থমকে আছে রাজধানীর খাল উদ্ধার, জলাবদ্ধতা চরমে



আবু হায়াত মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পায়নি রাজধানীবাসী। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান পানিতে ডুবে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর উভয় সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ সড়ক। আবার মহানগরীর পার্শ্ববর্তী নিচু এলাকাগুলোতে জমে যাচ্ছে কোমর সমান পানি।

ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নতুন কোনো সমস্যা নয়। প্রায় তিন দশক ধরে নগরীর খালগুলো বেদখল হওয়ার কারণে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

রাজধানীর খাল উদ্ধারে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন নগরবাসী বহু আন্দোলন করেছে। উন্মুক্ত জলাধার খাল ও নদ-নদী রক্ষা ও উদ্ধারে উচ্চ আদালত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও রয়েছে । এসব নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি), এবং বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিক অভিযান চালায় বলে দাবি করে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট এসব কর্তৃপক্ষের দাবির কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বর্ষা মৌসুমে। জলাবদ্ধতা লেগেই আছে। তবে এ জলাবদ্ধতাকে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে জলজট বলে দাবি করা হয়। কিন্তু ওয়াসার এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ২০১৭ সালে ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক খালগুলো সিটি কর্পোরেশনের অধীনে নিয়ে দখলমুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আনিসুল হকের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিলো ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563513074258.jpg

পরবর্তীতে আরো একটি প্রস্তাবনা আসে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে খালগুলো দখলমুক্ত ও পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুতে থমকে যায় সব উদ্যোগ। এখনেই আড়ম্বরপূর্ণ অভিযানের ডিএনসিসি,  ডিএসসিসি ও ওয়াসা কারো মধ্যেই দেখা যায় না।

নগর পরিকল্পনাবিদ, ইতিহাস ভিত্তিক বিভিন্ন নথি থেকে জানা গেছে রাজধানী ঢাকায় এক সময় ৬৩ টি খাল প্রবাহিত ছিলো। এখন থেকে তিন দশক আগেও এ সংখ্যা ছিলো ৫০ টির বেশী। তাছাড়া নগরীর চতুর্দিকে চারটি নদী ও ব্যাপক উন্মুক্ত জলাধার ছিলো।

কিন্তু অবৈধ দখলের কারণে খালের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২৬ টিতে, তাও আবার বেদখলে হয়ে গেছে নালার মতো। তাছাড়া চারটি নদ-নদী তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, বালু ও শীতলক্ষ্যাও এবং এসব নদীর তীরবর্তী বন্যা বিধৌত এলাকা ও উন্মুক্ত জলাধারও বেদখলে বেহাল দশা।

রাজধানীর বৃষ্টির পানিও পয়:নিষ্কাশনের প্রধান প্রবাহ বা গতিপথ হচ্ছে ২৬ টি খাল। এর মধ্যে প্রধান খালগুলো বিশেষ করে দ্বিগুণ, ইব্রাহীমপুর ও কল্যাণপুর খালের প্রবাহ গিয়ে মিলিত হয়েছে তুরাগ নদে। ধানমন্ডি লেক, পরিবাগ খাল, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক ‍ও হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী খালের প্রবাহ গিয়ে পড়েছে বালু নদীতে। সেগুনবাগিচা, জিরানী ও ধোলাইখাল গিয়ে পড়েছে বালু ও বুড়িগঙ্গা নদীতে। তাছাড়া অন্যান্য খাল এবং ধারা-উপধারাগুলো এসব প্রধান খালের সঙ্গে সংযুক্ত।

এই ২৬টি খালের মালিকানা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের। তবে এখনও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ওয়াসা। বাকী সকল খাল বিলীন হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে বেদখল, সড়ক নির্মাণ, বক্স কালভার্ট এবং ড্রেন ও পয়:নিষ্কাশন লাইন নির্মাণ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563513096347.jpg

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াসার এক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ঢাকা ওয়াসার ২০১০ সালের এক জরিপ প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে বেদখল হওয়া খাল অবৈধভাবে গত তিন থেকে চার দশকে দখল করে নেয় প্রায় ১০ হাজার ৫০০ রাজনৈতিক ক্ষমতাধর দখলদার। যাদের অনেকেই এখন ভূমিদস্যু বলে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খালগুলো বেদখল ও বিলীন হওয়ার কারণেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা তীব্র রূপ নিতে শুরু করেছে। যে ২৬ টি খাল আছে সেগুলোও এখন প্রায় নর্দমায় রূপ নিয়েছে। পরিদর্শন ও ঢাকা ওয়াসার নথি থেকে দেখা গেছে দেখা গেছে মিরপুর রূপনগর খালের প্রস্থ ৩ থেকে ৮ মিটার, ৪৬০ মিটার দৈর্ঘ্য বাইশটেক খালের প্রস্থ ৩০ মিটার, ২.৪ কিলোমিটার সাংবাদিক কলোনীর খালের প্রস্থও ২০ মিটারের বেশী হবে না, সেকশন ১৪ এর হাউজিং খালের দৈর্ঘ্য কমে ১.১ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৮.৮ কিলোমিটার বাউনিয়া খালের প্রস্থ ১০ থেকে ১২ মিটার, ৪.৫ কিলোমিটার দ্বিগুণ খালের প্রস্থ ৫০ মিটার এবং ইব্রাহীমপুর খালের দৈর্ঘ্য ১.২ কিলোমিটার।

ঢাকা ওয়াসার ২০০৭ সারের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২.২ কিলোমিটার কল্যাণপুর প্রধান খালটি ছিলো ১৮ থেকে ৩৬ মিটার প্রস্থ। কিন্তু এটির দুই পাড় দিয়ে দখলদারদের অবৈধ দখল ও ভরাটে এটির প্রস্থ কমে এখন আছে ১০ থেকে ১২ মিটার। এছাড়াও এই খালটির আরো পাঁচটি শাখা খালেরও অবৈধ দখলে প্রস্থ কমে এখন নর্দমায় পরিণত হওয়ার পথে। এমন অবস্থা শুধু কল্যাণপুর খালের ক্ষেত্রে নয়, বাকী খালগুলোরও একই হাল।

এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, খালগুলোকে অবৈধ দখলমুক্ত করা ওয়াসার রুটিন কাযর্ক্রম প্রতিনিয়তই চলছে। তবে অনেকক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

তবে রাজধানীর খাল ও জলাধার বেদখলে উদ্যোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বৃহস্পতিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ এর উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, খাল, পুকুর ও নদীসহ অন্যান্য যত জলাধার বেদখল হয়ে আছে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর অধীস্থ ঢাকা ওয়াসা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেন রাজধানীর খাল ও অন্যান্য জলাধারগুলো পুনরুদ্ধার করার। কিন্ত এ সকল প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৃহৎ ও টেকসই কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;