১০ মিনিটে মিলছে একটি টিকিট!
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকেই ঈদুল আযহার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিনেই টিকিট প্রত্যাশী মানুষের চাপ দেখা গেছে গাবতলী কল্যাণপুরের বাস কাউন্টারগুলোতে।
বৃষ্টিকে মাথায় নিয়েই সকাল থেকে টিকিট প্রত্যাশী মানুষের অপেক্ষা চোখে পড়ার মতো ছিল। ৭টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সকালের দিকে তেমন একটা চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন বাস কাউন্টারগুলো।
তবে টিকিট প্রত্যাশীদের অভিযোগ খুবই ধীরগতিতে টিকিট ছাড়ছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ১০ মিনিট পর পর একটি করে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। যদিও আগাম টিকিট বিক্রি করছেন একাধিক টিকিট বিক্রয় কর্মী।
সরেজমিনে কল্যাণপুরের শ্যামলী বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকা টিকিট প্রত্যাশী মানুষেরা একপ্রকার বিক্ষোভ করছে। তারা বলছেন, এভাবে ধীরগতিতে টিকিট ছাড়ার পর দুপুর হতে না হতেই বলবে টিকিট শেষ।
বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মোশারফ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি সকাল ৬টায় যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তার চেয়ে দু-তিন পা এগিয়েছি, কাউন্টারে গিয়ে দেখে আসলাম,খুবই ধীরগতিতে টিকিট দিচ্ছে। ১০ মিনিট পর পর একজন করে টিকিট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বৃষ্টির মধ্যেই বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু
একই ধরনের অভিযোগ করেন টিকিট প্রত্যাশী হাফিজুর রহমান। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি টিকিট কাটার লম্বা লাইন কিছুটা পেরিয়ে কাউন্টারের ভেতরে প্রবেশ করেও টিকিট পাচ্ছিনা। অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলায় পা রাখা যাচ্ছে না। এতটা ধীরগতিতে টিকিট বিক্রি চলছে, যেন এক মাসেও শেষ হবে না।’
এদিকে যাত্রীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্যামলী পরিবহনের একাধিক কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তারা কোনো জবাব দেননি। তবে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, ‘অনেক মানুষ থাকার কারণে টিকিট বিক্রি করলেও কারো চোখে পড়ছে না। তাই এমন অভিযোগ করছেন।’
আরও পড়ুন: গাবতলীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি
অন্যদিকে, সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টিতে বাইরে টিকিট প্রত্যাশীদের ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে। তবে সবার লক্ষ্য একটাই, তাদের কাঙ্ক্ষিত টিকিট অর্জন করা।