শহরটাই যেন ময়লার ভাগাড়!



রেজা উদ্ দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সুপ্রিমকোর্টে আইন কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখার স্থানে আবর্জনার স্তূপ | ছবি: সুমন শেখ

সুপ্রিমকোর্টে আইন কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখার স্থানে আবর্জনার স্তূপ | ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস ঢাকা শহরে। সময়ের প্রয়োজনে, জীবিকার তাগিদে, উন্নত জীবনের আশায় মানুষের ঢল এখন গ্রাম থেকে শহরমুখী। এই জনস্রোতে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।

কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে গ্রহণ করতে আদৌ কি সক্ষম এ মহানগরী? বায়ু দূষণ, যানজট, বিশুদ্ধ পানির অভাব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীর মানুষ। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে শহরের নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যুদ্ধ করে টিকে থাকার অদম্য সংগ্রাম চলছে তাদের।

ঢাকা শহরের নোংরা পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে দায়ী নগরের অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেশ নাজুক৷ দুটি সিটি করপোরেশন নগরীর বিপুলসংখ্যক বাসিন্দার প্রতিদিনের বর্জ্য অপসারণে যেমন অদক্ষ, তেমনি শহরের বেশির ভাগ বাসিন্দাই আবর্জনা ফেলার ব্যাপারে অসচেতন ও উদাসীন৷ এ কারণে গোটা নগরীকে মনে হয় বিশাল একটি ময়লার ভাগাড়। রাজধানীর মূল সড়কগুলো যেখানে ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে সেখানে গলি কিংবা ছোট সড়কের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791094908.jpg
সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে বেশকিছু এলাকা এসব চিত্র দেখা যায়।

বেলা সাড়ে ১১টায় পশ্চিম শেওরাপাড়া এলাকার বেগম রোকেয়া সরণিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপরে খোলা জায়গায় ফেলা ময়লার স্তূপ থেকে আবর্জনা ট্রাকে তুলছেন সিটি করপোরেশনের কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। দুর্গন্ধে সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াই দায়। এখান থেকে ময়লা তুলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে ফেলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ময়লার কন্টেইনার নেই দেখে রাস্তার উপরেই ময়লা ফেলেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা জানান, প্রতিদিনের গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা একটি ঝুড়িতে জমিয়ে ভোর বেলায় নিজ নিজ ফ্ল্যাটের সদর দরজার সামনে রেখে দেন। সেখান থেকে সেগুলো সংগ্রহ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাকে মাসিক ভিত্তিতে বেতন দেওয়া হয়। বেতনভোগী ওই ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের প্রতিদিনের গৃহস্থালি আবর্জনা ভ্যানে করে নিয়ে এসে ফেলেন সড়কের উপরে কিংবা পাশে থাকা কন্টেইনারে অথবা খোলা জায়গায়। সেখান থেকেই কয়েকদিন পর পর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে সেগুলো ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেওয়া হয়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791120853.jpg
এলাকাবাসী জানান, নিয়মিত সিটি করপোরেশনের লোক না আসায়, ভাঙাচোরা কন্টেইনার থাকায় সেগুলো থেকে প্রায় ময়লা-আবর্জনা উপচে পড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে থাকে। মানুষের পায়ে পায়ে, গাড়ির চাকায় ঘুরে ময়লাগুলো গোটা রাস্তাতেই ছড়িয়ে যায়। খোলা জায়গায় ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে কষ্ট করে চলতে হয় পথাচারীদের৷ কোথাও কোথাও কটু গন্ধে নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হয়। শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট অবর্ণনীয়।

মিরপুর সড়কে ধানমন্ডির শেখ জামাল ক্লাবের মাঠের পাশেই রয়েছে ময়লার বিশাল একটি ভাগাড়। এখানকার বাতাসের কটু গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়।

বাসযাত্রী হিমেল সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ভার্সিটিতে যাওয়া-আসা করি। সবসময় দোয়া করি যেন এ জায়গায় গাড়ি জ্যামে না পড়ে। বিশেষ করে তীব্র গরমে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা তখন এখানকার কটু বাতাস নাকে গেলে প্রায়ই বমি চলে আসতে চায়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791142722.jpg
এ তো গেল গৃহস্থালি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র। কিন্তু এর বাইরেও অনেক আবর্জনা আছে যার জন্য নগরবাসীরাও কম দায়ী নন। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কয়েক বছর আগে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাস্তার পাশে ফুটপাতের উপরে স্থাপন করেছিল কয়েক হাজার ঝুলন্ত ডাস্টবিন৷ সেগুলো ব্যবহার তো দূরে থাক অল্প দিনের মধ্যেই এ সব ডাস্টবিনের বড় একটি অংশ চুরি হয়ে যায়, পড়ে থাকে শুধু তার স্ট্যান্ডগুলো৷ নগরবাসীর অবহেলা আর সিটি করপোরেশনের যথাযথ তত্ত্বাবধানের অভাবে চুরি যাওয়া ডাস্টবিনের সেসব স্ট্যান্ড এখন পথচারীদের চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের বসানো সড়কের পাশের যেসব ডাস্টবিন এখনও টিকে আছে সেসব ডাস্টবিন খালি থাকা সত্ত্বেও ময়লা ফেলা হয়েছে বাইরে।

জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ হামিদ খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঝুলন্ত এসব ডাস্টবিন ছিল পথচারীদের ব্যবহারের জন্য। কিন্তু তাদের ৯০ শতাংশ চোখে দেখেও সেগুলো ব্যবহার করেননি। হাতে যাই থাকে সেটা যেন সড়কে ছুড়ে ফেলাতে তাদের আনন্দ!

নগরীর পরিচ্ছনতার বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কি যত্রতত্র পলিথিন ও ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করেছি?
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791166725.jpg
মেয়রের কথার স্বাক্ষী যেন গোটা রাজধানীর রাস্তাগুলি। সোমবার দুপুরে শিশু হাসপাতালের সামনের ফুটপাত ঘেঁষা রাস্তায় বেশ কয়েক মিটার দীর্ঘ আবর্জনার স্তূপ দেখা গেল। ড্রেনের চিহ্ন বলে কিছু নেই সেখানে।

নীলক্ষেত থেকে হাতিরপুল সড়ক দিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক, ভাঙা ইট পাথর, বালি দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। পানি প্রবাহের কোন জায়গা নেই।

শাহবাগ মোড়, মগবাজার মোড়, সাতরাস্তার মোড়সহ নগরীর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কেই একই চিত্র। পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় অধিকাংশ সড়ক। কোথাও কোথাও বাসাবাড়িতে উঠে যায় দূষিত পানি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563795772162.jpg
তাই রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য নাগরিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মেয়র আতিক। তিনি বলেন, নগরবাসী সচেতন হলে রাজধানীর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

অন্যদিকে নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতের জন্য আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাঠামো নিশ্চতকরণ, বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান, দীর্ঘ মেয়াদে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালানোসহ একাধিক পরামর্শ রয়েছে নগরবাসীর।

   

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিয় থানার মনসুরাবাদ দু'পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪ এর সংবাদ কর্মী সেলিম উল্লাহর ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

হামলায় আহত সেলিম উল্লাহ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন ২২ এপ্রিল বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক সেলিম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মনসুরাবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা মামলার আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

হামলায় আহত সেলিমের ভাষ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিছু হটে। হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে সেলিম জানান।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

;

বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা

বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা

  • Font increase
  • Font Decrease

মরিশাসের পররাষ্ট্র, আঞ্চলিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ককে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন মর্মে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

যেহেতু মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার তাই মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মনিশ গোবিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মরিশাস অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

;

কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি বিশেষ পেশেন্ট ফোরামের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের প্রথম জেসিআই-স্বীকৃত হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা।

প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো এই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, হাসপাতালটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ এবং ক্যান্সারের সাথে লড়াকু সাহসী রোগীরা তাদের নিজেদের অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণ, স্ক্রীনিং নির্দেশিকা এবং চিকিৎসা পদ্ধতির উপর বিশেষ জোর প্রদান করেন।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং হেপাটোলজি বিভাগের কোঅর্ডিনেটর এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ লুৎফুল এল. চৌধুরী নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল বজায় রাখার বিষয়ে জোর দেন। তিনি বলেন, “একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট হিসেবে আমরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি। নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ক্যান্সার ভয়াবহ আকার ধারণের আগেই তা সনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমি মনে করি, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আমাদের উচিৎ ক্যান্সার নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন হওয়া এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং ও স্বাস্থ্যসম্মত লাইফস্টাইল বজায় রাখা। আমাদের মনে রাখা উচিত যে উপযুক্ত জ্ঞান হলো প্রতিরোধের অন্যতম ভিত্তি।”

মেডিকেল অনকোলজির কোঅর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ফেরদৌস শাহরিয়ার সাইদ বলেন, “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার মোকাবেলায় রোগীদের সার্বিক সহযোগীতার পাশাপাশি যথাযোগ্য চিকিৎসার ধাপগুলো নিশ্চিত করতে আমরা স্বচেষ্ট। তবে সাধারণ মানুষকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।”

জেনারেল অ্যান্ড ল্যাপ সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, “কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রোগীর জীবন বাঁচাতে সময়মত পদক্ষেপ ও উন্নত অস্ত্রোপচারের কৌশলগুলো গ্রহণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ।”

এভারকেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশের সিইও ও এমডি ডাঃ রত্নদীপ চাষ্কার বলেন, “এভারকেয়ার হসপিটালের মূল লক্ষ্য স্বাস্থ্যজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে ভূমিকা রাখা। আমাদের দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকমন্ডলী গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো চিহ্নিতকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে ।”

এভারকেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশের মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক ডাঃ আরিফ মাহমুদ বলেন, “কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রচার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রোগীকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও সহায়তায় এভারকেয়ার হসপিটাল সর্বদা স্বচেষ্ট।”

আয়োজিত এই পেশেন্ট ফোরামে বিশেষজ্ঞরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। দেশের প্রথম জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) স্বীকৃতি পাওয়া এভারকেয়ার হসপিটালের জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে অঙ্গীকারগুলোসহ ক্যান্সার মোকাবেলায় দক্ষতা ও রোগীদের স্বাস্থ্য উন্নতি প্রদর্শনে এই ফোরামটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ইকবাল মুর্শেদ কবির ও সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাঃ শায়লা পারভীন, এভারকেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশের সিইও ও এমডি ডাঃ রত্নদীপ চাষ্কার, মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ আরিফ মাহমুদ, চিফ মার্কেটিং অফিসার ভিনয় কাউল- সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন ক্যান্সার-সারভাইভার, যারা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো সবার সাথে শেয়ার করেন।

;

মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আরাফাতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মরিশাসের পররাষ্ট্র, আঞ্চলিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন মর্মে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।

যেহেতু মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার তাই মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনিশ গোবিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মরিশাস অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

;