মোবাইলে কথা বললেই গাড়ি জব্দ: ডিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললেই গাড়ি জব্দ করা হবে। পাশাপাশি চালকেও আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেছেন, ‘এমন নির্দেশ ট্রাফিক বিভাগকে দেওয়া হয়েছে।’

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে 'পথচারীর করণীয়' শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং 'ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা আদায়' ব্যবস্থার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চলন্ত গাড়িতে যদি চালক মোবাইলে কথা বলেন, তাহলে ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ থাকে না। যার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভবনা থাকে। তাই গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে চালককে আটক করা হবে, গাড়িও জব্দ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবার ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকার জন্য চালক ও গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হবে না। চালক তার জরিমানা টাকা এখন থেকে অন স্পটে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, ক্যাশ, বিকাশ, রকেট ও অন্যান্য কার্ড ব্যবহার করে পরিশোধ করতে পারবেন।’

অন স্পটে টাকা পরিশোধের ফলে চালক বা মালিক হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবে।

   

লিটারে ১০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। লিটার প্রতি ১০ টাকা বেড়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৩ টাকা করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ গত ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ফলে ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) ভ্যাট অব্যহতি পূর্ববর্তী মূল্যে সরবরাহ করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। এছাড়াও বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।

এর আগে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৩ টাকা। আর লিটারে খোলা তেলের দর পড়বে ১৪৯ টাকা। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার বিক্রি হবে ৮০০ টাকায়।

এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স আয়োজনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল-চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত।

 

 

;

ভোজ্য তেলে আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোজ্য তেলে আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ কথা জানান তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভোজ্য তেলের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরই মধ্যে এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকেরা। তবে তেলের দাম আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্য তেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় এনবিআর। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেন মিল মালিকেরা।

এর জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি কমিয়েছিলাম। এতে ভোক্তা পর্যায়ে তেলের দাম ১০ টাকা কমেছিল। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন, তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন কাজ করছে। তবে তেলের দাম আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই, এটা বলতে পারি।

তেলের দাম বাড়াতে সোমবার বাণিজ্য সচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকেরা। সেখানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে, ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পাইনি। যদি পাঠিয়ে থাকে অফিসে গিয়ে দেখতে হবে।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা।

;

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা উপলক্ষে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ব্রহ্মপুত্র নদে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করেন। উপজেলার রমনা নদী বন্দর এলাকার থেকে জোড়গাছ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এবারের অষ্টমীর স্নান ও মেলার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত স্নানের উত্তম লগ্ন থাকলেও দিনব্যাপী স্নান ও মেলা চলবে।

ঐতিহ্যবাহী চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে মহাষ্টমীর স্নান মেলা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর থেকে চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে পূণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদের স্নান পর্ব চলে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য উপজেলার প্রায় ২২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে।


এছাড়াও পুণ্যার্থীদের স্নান পরবর্তী পোশাক পরিবর্তনের জন্য এবং রাত্রী যাপনের জন্য ৪৪টি অস্থায়ী বুথ করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পূজাপর্বের জন্য প্রায় দুই শতাধিক ব্রাহ্মণ পূজারি দায়িত্ব পালন করবেন।

হিন্দুধর্ম মতে চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে পূণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে ভক্তের সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে যায়। পাপমোচনের অভিপ্রায়ে তাই প্রতি বছর জেলা ও জেলার বাইরে থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করতে আসেন। এবারের স্নানের তিথি ভোর সাড়ে ৪টায় শুরু হওয়ায় দূরের পুণ্যার্থীগণ একদিন পূর্বে চিলমারী আসেন। তারা চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কেউ কেউ আবার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিছানা করে রাত্রী যাপন করেন।

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা থেকে ক্ষেত্রমোহন রায় (৬২) এসেছেন ব্রহ্মপুত্র স্নানে। কথা হয় তার সাথে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চিরিরবন্দর উপজেলার ভূষিরবন্দর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে স্ত্রী সন্তানাসহ রওনা দিয়েছিলেন। দিনাজপুর শহর থেকে অষ্টমীর স্নানের জন্য ৯টি বাসে করে তারা প্রায় সাড়ে ছয়’শো জন পুণ্যার্থী চিলমারী আসেন। হাজারো পুণ্যার্থীর ভিড় ঠেলে চিলমারী রাজারভিটা স্নানঘাটে পৌঁছাতে তাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করতে আসতাম। বয়স হয়েছে, এবছর নিজের স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনিসহ পূণ্যতোয়া ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করতে এসেছি। এটি উত্তরাঞ্চলের সবথেকে বড় স্নানোৎসব। ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে সব ধরণের পাপমোচন হয়। পাপমোচনের আশায় এতদূর থেকে কষ্ট করে এসেছি।


মাধবী লতা (৩৫) পিকআপ ভ্যানে করে স্বামী ও শাশুড়িসহ লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে এসেছেন। বিকেলে কালিগঞ্জ থেকে রিজার্ভ পিকাপ ভ্যানে রওনা দিলেও চিলমারী পৌঁছান রাত ১২টার পর।

তিনি জানান, স্বামীর বাতাসার দোকান। ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল নামে। স্বামী একাই দোকানের ভিড় সামলাতে পারে না। তাই শাশুড়িসহ এসেছি। ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করব আর স্বামীর ব্যবসায় একটু সহযোগিতা করব। রথ দেখা কলা বেচা একসাথেই হবে।

ঐতিহ্যবাহী চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে মহাষ্টমীর স্নান মেলা উদযাপন কমিটি ও পূজা কমিটির সদস্য শ্রী শ্যামল কুমার বর্মণ বলেন, অষ্টমীর স্নান সনাতন ধর্মালম্বীদের হলেও এখন এটি চিলমারী উপজেলাবাসীর ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পার্শ্ববর্তী ভারত থেকেও কিছু পুণ্যার্থী এসেছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ,আনসার বাহিনী ও জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পুণ্যার্থীদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছে। এবারে শ্রী বিষু চন্দ্র বর্মণকে আহ্বায়ক করে ৫৬ সদস্যের স্নানাৎসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবারে প্রায় দুই লাখ পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র স্নানে এসেছেন এবং ২০০ জনের অধিক ব্রাহ্মণ ঠাকুর স্নানাৎসবে পূজা অর্চনা করেন বলেও তিনি জানান।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসে। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিলমারীর বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করেছি। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট, ডুবুরি দল এবং পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে। কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি।

 

;

সংবাদ প্রকাশের জেরে শার্শায় সাংবাদিকের ওপর হামলা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল
অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম

অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ প্রকাশের জেরে যশোরের শার্শার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম।

আহত সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম ও তার ভাই কবির হোসেনকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আরিকুল ইসলাম শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সাবেক সম্পাদক।

আহত ইকরামুল ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক প্রজন্ম একাত্তরের শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি।

হামলার শিকার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ করে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আরিকুল ইসলাম তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে আহত করেন।

এসময় ইকরামুলের ভাই ছুটে এলে তাকেও মারধর করে জখম করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারী আরিকুল পালিয়ে যান।

হামলাকারী আরিকুল শার্শার চটকাপোতা গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। মাদক ও অস্ত্রসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ের আড়ালে আরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছেন।


তাকে একাধিকবার আটক গ্রেফতার হওয়া নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনার তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল মাদক ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম।

এদিকে, সর্বশেষ গত ২১ মার্চ রাতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরিকুল ইসলামকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিনসহ আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এর আগেও সংবাদ প্রকাশের জেরে ইকরামুলকে কয়েকবার মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন আরিকুল। এ ঘটনায় শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান ইকরামুল।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক আহতের ঘটনায় মামলা নিয়েছি এবং অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য শার্শা থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন, শার্শা উপজেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা জামাল হোসেন, ইনামুল হক, আজিজুর রহমান। সভাপতি আজিজুল হক, সহসভাপতি আনিসুর রহমান,আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, সাংগঠনিক আরিফুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, প্রচার সম্পাদক রাসেল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাজানেওয়াজ স্বপন, কার্যকরী সদস্য শাহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

;