জমি খুঁজছেন রাসিক মেয়র, কারখানা ঠেকাতে মাঠে এমপি

চামড়া কারখানা স্থাপন



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জান লিটন (বামে) ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা/ ছবি: সংগৃহীত

রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জান লিটন (বামে) ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে চামড়া শিল্প পার্ক স্থাপনের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই জোর চেষ্টা করছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জান লিটন। এজন্য জমিও খুঁজছেন তিনি। জায়গা চূড়ান্ত করার জন্য গত ২৭ জুলাই বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মোশ্তাক হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সিটি মেয়র নগরীর কয়েকটি স্থান পরিদর্শনও করেন।

তবে মেয়রের এই সিদ্ধান্তে নাখোশ রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহীতে যেকোনো ধরনের লেদার অ্যান্ড ট্যানারি শিল্প পার্ক স্থাপনের ঘোর বিরোধী এই সংসদ সদস্য। চামড়া শিল্প রাজশাহীর প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর উদ্যোগ বলে দাবি করে- এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় চামড়া কারখানা ঠেকাতে জনমত তৈরিতে প্রকাশ্যে বক্তৃতাও করছেন এমপি বাদশা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই খায়রুজ্জামান লিটন মহানগরীর মধ্যে অথবা পার্শ্ববর্তী এলাকায় লেদার অ্যান্ড টেনারি শিল্পপার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। চামড়া শিল্পপার্ক স্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দসহ অন্যান্য সহযোগিতা পেতে বিভিন্ন মহলে জোর তদবিরও করছেন মেয়র।

চলতি বছরের ১৫ জুলাই শিল্পমন্ত্রী অ্যাড. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে রাজশাহীতে চামড়া কারখানা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৈঠক করেন মেয়র লিটন। বৈঠকে রাজশাহীতে চামড়া শিল্প পার্ক গড়ে তোলার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারবাহিকতায় স্থান নির্বাচনের জন্য জুলাইয়ে রাজশাহীতে আসেন বিসিক চেয়ারম্যান। সিটি মেয়র বিসিক চেয়ারম্যানকে নিয়ে রাজশাহী নগরীর পার্শ্ববর্তী বেলপুকুর ও বানেশ্বর এলাকায় চামড়া কারখানার জন্য জায়গা পরিদর্শন করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564895041422.gif
কারখানার জন্য জমি পরিদর্শনে রাসিক মেয়র ও বিসিক চেয়ারম্যান/ ফাইল ছবি

পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র লিটন বলেন, ‘রাজশাহীতে চামড়া শিল্প পার্ক গড়ে উঠলে উত্তরাঞ্চলের চামড়াকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সৃষ্টি হবে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ। এর মাধ্যমে দূর হবে এ অঞ্চলের বেকারত্ব।’

তবে এমপি ফজলে হোসেন বাদশা দাবি করেছেন, রাজশাহীতে চামড়া শিল্প হলে লাভের থেকে ক্ষতিই হবে। উত্তরবঙ্গকে তিনি চামড়া শিল্পের জন্য যথাযথ মনে করেন না। তাই কোনোভাবেই এ অঞ্চলে কৃষি বিপন্ন হয় এমন কোনো কাজ রাজশাহী অঞ্চলে করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এমপি বাদশা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এমন কোনো শিল্প রাজাশাহীতে প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ হবে না, যাতে রাজশাহীর জমি, নদী ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়। উন্নয়নের যেমন দরকার আছে, আবার কৃষিরও দরকার আছে। কৃষি জমি নষ্ট করে যত্রতত্র যেন শিল্পায়ন না হয়, সেই ব্যাপারে আমি সংসদে কথা বলব।’

তিনি বলেন, ‘চামড়া শিল্প উত্তরবঙ্গের জন্য যথাযথ নয়। এটি উজানে নয় ভাটায় দরকার। এটি হলে কী ধরণের ক্ষতি হবে তার একটি উদাহারণ হতে পারে বুড়িগঙ্গা নদী। এটি যখন সাভার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। তখন এটাকে রাজশাহীতে স্থাপন করা যুক্তিসংগত বলে আমি মনে করি না। রাজশাহীতে এটা হলে রাজশাহীর পদ্মা নদীর পরিবেশ নষ্ট হবে।’

এদিকে, সংসদ সদস্যের এমন বিরোধিতার বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এমপি মহোদয় যে যুক্তিতে বা ঝুঁকিতে চামড়া শিল্প স্থাপনের বিরোধিতা করছেন, সেগুলো আমরাও চিন্তা করেছি। তবে যথাযথ উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চামড়া শিল্প পার্ক গড়ে তুলতে চাইছি। রাজশাহীতে তো তেমন কোনো কল-কারখানায় নেই। সেখানে যদি এমন কিছু করা সম্ভব হয়, তবে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে।’

   

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) শীর্ষক" প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমুল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি আহবান জানান। 

জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষীদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

আব্দুর রহমান বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের মৎস্য সেক্টরে সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং গ্রামীন জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তিনি এসময় উল্লেখ করেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

৯৯৯-এ ফোন: বিদেশগামী যাত্রীর ভিসা-পাসপোর্ট-বিমান টিকিটসহ ব্যাগ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন কল পেয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে সৌদিপ্রবাসী বিদেশগামী যাত্রীর ভিসা-পাসপোর্ট-বিমান টিকেটসহ ব্যাগ হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার ভোরে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনে তখন অত্যধিক ভিড় ছিল। কোনো আসন ফাঁকা না পেয়ে দরজার কাছে দাঁড়ানো সিরাজগঞ্জ সদরের রেলওয়ে কলোনীর অধিবাসী সৌদিপ্রবাসী মমিন শেখের (৪৫) পাসপোর্ট-বিমান টিকেটসহ ব্যাগটি অসাবধানতাবশত ট্রেনের বাইরে পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় মমিন শেখ অজ্ঞান হয়ে যান। তার সহযাত্রী ফাহিম নামে একজন কলার এই তথ্য জানিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, সেদিন বেলা দুইটায় সৌদি আরবের ফ্লাইট, ব্যাগটি না পেলে তার আত্মীয়ের সর্বনাশ হয়ে যাবে, যথাসময়ে কাজে যোগ না দিলে চাকরিও চলে যেতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল গোলাম রহমান রেলওয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই সালাউদ্দীন কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে এবং খোঁজ-খবর নিতে থাকে। পরে তারা খবর পান যে রেল কিলোমিটার নম্বর ৩০৯, পুংলী নামক স্থানে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় হাজেরা বেগম (৪০) নামে এক নারী ব্যাগটি খুঁজে পান। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাগটি নিয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হন। ব্যাগটি হাজেরা বেগমের মাধ্যমে ব্যাগটির মালিক মমিন শেখকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

;

হাতীবান্ধায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের মধ্য ধুবনি এলাকার পানিতে পড়ে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে একজন মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সকালে ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের মধ্য ধুবনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল বারেক ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ সাইফুল সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে জেলেরা পুকুরে মাছ ধরতে জাল ফেললে, জেলের জালে লাশ ভেসে ওঠে।

সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

উপজেলা ভোট: প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে ভোটকেন্দ্রে থাকলে পরিবর্তন করবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের পর কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়ে থাকলে কমিশন তা পরিবর্তন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। একই সাথে আরও একাধিক বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।


ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে:

(ক) কমিশন ভোটগ্রহণের তারিখের অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে উক্ত চূড়ান্ত তালিকা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যে সকল এলাকার ভোটারগণ ভোটদান করবেন সে সকল এলাকার নামও চূড়ান্ত তালিকায় উল্লেখ করতে হবে; তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরও, বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিশন যে কোনো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে;
(খ) রিটার্নিং অফিসার প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থা করবেন।
(গ) সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় এরূপ স্থানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে না।
(ঘ) পুরুষ ও মহিলা ভোটারগণ যাতে পৃথকভাবে ভোট প্রদান করতে পারেন তদুদ্দেশ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটকক্ষের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে ভোটচিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্থান রাখতে হবে।
(ঙ) কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না।
(চ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের পর কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়ে থাকলে কমিশন তা পরিবর্তন করতে পারবে।
(ছ)প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কক্ষে ভোট চিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গোপন কক্ষ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;