ডেঙ্গুর প্রভাবে রক্তের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে



রেজা-উদ-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকে চলছে রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকে চলছে রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রক্তের চাহিদা। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের রক্তে প্রায়ই প্লাটিলেটের (অণুচক্রিকা, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে) মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায় বলে তাদের শরীরে বাইরে থেকে প্লাটিলেট দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

রোগীর জীবন বাঁচাতে তাই রোগীর স্বজনরা দ্বারস্থ হচ্ছেন ব্লাড ব্যাংকগুলোতে। ন্যূনতম মূল্যে রোগীদেরকে চাহিদা মতো রক্ত কিংবা রক্তদাতা সরবরাহের চেষ্টা করছে ব্লাড ব্যাংকগুলো। তবে হঠাৎ করে রক্তের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ব্লাড ব্যাংক ছাড়াও ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেও অনেকে রক্ত সংগ্রহ করছেন।

রাজধানীর একাধিক ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টার ঘুরে রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় গুণ রক্তের চাহিদা বেড়েছে। সকারি হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক হোক কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক সবখানেই একই অবস্থা।

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের একটি বড় সংগঠন বাঁধন। বাঁধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ডোনার হিসেবে রক্ত দেন। বাঁধনের ঢাবি শাখার সভাপতি আহসান উল্যাহ পাঠান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘রক্তের প্রয়োজন হলে সবসময় চাহিদা অনুসারে ডোনার জোগার করে দিই। কিন্তু গত একমাসে রক্তের চাহিদা এত বেড়েছে যে এখন ডোনার জোগার করতে হিমশিম খাচ্ছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564569420181.gif

কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংক রক্ত সংরক্ষণ করে। রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রতিনিয়ত সেখানে ভীর লেগেই আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক রোগীর স্বজন ডোনার না পেয়ে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সংরক্ষণ করা কিছুটা পুরনো রক্তও এখান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুস্থ মানুষের রক্তে প্লাটিলেটের হার প্রতি ১০০ মিলি লিটারে দেড় লাখ থেকে চার লাখ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে প্লাটিলেট এক লাখের নিচে চলে আসে। প্লাটিলেট ২০ হাজারের নিচে নেমে এলে কোনো ধরনের আঘাত ছাড়াই শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে, যেমন- নাক বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, মলের সঙ্গে রক্ত আসা ইত্যাদি।

সংগৃহীত রক্ত থেকে প্লাটিলেট পৃথক করতে তা নিতে হয় ট্রান্সফিউশন সেন্টারে। প্লাটিলেট যেহেতু যথাসম্ভব দ্রুত সময়ে রোগীর শরীরে প্রবেশ করাতে হয় তাই স্বজনদের দ্বারা সরবরাহকৃত রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষণ শেষে প্লাটিলেট সংগ্রহ করে স্বজনদের হাতে দিচ্ছে ট্রান্সফিউশন সেন্টারগুলো।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর স্বজনদের ভিড় লেগে রয়েছে। যাদের অনেকেই প্লাটিলেট সংগ্রহের জন্য এসেছেন।

রক্ত সংগ্রহে আসা মনিরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'মেয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডোনার নিয়ে এসে ক্রস ম্যচিং করিয়ে রক্ত দেওয়া হয়েছিল। রক্ত থেকে প্লাটিলেট পৃথক করা হয়েছে সেটাই নিতে এসেছি। খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো।'

দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সেখানে ভিড় কিছুটা কম। একই চিত্র মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন সেন্টারেরও। তবে রক্তের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564569437005.gif

রক্ত থেকে প্লাটিলেট সংগ্রহে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এর মধ্যে প্লাটিলেট অ্যাপহেরেসিস, র‌্যানডম ডোনার প্লাটিলেট ও সিঙ্গেল ডোনার প্লাটিলেট পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত। পদ্ধতি ও হাসপাতাল ভেদে প্লাটিলেট পৃথকীকরণ খরচও ভিন্ন ভিন্ন।

জানতে চাইলে রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখার ইনচার্জ ডা. জাহিদুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘২০০ মিলি লিটার প্লাটিলেটকে এক ইউনিট বলা হয়। আমরা দুটি পদ্ধতিতে এক ইউনিট রক্তের প্লাটিলেট সংগ্রহ করে থাকি। এর একটি হল অ্যাপহেরেসিস পদ্ধতি, যেটা অনেকটা ডায়ালাইসিসের মতো। এতে খরচ হয় ১৫ হাজার ৮০০ টাকা।’

‘আরেক পদ্ধতিতে চারজন ডোনারের থেকে এক ইউনিট প্লাটিলেট সংগ্রহ করা যায়। এতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। খরচ হয় চার হজার ৭০০ টাকা।’

ডা. জাহিদ বলেন, 'রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে যে চাহিদা থাকে তার সঙ্গে গত এক মাসের পরিস্থিতির তুলনা করলে সেটি প্রায় পাঁচগুণ। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৭৫ ইউনিট রক্ত সরবরাহ করেছি।'

   

আসন্ন বাজেটে তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩ শতাংশ) মানুষ তামাক সেবন করেন। পাশাপাশি প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং এসব রোগের চিকিৎসায় সরকারের ব্যয় এ সংক্রান্ত খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব আয়ের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই, আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাক পণ্যের ওপর কার্যকর করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’ ও ‘প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশন’।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আসন্ন ২০২৪-'২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর বৃদ্ধির দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশন-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫শ ৬০ কোটি টাকা। অথচ একই সময়ে তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮শ ১০ কোটি টাকা) চেয়ে অনেক বেশি।

তামাক পণ্যের দাম বাড়লে যে এর ব্যবহার কমে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি প্রমাণিত। এমতাবস্থায় সিগারেটের নিম্নস্তরের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ৬০ টাকা; মধ্যমস্তরের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ৮০ টাকা; উচ্চস্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ১শ ৩০ টাকা ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের দাম ১শ ৭০ টাকা ধার্যের দাবি জানানো হয়।

সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, আসন্ন বাজেটে তাদের প্রস্তাবিত তামাক কর বাস্তবায়ন করা হলে দেশে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩.৮০ শতাংশ হবে। একই সঙ্গে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৬শ ৫৬ তরুণ জনগোষ্ঠীর অকালমৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে; যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।

সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, তামাকের ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বির্নিমাণে সংসদ সদস্যরা কাজ করছেন।

তিনি আরো বলেন, কার্যকর কর কাঠামো না থাকায় আমাদের দেশে তামাকের মতো ক্ষতিকর পণ্যটির দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা। ফলে, সহজেই সাধারণ মানুষ তামাক সেবন করছেন এবং বিভিন্ন মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই, সিগারেটের মতো তামাকপণ্যের জটিল করপদ্ধতি (স্তরভিত্তিক) বাতিল করে সুনির্দিষ্ট করপদ্ধতি কার্যকর করতে হবে; যাতে সবধরনের তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নেওয়া যায়।

সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, দেশে ১৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ১৮ শতাংশ ধূমপান করেন। আবার কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূপমানের শিকার হন।

বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে তামাকের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষায় সব ধরনের তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ, তামাক ব্যবহার কমাতে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি পন্থা, কার্যকর কর আরোপ। আমাদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করে কার্যকর কর আরোপ করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে ১০ হাজার কোটি টাকা; যা বিগত বছরের থেকে ২৮ শতাংশ বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ বাঙ্গিসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

;

সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন।

নিহতরা হলেন, গাজীপুরের টঙ্গীর সাগর, একই জেলার কাপাসিয়া উপজেলার অলিউল্লাহ, কিশোরগঞ্জের বাবু, মোহন, জসিম উদ্দিন, এরশাদ, তপু হোসেন, ইয়াছিন ও নয়ন।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, নিহতদের স্বজন কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মরদেহ পরিবহনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে স্থানীয় প্রশাসন থেকে দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গামাটির সাজেক-উদয়পুর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে ফেরার পথে নব্বই ডিগ্রি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপ খাদে পড়ে যায়। এতে পিকআপে থাকা ৯ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষতা উন্নয়ন ও সবাের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে হাতিয়ার বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ লক্ষ্যে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘গ্লোবাল স্কিলস ফোরাম’ এর আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। সরকার সাধারণ শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষের পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে জীবন ও জীবিকা সংক্রান্ত পাঠ এবং প্রয়োজনীয় জীবন অভিজ্ঞতার পাঠ সন্নিবেশিত হয়েছে। তাছাড়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মান উন্নয়নে সরকার বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিক বিনিয়োগের ফলে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান। সাধারণ শিক্ষার ন্যায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মেয়েদের হার ছেলেদের অংশগ্রহণের হারকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্ত্রী জানান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবো সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপসমূহের ফলে দক্ষতা উন্নয়নে গুণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে জানান। মহাপরিচালক হোংবো নারী শিক্ষার প্রসার ও মান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও দেশজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়নে কাজ করছে তেমনি মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও নতুন নতুন দক্ষতা তৈরিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।

গ্লোবাল স্কিলস ফোরামের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ প্যানেল আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থার পরিবর্তনে বাস্তবায়িত প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাকি রিজওয়ানা, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ছাড়াও জেনেভায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা এ প্রকল্পের সাফল্যের ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান এবং এ প্রকল্প অন্যান্য দেশের দক্ষতা উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

;

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পিতাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরবর্তীতে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আসামি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

রায় ঘোষণার আগে মামলায় ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

;