গরুর চাইতে খাসির দাম বেশি!
রাজধানীর পশুর হাটে ক্রেতা সংকটে হতাশ হয়ে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে গরু-ছাগল নিয়ে আসা বেপারীরা। ক্রেতা না থাকায় পশুর সঠিক দাম না পাওয়ার অভিযোগ করছেন তারা। কেউ কেউ বলছেন, গরু আর খাসির দাম একই বলছেন ক্রেতারা।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে কমলাপুর হাট ঘুরে দোখা গেছে ক্রেতাশূন্য হাটে দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা।
পাবনার ঈশ্বরদি থেকে ২১টি গরু নিয়ে আসা মো: কিরণ বিক্রি করতে পেরেছেন আটটি। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘কেউ গরুর দামই কয় না। আটটা গরু বেচলাম লসে। আর আজকে তো কাস্টমারই নাই। আর গরুর যেই দাম কয়, তার চাইতে ছাগলের দামই বেশি।’
কিরণের সঙ্গে একই সুরে বরিশাল থেকে আসা সুমন বলেন, ‘আমার গরুর দাম কয় ৩৫ হাজার। দুই মণ মাংস ওইব এই গরুতে, তাতেই দাম কয় ৩৫ হাজার। অথচ ১০ কেজির খাসি বিক্রি অইতাছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। এহন মনে ওইতাছে গরুর চেয়ে খাসির দামই বেশি।’
একই হাটের ছাগল বিক্রেতা শামসুল মিয়া বলেন, ‘একটি ফার্ম থেকে পনেরটা খাসি কিনছিলাম ব্যবসার জন্য। ১২টা বিক্রি করছি, তিনটা বাকি। সবগুলোই বড় খাসি। প্রত্যেকটার দাম চাইতাছি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। ১২ থেকে ১৫ কেজি মাংস হবে।’
এদিকে গরুর হাটের এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা কেউ বলছেন, বিক্রি করতে না পারলে গরু ফেরত নিয়ে যাবেন। আবার কেউ বলছেন, এতো টাকা খরচ করে গরু ফেরত নেওয়া সম্ভব নয়।
জাহেদ মোল্লা নামের এক বিক্রেতা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে, 'আমার ১৫টি গরু আছে এখনো। এগুলা আজকের মধ্যে বেচতে না পারলে ফিরায়ে নেয়া সম্ভব না। ট্রাক ভাড়ার জন্য অনেক টাকা লাগবে, যেই সাতটা গরু বেঁচছি হেইগুলার লাভের টাকায় গরু ফেরত নেওয়া লাগব।'
আরেক গরু বিক্রেতা রশিদ মিয়া জানান, গরু বিক্রি করতে না পারলে ফেরত নিয়ে যাবেন, তবুও কেনা দামের চেয়ে কম দামে ছাড়বেন না। তিনি বলেন, ‘আর গরুর ব্যবসাও করুম না। এর চাইতে ক্ষেতের কামও ভালো। এইবার যাইতে পারলেই বাঁচি।’