সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব না: স্টেশন ম্যানেজার
ঈদের টিকিট সংখ্যা সীমিত কিন্তু চাহিদা অপরিসীম। বিশাল চাহিদার কারণে টিকিট স্বল্পতার কারণে সবার চাহিদা মতো ঈদের টিকিট দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নিজের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ‘আমাদের টিকিট সংখ্যা সীমিত। যা আছে তাই যাত্রীদের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তবে চাহিদা প্রচুর। সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) ৮ আগস্টের জন্য তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ ৩৭টি ট্রেনের ২৭ হাজার ৭৮৫ টিকিট আছে। এর ৫০ ভাগ অনলাইনে বিক্রি হবে।’
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘আজ কমলাপুর স্টেশন থেকে ১৩ হাজার ৭৩৫টি, তেজগাঁও থেকে ৩ হাজার ৫৩৯টি, বিমানবন্দর থেকে ৪ হাজার ৮৩২ টিকিট বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: কমলাপুরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি: দ্বিতীয় দিনে উপচে পড়া ভিড়
অনলাইনে টিকিট বিক্রির ত্রুটি সম্পর্কে জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান সিএনএস লিমিটেডের সিইও জিয়াউল হাসান সারোয়ার বলেন, ‘লাস্ট ইয়ার আমরা যখন রেল সেবা চালু করেছি তখন ১০ হাজার টিকিটের সব বিক্রি হয়েছিল। প্রক্রিয়াটা স্লো থাকলেও, সব কিন্তু বিক্রি হয়েছিল। এবার আমরা আরও বেশি একসেস দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রান্সপারেন্ট ও ক্লিয়ার ওয়েতে টিকেট বিক্রি করি। এটা পৃথীবির কোথাও নাই। আজকে ১০ হাজার ৪০০ টিকিট পেয়েছি, তার মধ্যে ৯ হাজার বিক্রি শেষ। আমরা সিস্টেম ফাস্ট করে দিয়েছি, সকালে এক ঘণ্টায় সাড়ে ৬ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।’
এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টায় কমলাপুরের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনে আসে দুদকের একটি টিম। পরিদর্শন শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক জি এম আহসানুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোথাও কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে টিকিট প্রত্যাশীরা এসি টিকিট পাচ্ছে না বলে আমাদের জানিয়েছে। আজকের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম বেশ সাবলীল মনে হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কমলাপুরে সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।