রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে রোহিঙ্গারা যাবে না
রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে রোহিঙ্গারা যাবে না। বাংলাদেশ জোর করে কাউকে পাঠাবে না।
বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোমবার (২৯ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় সাক্ষাৎ শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান এসব কথা বলেন।
১৫ সদস্যের মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। তিনি বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে প্রস্তুত। তবে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরকেই।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান বলেন, আস্থা সৃষ্টি না হলে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানো ঠিক হবে না। তাদের প্রত্যাবাসনের সঙ্গে তাদের জীবন জড়িত। বাংলাদেশ থেকে জোর করে কাউকে পাঠানো হবে না। সোমবারও (২৯ জুলাই) ৬ হাজার পরিবারের ২৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানবিক কারণে বাংলাদেশ যাদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ফেরত পাঠাবে না।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার এখনই সবচেয়ে ভালো সময়। আমরা তাদের নিতে প্রস্তুত। কিন্তু যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরই।
রোববার (২৮ জুলাই) কক্সবাজারে দেশটির এই কর্মকর্তা বলেছেন, শর্তসাপেক্ষে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে মিয়ানমার রাজি।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আমরা নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত। ১৯৮২ সালের মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী প্রত্যেককে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া যারা দাদা, মা ও সন্তান; এই তিনের অবস্থানের প্রমাণ দিতে পারবেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। একইভাবে ন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) অনুযায়ী যারা কাগজপত্র দেখাতে পারবেন, তাদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।