‘নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশু কোরবানি করলে ব্যবস্থা’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্ধারিত স্থানের বাইরে উন্মুক্ত জায়গায় পশু কোরবানি করলেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

তিনি বলেছেন, ‘ঈদের দিন দুপুর থেকেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মাঠে থাকবেন। কাউন্সিলররা পুরো বিষয়টি সমন্বয় করবেন। সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা প্রতিটি ওয়ার্ড, মহল্লা ঘুরে ঘুরে দেখবেন। কোনো অবস্থাতেই উন্মুক্ত স্থানে পশু কোরবানি করা যাবে না। যারা নির্দেশ অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাইকরণ ও বর্জ্য দ্রুত অপসারণ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা ও বাস্তবায়ন’ বিষয়ক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সিটি করপোরেশন।

ময়মনসিংহ পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার আগে গত ৬ বছর যাবত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশু বর্জ্য অপসারণে সুনাম কুঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিনের অর্জিত এ সুনাম এবারও ধরে রাখার আহ্বান জানান মেয়র টিটু। তিনি বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজের সুযোগ নাই।’

শুধুমাত্র মশার ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু নির্মুল সম্ভব নয় এজন্য জনসচেতনতাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানান মসিক মেয়র। তিনি বলেন, ‘এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

সভায় ময়মনসিংহের ডেপুটি সিভিল সার্জন পরিক্ষিত কুমার পাল, মসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মিয়া, স্বাস্থ্য শাখার প্রধান এইচ কে দেবনাথ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দীপক মজুমদার, কনজারভেটিভ ইন্সপেক্টর মহব্বত আলী, চিফ সুপারভাইজার রবিউল ইসলামসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

   

রানা প্লাজা স্মরণ: ছবিগুলো স্মৃতি, গল্পগুলো ভেজায় চোখ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
রানা প্লাজা স্মরণ: ছবিগুলো স্মৃতি, গল্পগুলো ভেজায় চোখ

রানা প্লাজা স্মরণ: ছবিগুলো স্মৃতি, গল্পগুলো ভেজায় চোখ

  • Font increase
  • Font Decrease

আঁখির হয়তো স্বপ্ন ছিল সমুদ্র দেখার। সরাসরি না পারলেও স্টুডিওতে ছবি তুলে পেছনে বসিয়ে নেন সমুদ্রের দৃশ্য। অন্যদিকে শাহেদুলের হয়তো স্বপ্ন ছিল উড়োজাহাজে চড়ার! তাইতো স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে স্টুডিওতে এমন ব্যাকগ্রাউন্ড রেখে ছবি তুলেছিলেন! প্রায় এক যুগ আগে তোলা এসব ছবি এখন শুধুই স্মৃতি। ২০১৩ সালে হাজারো হতভাগ্য শ্রমিকের সঙ্গে সলিল সমাধি ঘটেছিল এই দুজনেরও। এখন সেই স্বপ্নের আদলে তোলা ছবিগুলোতেই স্বজনরা খুঁজে বেড়ান তাদের স্মৃতি। গল্পগুলো বলতে গিয়ে ভিজে আসে চোখ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সাভার রানা প্লাজার সামনে ‘রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর: হাজারো প্রাণ ও স্বপ্নর গল্প’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

দোষীদের শাস্তি ও সম্মানজন ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দিনে আয়োজিত সভায় স্বজনরা স্মরণ করেন নিহত শ্রমিকদের।


এর উদ্বোধন করেন রানা প্লাজা ভবনে দুই দিন আটকা থেকে উদ্ধার হওয়া আহত শ্রমিক জেসমিন।

সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন আহত জেসমিন, নিহত শ্রমিক আঁখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার, নিহত ফজলে রাব্বীর মা রাহেলা আক্তার, নিহত শাহীদার মা এবং  গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ আরও অনেকে।

প্রদর্শনীতে চার আলোকচিত্রীর তোলা ছবি ও পোশাক শ্রমিকদের সন্তানদের সাতজনের আঁকা ছবি, জীবিত থাকা অবস্থায় স্টুডিওতে তোলা ২০ শ্রমিকের ছবি প্রদর্শন করা হয়।

এরমধ্যে একটি ছবি নিহত শাহেদুলের। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে স্টুডিওতে ছবি তুলে, ব্যাকড্রপে উড়োজাহাজের ছবি দেওয়া। হয়তো উড়োজাহাজে চড়ার স্বপ্ন ছিল তার!

আরেকটি ছবি ছিল নিহত আঁখির। হয়তো সমুদ্র ভালোবসতেন তিনি। কিন্তু যাওয়া হয়নি কখনো। তাই স্টুডিও থেকে স্বপ্নের ছবি তৈরি করিয়ে নেন সেই সমুদ্রর পারে। আখি আক্তার (১৮) ও তার বন্ধুরা রানা প্লাজার সপ্তম তলার নিউ ওয়েব স্টাইল লিমিটেড কারখনায় কাজ করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ ১৪২০ , ১৪ এপ্রিল ২০১৩–এই ছবিটি তোলা। তার ঠিক ১০ দিন পর ২৪ এপ্রিল ২০১৩ থেকে রানা প্লাজার ধসের পর থেকে আঁখি নিখোঁজ। জানা যায়, এই ছবির কেবল একজন বেঁচে আছে, আঁখিসহ এই ছবির সকলেই নিহত বা নিখোঁজ।


আয়োজকরা জানান, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে এসব শ্রমিকের প্রাণ ও স্বপ্ন নি:শেষ হয়ে যায়। রানা প্লাজার সামনে প্রদর্শনী করে সে আবারও সেই অতীতের স্মৃতিকে সামনে আনা হয়েছে। এই ঘটনাকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তরুণদের লড়াইয়ে প্রেরণা দিতেই এই প্রদর্শনী। রানা প্লাজার শ্রমিকদের মতো যাতে আর কারো যাতে অকালে মরতে না হয়, এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন তারা।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে আলোচনায় আহত শ্রমিক জেসমিন বলেন, এমনভাবে দুই দিন আটকা ছিলাম বাঁচার কোনো আশা ছিলো না। একজন অচেনা মানুষ আমাকে আগলে রেখে বাঁচিয়েছিলো। তখন কে পুরুষ কে নারী কে হিন্দু কে মুসলমান ভাবার সুযোগ ছিলো না। বাঁচার চরম ইচ্ছা ও সন্তানকে দেখার ইচ্ছা ছাড়া কোনো কিছু মাথায় আসেনি।

তিনি বলেন, ১১ বছর ধরে সেই দু:সহ স্মৃতির ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি মনে ও শরীরে। অথচ এখনো দোষীদের শাস্তি হয়নি। দোষীদের শাস্তি হলে আমরা প্রাণে একটু শান্তি পেতাম।

সভায় বক্তারা বলেন, ১১ বছরেও ১১৭৫ জন প্রাণ হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্তিত হয়নি। কারখানার ভবন মালিক সোহেল রানা ছাড়া অন্যান্য মালিক, সরকারি কর্মকর্তারা জামিনে জেলের বাইরে আছেন। সোহেল রানাও গত বছর জামনি পায়। পরবর্তীতে তার জামিন উচ্চ আদালত স্থগিত করে।

তাদের মতে, বিচারের এই ধীরগতি সরকার ও রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ ও দোষীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের এবং তাদের বাঁচিয়ে দেবার প্রচেষ্টারই সামিল।

তারা বলেন, যে রাষ্ট্রে কোনো গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ নাই, জনগণের মত প্রকাশের সুযোগ নাই, সেখানে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকরা আরো বিপর্যস্ত হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নাই।

তারা আরও বলেন, দোষীদের সর্বেবাচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা নাই।

ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে তারা বলেন, নিহত ও আহত পরিবারকে ১১ বছর আগে যে আইনি ক্ষতিপুরণ বা অনুদান দেওয়া হয়েছে তা কখনোই সম্মানজনক বা মর্যাদাপূর্ণ নয়। শ্রম আইনে ক্ষতিপুরণের আইন যা বদল হয়েছে তা অতি নগন্য। ১ লাখ এবং দেড় লাখ থেকে ২ লাখ ও আড়াই লাখ পর্যন্ত বাড়ানো কোনো শ্রমিককে মানুষ হিসাবে গণ্য না করারই উদাহরণ।

বক্তারা বলেন, একদিকে একজীবনের সমপরিমাণ সম্মানজনক-মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপুরণ প্রদানের ব্যবস্থা না করা। অন্যদিকে ব্রান্ড, এনজিও এমনকি সরকারের দফায় দফায় কিস্তিতে শ্রমিকদের অর্থ সহযোগিতার ও নানা প্রশিক্ষণের নামে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। যাতে শ্রমিকরা বিচারের দাবিতে সংগঠিত না হয়ে, ভিক্ষুকের মতো কেবল সহায়তা খোঁজে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তারা বলেন, ক্ষতিপূরণ কোনো ভিক্ষা নয়, এটি শ্রমিক ও নাগরিকের আইনি অধিকার। এই অধিকার রক্ষায় এক হওয়ার আহবান জানান তারা।

আয়োজকরা জানা, দুই দিন ব্যাপী কর্মসূচিতে আগামীকাল ২৪ এপ্রিল ২০২৪ রানা প্লাজার সামনে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ ও প্রতিবাদী র‌্যালী অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে তার ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

এর আগে, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে স্বাগত জানান।

গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই ছিল প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। তার সফরে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে- উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফরে এলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন।

;

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৯ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ এলাকায় বেপরোয়া বাসের (শাহ আমানত) ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আবারও সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চুয়েট গেটের সামনে সড়কে অবস্থান নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা সড়কের দুই পাশে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ার ও বাসের সিট জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সড়ক নিরাপদ করতে বেলা ১২টার দিকে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দূরপাল্লার বাস ব্যতীত সকল স্থানীয় বাস, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে এবং ঘাতক বাস চালককে গ্রেফতারসহ তাদের দাবি মেনে নিতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তারা। দুপুর ২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলমান রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রথম দফা আন্দোলনেও সড়ক অবরোধ করেছিলো শিক্ষার্থীরা। এসময় এবি ট্রাভেলসের তিনটি বাস আটক করা হয়। এসময় অন্য একটি গাড়ি বাইরে এনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলছে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে সহপাঠীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ১২টার দিকে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা। নিহত চুয়েট শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেনের গায়েবি জানাজা সড়কের উপর আদায় করেন তারা এবং সন্ধ্যায় শান্ত সাহার জন্য বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন রয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে এসব বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপদ করতে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক চালককেও আটকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

;

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান সেই দেলোয়ার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অপহরণের শিকার হওয়া প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এই ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল লতিফ শেখ জানান, নির্বাচনে নাটোর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। নলডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচন করবেন।

গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই সহযোগীকে অপহরণ ও মারপিট করে বাড়িতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন পাশার ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন।

সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটির মালিকানাও লুৎফুল হাবিব রুবেলের। সেই সঙ্গে গ্রেফতার দুজন আসামির একজন ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে স্বীকার করেন যে, লুৎফুল হাবিব রুবেলের নির্দেশেই তারা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর গত রোববার এক ভিডিওবার্তায় সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ না করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।

;