ভবিষ্যৎ কেবলই মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালের



আলমগীর হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাবলে রূপকথার মতো লাগে! প্রযুক্তি দুনিয়ার ২০০৫ সাল পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কথা চিন্তা করলে এখনও বিস্মিত হতে হয়। মোবাইল এলো, ইন্টারনেটের জাল ধীরে ধীরে ছেয়ে ফেলল বিশ্ব প্রকান্তারে মহাবিশ্ব। জীবন-যাপন, শিক্ষা, ব্যবসা, সমাজ প্রভৃতির চিরায়িত ধ্যান-ধারণা কীভাবে পাল্টে দিলো ও গেলো তা ব্যাখ্যা-বাহুল্য।

সাংবাদিক হিসেবে সংবাদমাধ্যমই আমাদের দিন-রাত। অন্তর্জালের প্রভাব থেকে এ মাধ্যমটিও যে রেহাই পায়নি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবার বিশ্বাস ছিলো, প্রিন্ট মিডিয়ার সূর্য্য কোনোদিনও অস্ত যাবে না! ব্যক্তিগতভাবে এ মাধ্যমটিতে প্রায় ৪০ বছর কাটিয়েছি বলে সম্পর্কটি নাড়ির।

দেখতে হলো, একদা সিংহের মতো প্রতাপশালী প্রিন্ট-মিডিয়ার অস্ত এবং ডিজিটাল-মিডিয়ার উদয়। অন্যরা যেটি বুঝতে পাঁচ-দশ বছর লাগিয়ে দিলো, পুব আকাশে ডিজিটাল মিডিয়ার লালচে আভা টের পেয়ে যাই আরও আগেই। নানান দেশে ঘোরার অভিজ্ঞতাও এক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে বৈকি। ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করি বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন নিউজপোর্টালের।

ধীরে ধীরে বেলা বাড়লো। নতুন সূর্য্যের তাপ বেড়েছে। তখনও সংবাদমাধ্যমের হর্তা-কর্তারা দ্বিধান্বিত— প্রিন্ট না অনলাইন মিডিয়া? কেউ প্রিন্ট-মিডিয়া আঁকড়ে থাকল, কেউ নৌকা ভাসালো নতুনের পথে। ২০১০-২০১৫ সালের মধ্যেই উত্তর পেয়ে গেলো দু-পক্ষই। বিশ্বের সব ঐতিহ্যবাহী ও প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো একে একে ছাপা পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল মিডিয়ার পথে পা বাড়াতে বাধ্য হলো। বাংলাদেশেও এর ব্যতয় ঘটল না।

এরপরও একটি প্রশ্ন সামনে এসেই যাচ্ছিল— অনলাইন মিডিয়াই কী সংবাদমাধ্যমের একমাত্র ভবিষ্যৎ? এরও যুৎসই উত্তর দিয়ে দিলো একটি সমীক্ষা।

আন্তর্জাতিক চ্যানেল এইচবিও’র ‘লাস্ট উইক টু নাইট’ নামক এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপক জন অলিভার প্রিন্ট মিডিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এক রিপোর্ট উপস্থাপনা করেন। রিপোর্টে তিনি দেখান, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিজিটাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন থেকে রাজস্ব আদায় করেছে দুই (২) বিলিয়ন ডলার, যেখানে এই একই সময়ে প্রিন্ট মিডিয়া লোকসান করেছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।

এটি কেবলই যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব। বাকি বিশ্বের চিত্র আমরা সহজেই আন্দাজ করতে পারি।

সুতরাং, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে বসে, এই আলাপ করা এখনও বোকামি ও পশ্চাৎপদ যে, অনলাইন মিডিয়াই সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ! এ আলোচনার অবসান ঘটেছে সেই ২০১৪-১৫ সালেই। কাজেই আগামী বিশ্বের সংবাদমাধ্যম ও এই কেন্দ্রিক ব্যবসা যে এই অনলাইনমাধ্যমেই, তা বুঝতে রকেট সায়েন্স পড়া লাগে না।

/uploads/files/089c4geeNZ2Eg3bHuGRa7Ohgu4BxotSjNBSYMQNd.png

একটা কথা বেশ প্রচলিত, বিশ্ব এখন হাতের মুঠোই! মজার ব্যাপার হলো, এই বাক্যটির দিনও শেষ। বিশ্ব এখন এক আঙুলের ছোঁয়ায়। প্রযুক্তির ভাষায় বললে, বিশ্ব আসলে ‘হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস’র স্ক্রিনে। হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস বলতে, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ফ্যাবলেট প্রভৃতি। এখনকার দিনে ল্যাপটপও আসলে সেকেলে।

কয়েকটি তথ্য দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে, গোটা বিশ্বে বর্তমানে স্মার্টফোন তথা মাল্টিমিডিয়া ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪.৭৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ৪৭৬ কোটি। এবার বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে নিন।

ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বলছে, ২০১৭ সালের জুন মাস অব্দি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩.২ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩২০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর আওতাধীন।

আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৮৪.৫৪ মিলিয়ন (মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত) এবং মোবাইল ফোন সাবস্ক্রিপশন ১৪১.৬৭৯ মিলিয়ন (অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত), তথ্য বিটিআরসি’র।

খুব সহজেই ধারণা করা যায়, আগামীর সংবাদ মাধ্যম ও এই কেন্দ্রিক ব্যবসা কোনদিকে যাবে ও কীভাবে হবে। উল্লিখিত, ‘হাতের মুঠোই গোটা বিশ্ব’র মতো অনলাইনই সংবাদমাধ্যমের ভবিষ্যৎ সেটিও প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে সেকেলে হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তির এই এক ভালো দিক, সদা অগ্রগামী। আজকের আইফোন-৮ এর কাছে কালকের আইফোন-৭ সেকেলে। কাজেই বর্তমান সংবাদমাধ্যম কেবল অনলাইন হলেই হবে না, হতে হবে মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাল্টিমিডিয়ার আধুনিক সব সুবিধাই তাতে যোগ করতে করতে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই সেটি হবে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকা সংবাদমাধ্যম।

কেমন হতে হবে মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল

সহজ কথায়, মাল্টিমিডিয়া অর্থাৎ বহমুখী মাধ্যমের সুসমন্বয় ও কার্যকরী ব্যবহার। টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও, অ্যানিমেশন, হাইপার লিংক, পপআপ , ইন্টারেক্টিভ অপশন প্রভৃতি হলো এক একটি মিডিয়াম। এই সব সুবিধাই থাকতে হবে নিউজপোর্টালে।

তীব্র গতিশীল দৈনন্দিন জীবন-যাপনে এখন কারও সেই সময় নেই যে এক হাজার ওয়ার্ডের একটি লেখা বসে বসে পড়বে। হোক তা সে অনলাইনের। সেই জায়গাটি দখল করেছিল, স্থিরচিত্র। তাকে হটিয়েও জায়গা করে নিচ্ছে ভিডিও। দুই মিনিটের ভিডিওতে যদি পাঠক এক হাজার ওয়ার্ডের আদ্যপান্ত নিউজ পেয়ে যায় তাহলে কেন সে আধ ঘণ্টা সময় ব্যয় করবে! এবং করছেও না!

ভিডিও স্ট্রিমিং মিডিয়া ইউটিউবের দিনপ্রতি ভিউয়ার প্রায় ৪০ মিলিয়ন। আরেক জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্সে প্রতিদিন ১২৫ মিলিয়ন ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিমড্ হয়। ইউটিউব যেখানে ফ্রি, নেটফ্লিক্সে সেখানে টাকা খরচ করে দেখতে হয়। তাও মানুষ দেখছে। ইতোমধ্যেই স্রেফ ‘ভিডিও’ একাই গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম ও ব্যবসা ওলটপালট করে দিয়েছে। অন্যসব ক্ষেত্রের কথা না-ই-বা বললাম।

এই প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে, বিবিসি, সিএনএন, এপি, এএফপি, রয়টার্সের ইত্যাদির মতো প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো ইতোমধ্যেই ভিডিও-নিউজ দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। শুধুই কী তাই? আধুনিক মাল্টিমিডিয়ার সব সুবিধাই তাদের সাইটে রয়েছে এবং দিনকে দিন নতুন নতুন সব যোগ করে চলেছে।

/uploads/files/M5uwo9zBnAhwrCP9ZBNgwvLTwhUq199pzn2tIRLL.jpeg

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ ব্যবহার করছে সাইটে। কোনো নতুন পাঠক সাইটের একটি নিউজ পড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই পপআপ ও হাইপার লিংকে হাজির করে দিচ্ছে তার রুচি-পছন্দ অনুযায়ী আরও নানা খবর। ধীরে ধীরে রিডারের ডাটাবেজও তৈরি করে ফেলছে সে। বিভিন্ন সময় নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে, এই নিউজটি বোধহয় আপনি মিস করে যাচ্ছেন।

কাউকে আর বলে বোঝাতে হবে না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রভাবের কথা। এগুলো এতো এতো জনপ্রিয় হওয়ার একটাই কারণ, একই সঙ্গে মাল্টিমিডিয়া সুযোগ-সুবিধা এবং ইন্টারেকটিভ অপশন। কার্যকরী ইন্টারেকটিভ অপশন থাকতে হবে, আধুনিক নিউজপোর্টালেও।

প্রচলিত নিউজ রিপোর্টারের ধারণা বদলে দিতে পারে এটি। যে কেউ, যেকোনো জায়গা থেকে নিউজসহ ছবি-ভিডিও পাঠিয়ে দিতে পারে নিউজরুমে। ইতোমধ্যেই ফেসবুকে আমরা এর সফল প্রয়োগ দেখেছি। মিশরে গোটা একটা গণঅন্দোলন তৈরি ও পরিচালিত হয়েছে শুধু ফেসবুক দিয়েই। কাজেই আধুনিক নিউজপোর্টালকে হতে হবে বহু কাজের কাজী অর্থাৎ মাল্টিটাস্কার ও মাল্টিসার্ভিসেস পোর্টাল।

এখনও পুরাতনপন্থী অনেক বিনিয়োগকারীরা রয়েছেন যাদের এখনও সন্দেহ, অনলাইন মিডিয়ায় অর্থ আসবে তো? তাদের জন্য স্ট্যাটিস্টা পোর্টালের একটি তথ্য, ২০১৭ সালে কেবল ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজে খরচ করা হয়েছে ২২৯.২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ভাবা যায়!

মাল্টিমিডিয়া সংবাদমাধ্যমের অন্যতম দাবিদার হিসেবে সদ্যই যাত্রা শুরু করলো ‘বার্তা২৪’। বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথি হয়ে এটি কাজ করে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই যাত্রায় সবার সহযোগিতা ও শুভকামনা মিলবে বলে আশা রাখে বার্তা২৪।

 

   

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;

কটিয়াদীতে চেয়ারম্যান-মেম্বারের দ্বন্দ্ব, এমপির সামনেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এড. সোহরাব উদ্দিনের সামনেই করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও এক মেম্বারের সমর্থকদের চেয়ার ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান পানুর মধ্যে সৃষ্ট পূর্ব বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে করগাঁও হাইস্কুল মাঠে এক শালিস দরবার আয়োজন করা হয়। পরে শালিস দরবারের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সাবেক সাংসদ মেজর অব. আখতারুজ্জান রঞ্জন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. এম এ আফজল, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, এড. মাহমুদুল ইসলাম জানু ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তি বর্গসহ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

শালিসের এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে কটাক্ষ করে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাট্টা এলাকায় এক ব্যক্তির নিকট পাওনা টাকা আদায় ও ভিজিডি চাল বরাদ্দের বিষয় নিয়ে গত রমজান মাসে করগাঁও ইউনিয়নের ভাট্টা ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুবুর রহমান পানুকে পরিষদ থেকে ধরে নিয়ে করগাঁও এলাকার কিছু লোক অপমান অপদস্ত করে।

তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ ও উক্ত ঘটনার কোনো বিচারও করে নাই। বিষয়টি অন্যান্য মেম্বারসহ একাট্টা হলে করগাঁও ও ভাট্টা এলাকায় অচলাবস্থাসহ উত্তেজনা বিরাজ করে। সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে এমপিসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে গ্রামবাসী শালিস দরবারে বসে। কিন্তু চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে আক্রমনাত্মক কথার কারণে শালিস দরবার পন্ড হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে করগাঁও এলাকায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

;

যাদের কোন জাত-ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীতে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই’ তারাই দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুনি। এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা মুসলিমও না, হিন্দুও না। তাদের কোনো ধর্ম নেই।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। এর আগের দিন বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

মন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা মনে করেছে, এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে! তার কোন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে আইনের ধারানুযায়ী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় ১৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের সমাজে কে হিন্দু, কে মুসলমান কে কোন জাতি এটা বড় বিষয় নয়, আমরা সকলেই মানুষ। কোন মানুষই এ ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছে না। সকলেই শোকাহত পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন হত্যাকাণ্ডের তথ্য উদঘাটন করার জন্য। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য হয়তো চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেদিকে আপনারা সতর্ক অবস্থানে থাকুন। কোন ভাবেই শান্তি প্রিয় এ এলাকাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। যা নিহত দুই ভাইয়ের মা-বাবা দেখে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে এ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যার যার এলাকায় নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন নিয়ে সভা করেন। লোকজনকে বুঝিয়ে বলুন যে, দুই শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। ঘটনাটি নিয়ে আবেগী হয়ে আপনারা কোন বিষয়ে উস্কানি দিবেন না। এলাকায় পাহারার মত অবস্থানে থাকুন। প্রয়োজনে আপনারা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, কোন দল বা কোন সংগঠন যারাই এই পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তাদেরকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। তবে এ ঘটনাকে ইস্যু করে কোন ধরণের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত দুই শ্রমিকের বাবা শাহাজাহান শেখ, মধুখালী সার্কেলের এএসপি মিজানুর রহমান, ফরিদপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উজানদিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ আলম হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবাস রায় প্রমুখ। সভায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর বদরুল হুদা আকরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৫জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

;

গ্যাসের সিস্টেম লস এ বছরেই জিরোতে নেমে আসবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাসের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযানের কারণ সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ সিস্টেম লস জিরোতে নেমে আসবে বলে আশাবাদী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ২ বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে অবৈধ শিল্প সংযোগ ৩৩৬টি, ৯৭টি ক্যাপটিভ, সিএনজি ফিলিং স্টেশন ১৩টি, ৯৮৯টি কিলোমিটার অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৬০৪ কোটি টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে অনেক বাঁধা এসেছে, শুধু রাজনৈতিক নেতা নয়, অনেক রকম বাঁধা এসেছে। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এখানে কোন বাঁধাই বাঁধা নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে প্রতিবছর অডিটিং করার জন্য। মিটার ক্যালিব্রেশন করা হবে, তাদের প্রয়োজনীয় অনুমোদন আছে কি-না। নিয়ম অনুযায়ী কার‌্যক্রম চলছে কি না। সারাদেশে যতো আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহক রয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরিদর্শন করবে।

তিতাস গ্যাসে তৃতীয় পক্ষের মধ্যমে অডিটিং করার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তিতাস গ্যাসের হিসাব, তাদের বিলিংয়ের অংকে কোন ভুলভ্রান্তি আছে কিনা। কোন ভুতুড়ে গ্রাহক আছে কিনা। তিতাসের প্রাইসিংয়ের মধ্যে কোন ফাকফোকর আছে কিনা অডিট করা হবে। তাদের ট্যাক্সেশন নিয়ে অভিযোগ ছিল, সেটাও যাচাই-বাছাই করবে।

তিনি বলেন, আমরা ১২হাজার কোটি টাকায় প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্পটি হলে ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে ভূমিকা রাখবে। শিল্পে কিভাবে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিতাস গ্যাস ৩০ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্প নিয়েছে। এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে যাওয়া হবে। গোটা তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে কিভাবে ফান্ডিং করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে বলেছি, তাদের একটি রোডম্যাপ করার জন্য। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে শুধু টেকনোলজি না। টেকনোলজি শুধুমাত্র একটি কমপোনেন্ট মাত্র। সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা অতীতে সহযোগিতা করেছেন আপনাদের একটি ভূমিকা প্রয়োজন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।

;