তাদের প্রাপ্তি শুধু দুঃসহ স্মৃতি...

সৌদি আরব থেকে নারী কর্মীরা ফিরছেন নির্মমতার দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: মিলি আক্তার। গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। স্বামীর ফেলে রাখা সন্তানকে নিয়ে অভাবের দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিল। তবু মিলিও স্বপ্ন দেখেন একটু স্বচ্ছল জীবন-যাপনের।

এরমধ্যেই এক পরিচিতজনের মাধ্যমে জানতে পারেন সৌদি আরবে অল্প খরচে নারী কর্মী নেওয়ার খবর। তিনিও ভিড়লেন সে দলে। দালালের মাধ্যমে কষ্টে জমানো ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে উড়াল দিলেন সৌদে আরবে।

পাঁচ মাসের ব্যবধানে ধূসর রঙে পরিণত- তার স্বচ্ছল জীবনের স্বপ্ন। ২০ মে নিপীড়ন-নির্যাতন শিকার মিলি দেশে ফিরলেন অসুস্থ হয়ে। শুধু মিলি নয়, বিগত কয়েক বছর যাবত স্রোতের মতো হাজারো নারী শ্রমিক মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরেছেন দেশে।

১৯৯১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ নারী কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে দুই লাখই গেছেন সৌদি আরবে। নির্মমতার মুখে চলতি বছরেই প্রতিমাসে গড়ে ২০০ করে নারী শ্রমিক সৌদি থেকে দেশে ফিরছেন। তারপরও বিগত পাঁচ মাসে সৌদিতে ৩০ হাজার নারী গৃহ শ্রমিক পাঠিয়েছে বিভিন্ন এজেন্সি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি ও দুতাবাসগুলোর সক্ষমতার অভাবে সৌদি আরবে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ তো দূরের কথা উল্টো দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। সরকার থেকে পদক্ষেপ না থাকায় রিক্রুট এজেন্সিগুলোও দালাল দিয়ে লোভ দেখিয়ে অসহায় নারীদের বিপদে ফেলছেন।

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংস্থা জানায়, সৌদি নাগরিকের হাতে নির্যাতিত হওয়ার কারণে ফিলিপাইন নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করেছেন। ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশ বন্ধ করবেন। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে গৃহ শ্রমিক নিতে আগ্রহী সৌদি আরব। তবে সরকারের সঙ্গে নারী শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো চুক্তি নেই। বিভিন্ন এজেন্সি নিজেদের মন গড়া কাহিনী বলে বিধবা, ডিভোর্সিসহ অসহায় নারীদের প্রতারণা করে সৌদি আরবে পাঠাচ্ছে।

গত দু‘দিনে দেশে একশ গৃহকর্মী সৌদি থেকে ফেরত দেশে এসেছেন। তাদের সবাই সৌদি নাগরিকের নির্যাতনের মুখে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছে।

নংরসিংদীর রাবেয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ওখানে থাকা যায় না। সৌদিতে গিয়ে আমার মতো আর কেউ যেন বিপদে না পড়ে। মারধোর করত নানা ধরনের অনৈতিক প্রস্তাবও দিত। প্রায় আড়াই বছর কাজ করার পর মাত্র তিন মাসের বেতন দিয়েছে। বেতন চাইতে গেলে মারত।

অন্য অভিবাসীদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, বাড়ির মালিক ধর্ষণ করতো। সালেহা নামে এক মহিলা কোমরে ইস্ত্রী দিয়ে ছ্যাকা দিয়েছে, সে তো উঠতেই পারে না। অনেকের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে।

সংস্থাগুলো জানায়, বিশ্বের যে কোন দেশের শ্রমিক প্রবাসী হিসেবে কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হলে সংশ্লিষ্ট দেশের স্থানীয় আইন অনুযায়ী দূতাবাসের মাধ্যমে মামলা করা হয়। এছাড়া দোষী দেশের রাষ্ট্রদুতকেও তলব করা হয়। একমাত্র বাংলাদেশের পররাষ্ট, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও দুতাবাসগুলো শ্রমিক নির্যাতন কোনো আইনী পদক্ষেপ নেয় না। এমনকি শ্রমিক সমস্যায় পড়লে সাময়িক নিরাপত্তা দেওয়ারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

বেসরকারি সংস্থা ব্রাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরে আসা নারী গৃহ শ্রমিক দিনে দিনে বাড়ছে। সৌদিতে অবস্থানরত ১ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তারা যে নির্যারতনের শিকার হচ্ছে না তা কে বলতে পারে! তবে এখন পযর্ন্ত সৌদি আরবে ঘটা এ নির্যাতনের একটিরও বিচারের আওতায় আনতে পারে নি বাংলাদেশ। ফলে সৌদি সরকার হয়ত ধরেই নিয়েছে আমাদের গৃহ শ্রমিকদের নির্যাতন করাই যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত সৌদি আরবে গৃহ শ্রমিক হিসেবে নারীদের পাঠানো এখনই বন্ধ করা। জর্ডান, লেবানন, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে নারীদের পাঠানো যেতে পারে। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, এ দেশগুলোতে নারী শ্রমিকরা ভালো রয়েছে।

দীর্ঘ সময় ধরে অভিবাসন নিয়ে কাজ করছেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, সৌদি আরবে নারী গৃহ শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি অনেক দুর্বল। দূতাবাসের সক্ষমতাও কম। এ কারণে সৌদি আরবে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। উল্টো কর্মকর্তারা সরকারি ট্যুর নিয়ে ওমরা, হজ্ব করতে যায়। ফলে আমাদের শ্রম বাজারের আর উন্নতি হয় না।

গৃহশ্রমিক পাঠালে তার মজুরি, কর্ম পরিবেশ, কর্মঘন্টাসহ সব কিছু ঠিক করে এরপরই জনশক্তি রপ্তানি করতে হবে। পাশাপাশি দূতাবাসগুলোকেও সবসময় তৎপর থাকতে হবে। তাহলেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সঙ্গে শ্রমিকরাও উন্নত জীবন-যাপনে সক্ষম হবে বলেন জানান তিনি।

   

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল। গত সাত দিনে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১২২ জন নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৯৫ জন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরের কানাইপুরে ও ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। শোকবার্তায় তিনি সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমাগত বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এই কথা বলেন।

এসময়ন তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় তিনি আরও বলেছেন, প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোন প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেনো স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপণায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। 

 

;

সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়: পিটার হাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর এক হোটেলে ইউএসএআইডি এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডমের অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সেখানে পিটার হাস তার বক্তব্যে জানান, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করছে। কিন্তু মূল সমস্যাগুলো এড়িয়ে না গিয়ে, সক্রিয়ভাবে স্বীকার করে তা মোকাবিলা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২ বছর ধরে প্রায় সবগুলো সূচকে অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের। এ বছর ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১ তম।

সমৃদ্ধি সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯ তম, যা মধ্যম আয়ের দেশ ও সরকারের রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বিরাট বাঁধা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিঙ্ক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।

;

ঈদ-বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছিল কক্সবাজারে। ছুটি শেষ হলেও শেষ হয়নি পর্যটক সমাগম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতগুলো এখনও পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে কি পরিমাণ পর্যটক এসেছিল এবং এর ফলে কি পরিমাণ ব্যবসা হয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই কারও কাছে। তবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বলছে টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আনুমানিক ৩ লক্ষ পর্যটক সমাগম হয়েছে। যেখানে পরিবহন থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল রেস্তোরাঁসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি। টানা ৫ দিন ছুটি থাকলেও ঈদের পরদিন থেকে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ পর্যটক এসেছেন। তখন পর্যটন খাতে দেড়শো থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মুর্শেদ চৌধুরী খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদুল ফিতরের সাঙ্গে বৈশাখের ছুটি যুক্ত হয়ে একাকার হওয়ায় এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে কক্সবাজারে। যদিও কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কি পরিমাণ পর্যটক এলো এবং এর ফলে কেমন ব্যবসা হলো এর কোনো হিসেব রাখেনি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারলাম ৩ লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। এরমধ্যে অনেকেই দিনে এসে দিনে চলে গেছেন আবার অনেকেই রাত্রিযাপন করেছেন। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে ঝিনুকশামুক ব্যবসা থেকে সব সেক্টর মিলিয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে পর্যটকের ঢল শুরু হয়েছে যা এখনো কমেনি। আমরা সবাই ভালো ব্যবসা করতে পেরেছি। আমাদের নির্দেশনা ছিল বেশি দাম নিয়ে বা কোনোভাবে পর্যটকদের হয়রানি করা যাবে না। টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আড়াই-৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। এসময় পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে দেড় থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এই দুই ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, কক্সবাজারে এবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই লাখ লাখ পর্যটক নিরাপদে ভ্রমণ করতে পেরেছেন। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

বর্ষা মৌসুমের আগে পর্যন্ত এরকম পর্যটক সমাগম থাকলে ভালো ব্যবসার সুবাতাস বইবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

;

খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে অর্থদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কের জামতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দীঘিনালা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা অভিযানে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় তিনজন চালককে ১ হাজার ২ শত টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি অনেককে সতর্ক করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত খাঁন জানান, টানা ছুটিতে সড়কে যাত্রীর চলাচল বাড়ায় স্বার্থান্বেষী কিছু পরিবহন মালিক-শ্রমিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। এ তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;