পুলিশের বিরুদ্ধে আসামির মোবাইল ও টাকা নিয়ে নেয়ার অভিযোগ
সাভার: জামিন চাইতে এসে গ্রেপ্তারের সময় আসামির কাছ থেকে জব্দ করা টাকা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর অভিযোগটি করা হয়েছে সাভার থানার উপ-পরিদর্শক সুজায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে।
আসামি শাহীন মিয়া বিরুলিয়ার বাগ্নিবাড়ি গ্রামের শাহ আলম ব্যাপারীর ছেলে। শাহী পেশায় একজন ট্রাকচালক।
শাহীন জানায়, স্থানীয় বনপুকুর এলাকার ট্রাক মালিক সেলিমের সাথে বিবাদের জের ধরে তার সাথে হাতাহাতি হয় শাহ আলমের। তারপর সেলিমের স্বজনরা ফোন করে গোয়েন্দা পুলিশকে। সেখানে সাড়া না পেয়ে থানায় ফোন করে শাহীনকে তুলে দেন পুলিশের হাতে।
তিনি জানায়, সে সময় পুলিশের উপ পরিদর্শক সুজায়েত হোসেনকে সেলিমের লোকজন ঘুষ হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেয়।
শাহীনের অভিযোগ, ঘুষ পেয়ে শাহীনের বাম পকেট থেকে দেড়’শ পুরিয়া হেরোইন ও ৫ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে মর্মে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে মামলা দিয়ে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর তাকে চালান দেয়।
তাছাড়া গ্রেপ্তারের সময় শাহীনের মানিব্যাগ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা,ড্রাইভিং লাইসেন্স,ভোটার আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।
তাছাড়া, রিম্যান্ডের ভয় দেখিয়ে শাহীনের স্ত্রী কবিতা আক্তারের কাছ থেকেও এক দারোগা ৫ হাজার টাকা নেন বলে জানায় শাহীন।
তবে, সেই দারোগার পরিচয় শাহীন জানেন না।
এ ঘটনার পর ১৯ মে জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা নগদ টাকা আর মোবাইল ফোন ফেরত চাইতে গত তিন দিন ধরেই সাভার মডেল থানার ধর্না দিচ্ছেন শাহীন মিয়া।
তার অভিযোগ, এস আই সুজায়েত হোসেন তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবিদ হোসেন খান ও সেদিন যে ডিউটি অফিসার ছিলেন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা আবার তাকে আবার এস আইয়ের কাছে ফেরত পাঠায়।
কিন্তু ২ দিন পর সোমবার এস আই জানান, শাহীনের জিনিসপত্র হারিয়ে গেছে এবং তাকে থানায় জিডি করতে বলে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহসীনুল কাদিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।আসামীর জব্দ করা মালামাল অবশ্যই ফেরত দিতে হবে।তবে, কারো ব্যক্তিগত কর্মকান্ডের দায় পুলিশ নেবে না বলেও জানান তিনি।
ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান,ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কারো ব্যক্তি অপকর্মের দায় পুলিশ নেবে না।
ভুক্তভোগী আসামী শাহীন জানান, মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেয়ায় তার প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।পুলিশ মোবাইল ফোন,টাকা ভোটার আইডি কার্ড বিশেষ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স রেখে দেয়ায় এখন তিনি নিজের পেশায় ফিরতে পারছেন না।
পরিবার নিয়ে তার পথে বসার উপক্রম হয়েছে তার। উল্লেখ্য শাহীন মিয়া গত ১০ বছর ধরে সাভারের বক্তারপুরে বসবাস করছেন।