ডেঙ্গু নিয়ে গুজবকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: সাঈদ খোকন
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ও ছেলেধরার গুজব একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে ডেঙ্গু ও ছেলেধরার গুজব কারীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, কেউ যদি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বা কতজন মারা গেছেন-এ সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ করার চেষ্টা করে, গুজব ছড়িয়ে কাল্পনিক গল্প বানিয়ে সমাজকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তাহলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবে না। যারা ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬জুলাই) জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও স্কাউটস্ লিডারগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আমরা বারবার দেখেছি, মানুষ যখনই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে, নিজের জীবনমান পরিবর্তনের চেষ্টা করে-তখুনি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। দেশের মানুষ সুখে থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাক তারা তা চায় না। তবে অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামকে কোন ষড়যন্ত্রকারী ব্যাহত করতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক এক শ্রেণির মানুষ তা চায় না। তারা সমাজে বিশৃঙ্খলা চালানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বিভ্রান্তি আর ছড়াবেন না। সেটা ছেলেধরা হোক, আর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েই হোক।
তিনি বলেন, যারা ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ থেকে সাত হাজারকে যারা সাড়ে তিন থেকে পাঁচ লাখ করার চেষ্টা করছে তারা সমাজের ষড়যন্ত্রকারী। এ সংখ্যা দেওয়ার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইইডিসিআরের। চার পাঁচ লাখ ডেঙ্গুর সংখ্যা ও ছেলেধরার গুজব একই সূত্রে গাঁথা।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক লক্ষ্য রাখছেন এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারের প্রতিটি বিভাগ কাজ করে চলেছে।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্কাউটস্-এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসাঈন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।