের খবরে এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল অঙ্কিতা। সেজন্য তাকে কেউ কেউ কিনে দিয়েছেন নতুন জামাও।

নতুন বই ও ফরম পূরণের টাকা পেয়ে খুশিতে কেঁদে দেয় অঙ্কিতা দাশ। তিনি বলেন, ‘এত অল্প সময়ে আমার বই ও ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় হয়ে যাবে কল্পনাতেও ভাবিনি। আগুন লাগার পর আমার পরিবার নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর আমার পরিবারের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কখনোই ভুলবার নয়। আমি এবং আমার পরিবার সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

;