জ্বরের ৪০ শতাংশ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি, সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি, সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বহির্বিভাগে গত শনিবার (৩ আগস্ট ২০১৯)  তারিখে ২৫০ জন জ্বরের রোগী সেবা নিয়েছেন। এ সকল রোগীর প্রায় ৪০ শতাংশ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (জনসংযোগ) প্রশান্ত কুমার মজুমদার এই তথ্য জানিয়েছেন।

বর্তমানে প্রতিদিন মেডিসিন, শিশু বহির্বিভাগ এবং ডেঙ্গু সেলে গড়ে প্রায় ৪০০ ডেঙ্গু রোগী সেবা নিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনিবার (৩ আগস্ট ২০১৯) সকাল ৮ হতে রোববার (৪ আগস্ট ২০১৯) সকাল ৮টা পর্যন্ত, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা হলো ১৬৩ জন। এর মধ্যে নতুন ভর্তি রোগী ২৬ জন, পূর্বের ভর্তি রোগী ১৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু চিকিৎসা সেলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত  ৩০৯ রোগী সেবা নিয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৪৬ জন। মেডিসিন ওয়ার্ড , শিশু ওয়ার্ড, ডেঙ্গু চিকিৎসা সেল, কেবিন, আইসিইউ ও এসডিইউতে এসকল রোগী ভর্তি আছেন। বর্তমানে আইসিইউতে ২ জন এবং এইচডিইউতে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন।

ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে শয্যা সংখ্যা ১৫০ থেকে ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ডেঙ্গু সেলের মাধ্যমে ভর্তিকৃত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ, স্টেশনারিসহ চিকিৎসাসেবা, বেড ভাড়া এমনকি আইসিইউ এবং এইচডিইউ  সেবাও বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।

এছাড়াও ডেঙ্গু সেলে আসা রোগীদের প্রাথমিকভাবে সিবিসি, এনএস১, আইজিএম, আইজিএম ও আইজিজি বিনামূল্যে করা হচ্ছে।

   

চিড়িয়াখানায় হাতির আক্রমণে নিহতের পরিবারের পাশে এমপি নিখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ-উল-ফিতরের দিন রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় হাতির আক্রমনে নিহত বালক জাহিদের (১৭) পরিবারেকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন নিখিল।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা এলাকা পরিদর্শন শেষে নিহতের পরিবারের কাছে এই আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন তিনি।

এ সময় দুর্ঘটনার শিকার পরিবারকে শান্তনা দেন মো. মাইনুল হোসেন নিখিল। একই সাথে চিড়িয়াখানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা ও এলাকার যানজট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিনে বাবা ও ছেলে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় শেষে ছেলেকে চিড়িয়াখানা ঘুরতে নিয়ে যান আজাদ আলী। মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানার মাহুত আজাদ আলীর একমাত্র ছেলে ছিল জাহিদ (১৭)। সেখানে বেলা ১১টার দিকে হাতি ‘রাজা’-এর আক্রমণে প্রাণ হারায় জাহিদ।

;

উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলায় যাবেন ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলা সফর করবেন নির্বাচন কমিশনাররা। এ সময় কমিশনাররা উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৮ এপ্রিল নরসিংদী জেলা, ২০ এপ্রিল গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা, এবং ২১ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা সফল করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশমার মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলায় যাবেন ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলা সফর করবেন নির্বাচন কমিশনাররা। এ সময় কমিশনাররা উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৮ এপ্রিল নরসিংদী জেলা, ২০ এপ্রিল গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা, এবং ২১ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা সফল করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশমার মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

রক্তের দাগ মুছে ফেলা এই পন্টুনেই ঝরে ৫ প্রাণ



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
রক্তের দাগ মুখে ফেলা এই ১১ পন্টুনেই ঝড়ে ৫ প্রাণ/ছবি: নূর এ আলম

রক্তের দাগ মুখে ফেলা এই ১১ পন্টুনেই ঝড়ে ৫ প্রাণ/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

সদরঘাটের ১১ নাম্বার পন্টুন। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নোঙর ভেড়ানো লঞ্চগুলো সারি সারি বাধা। রক্তের দাগ নেই; নেই প্রাণ ঝরে যাওয়ার কোনো চিহ্নও! পাশেই মাত্র কয়েক হাত দূরে বিএইডাব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বক্স। এ সময় ঘাটে নোঙর ফেলতে যাওয়া এম.ভি অভিযান-৩ নামের একটি লঞ্চকে নির্দেশনা দিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। সব চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।

অথচ এই পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে প্রাণ যায় ৫ জনের। মুহূর্তেই বিষাদের রূপ নেই ঈদের দিনের বিকেলটা। পন্টুনে পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহগুলো ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। বিষাদ ছেয়ে যায় গোটা দেশে।

তবে এই প্রাণের বিনিময়ে এখন সদরঘাটে যেন শৃঙ্খলা ফিরেছে। লঞ্চ শ্রমিকরা জানালেন, কয়েকদিন আগেও ঘাটে লঞ্চ নোঙর করতে এতো তৎপরতা দেখা যায়নি। এখন নিয়ম মেনে নোঙর করানো হচ্ছে লঞ্চগুলোকে।


আর মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) সেই দৃশ্য দেখা গেলো সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে। চিরচেনা ভিড় নেই। ঘাটে সারিবদ্ধভাবে বাধা লঞ্চগুলো। মাঝেমধ্যে দুই একজন যাত্রী এলেও নির্ধারিত সময় না হওয়ায় ছাড়ছে না কোনো লঞ্চ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌযান কর্মী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, পদ্মা সেতু হবার পর থেকে এমনিতেই সদরঘাটে যাত্রীর আনাগোনা নেই। দুই ঈদে কিছু যাত্রী হলেও এবার ঈদের দিনে অনাকাঙ্ক্ষিত যে দুর্ঘটনা ঘটলো তাতে মানুষ আরও ভয় পেয়েছে। একেকটা রশি অন্তত ৮/১০ মণ ওজনের হয়ে থাকে। এই রশি সহজে ছিঁড়ে যাওয়ার কথা না। তবে সেদিন যেই রশি ছিঁড়ে গেছে তা কিছুটা দুর্বল ছিলো, তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটার কথা না। এছাড়া ঘাটে দায়িত্ব পালন করা (বিআইডাব্লিউটিএ) এর কর্মকর্তাদের সারাবছর খুঁজে পাওয়া যায় না। পাঁচটা মানুষ মারা গেছে, এখন তারা প্রতিদিন এসে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে এটা ঠিক আছে কিনা? ঐটা ঠিক আছে কিনা কতো কি! তবে আমি লঞ্চের চালকের কোন দোষ দেখি না। যাত্রী নিতে লঞ্চ ঘাটে আসবে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এখানে অন্য লঞ্চের সমস্যা হচ্ছে কিনা- সেটা তো আগে ঘাটের লোকজন দেখার কথা ছিলো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এর সদরঘাটের অফিসে গিয়ে দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসের এক কর্মচারী বার্তা২৪.কম’কে জানান, সবাই প্রধান কার্যালয়ে মিটিংয়ে গেছেন।


নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দায় বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগ কোনভাবে এড়াতে পারে না। একটা লঞ্চ কখন ঘাটে ভিড়বে বা ছাড়বে, কোথায় নোঙর করবে তা দেখভাল করার দায়িত্ব তাদের। ঘটনার সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তার গাফিলতির কারণেই মূলত এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হচ্ছে। যদি এম.ভি ফারহান ৪ লঞ্চটিকে ঘাটে ভিড়তে না দিতো বা অপেক্ষা করতে বলতো। অথবা অন্য লঞ্চ দুটির রশি একটু ঢিল করে দিতো তাহলে হয়তো এই পাঁচটা জীবন বাঁচানো যেতো। ঘটনার পূঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষেই জানা যাবে কার দোষ ছিলো।

সেদিন যা ঘটেছিল...

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে সেদিন ( ১১ এপ্রিল ) ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নোঙর করে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে অন্তত ৫জন যাত্রী মারা যায়। নিহতদের মধ্যে ১ জন নারী, ১ জন শিশু ও ৩ জন পুরুষ ছিলো।

সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এমভি তাশরিফ ৪ ও এমভি পূবালী ১ লঞ্চ দুটি রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুই লঞ্চের মাঝ দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকতে গেলে এমভি তাশরিফ ৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় পাঁচ হতভাগ্যের।

;