বালিশ দুর্নীতি
সাড়ে ৩৬ কোটি টাকার দুর্নীতি, ৫০ জনের শাস্তির সুপারিশ
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিন সিটি প্রকল্পে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আসবাবপত্র কেনাকাটায় ৩৬ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার টাকার অনিয়ম পেয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। এজন্য প্রকল্পটির ৫০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত উল্লেখ করে তাদের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে। এ প্রতিবেদনে দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রতিবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি জানিয়েছে বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন পেয়েছি। এটি আদালতে জমা দেব। তার আগে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। গত ২ জুলাই দুই সপ্তাহের মধ্যে রূপপূর প্রকল্পের অস্বাভাবিক কেনাকাটার প্রতিবেদন দাখিল করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে অস্বাভাবিক কেনাকাটা নিয়ে রিট করেন। ২১ মে এ রিটের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মন্ত্রণালয়ের দু’টি তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানান।
আদালত অন্তবর্তীকালীন আদেশে দু’টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং প্রতিবেদন অনুসারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।