ডেঙ্গু রোগীদের সেবাতেই ঈদ আনন্দ চিকিৎসকদের



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
ডেঙ্গু রোগীদের নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মমেক হাসপাতালের ডাক্তাররা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ডেঙ্গু রোগীদের নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মমেক হাসপাতালের ডাক্তাররা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'এবারের ঈদটি আমার কাছে একদমই ভিন্ন রকম। আমি এই প্রথম ঈদে বাড়ি না গিয়ে রোগীদের সেবায় কাজ করছি। সব ঈদেই নিজের সময়টুকু বাসায় পরিবারকে দেই। এই ঈদটা আমার পেশার স্বার্থে আমার রোগীদের জন্য উৎসর্গ করলাম।'

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. সোহেল আল মুজাহিদ।

প্রতিবার ঈদ পরিবার-পরিজনের সাথে কাটলেও এবার সেই সুযোগ হচ্ছে না তার। ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করায় চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল হওয়ায় এবার তারা ঈদ কাটাচ্ছেন হাসপাতালেই।

ডেঙ্গু রোগীদের সেবাতেই ঈদ আনন্দ চিকিৎসকদের

তা নিয়ে অবশ্য খুব বেশি আক্ষেপ নেই ডা. সোহেল আল মুজাহিদের। তিনি বলেন, 'পরিবারের সঙ্গে সময়টুকু কাটাতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। কেননা এবার আমি জমজ সন্তানের বাবাও হয়েছি। কিন্তু রোগীদের সেবার ব্রত নিয়েই যেহেতু আমি এই পেশায় এসেছি। তাই দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে রোগীদের যথাযথ সেবাটুকু যে দিতে পারছি সেজন্য আমি নিজেকে গর্বিতও মনে করছি। তাদের সেবা করার মধ্যেই আমার ঈদের আনন্দ।'

৪৮ শয্যার এই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটি ডেঙ্গু রোগীতে ভরে গেছে। এখনো ভর্তি আছেন প্রায় আড়াইশো রোগী। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন নতুন রোগী। তাই শয্যায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকের থাকতে হচ্ছে মেঝেতে। এই ওয়ার্ডে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক, দুইজন সহকারী অধ্যাপক, দশজন করে চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য করা আলাদা মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। নিয়মিত ওয়ার্ডে রাউন্ড দিয়ে রোগীদের খোঁজখবরও রাখছেন।

ডেঙ্গু রোগীদের সেবার মাধ্যমেই ঈদ আনন্দ

ঈদে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে না পেরে কিছুটা মন খারাপ হলেও এসব রোগী রেখে ছুটি কাটানো অমানবিক হিসেবে মনে করেন এই ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. খাইরুল ইসলাম আরিফ।

তিনি বলেন, 'দেশের এরকম একটি কঠিন মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারাটা একজন চিকিৎসকের জন্য স্বাভাবিক। তবে কিছুটা খারাপ লাগাতো থাকবেই।'

ডা. আরিফের ভাষ্যে, 'প্রতিটি ঈদ আমরা পরিবারের সঙ্গে কাটাই। সকল বন্ধু-বান্ধব এলাকায় চলে এসেছে। আর আমি সকালে প্রস্তুত হয়ে হাসপাতালে এসেছি এজন্য কিছুটা খারাপ লাগছে। কিন্তু রোগীরাও তো অনেক অসুস্থ। তাদের এ অবস্থায় রেখে ছুটি কাটানো পুরোপুরি অমানবিক। কেননা রোগীর সুস্থতার ওপরই একজন চিকিৎসকের সার্থকতা।'

মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলের ছুটি বাতিল হওয়ায় তারা নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

   

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন: নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে সড়কে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এর কয়েকটি ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানোর উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তরুণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ প্রণীত হওয়ার পর তার কার্যকর বাস্তবায়ন দূরে থাক, সড়কে বিশৃঙ্খলা, অনাচার ও নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। টিআইবি মনে করে, জনস্বার্থ বিবর্জিত প্রস্তাবিত সংশোধনীর ফলে আইনটি তার উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে এবং মালিক-শ্রমিক পক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশা আরো বাড়বে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আইনের অন্তত ১২টি ধারায় পরিবর্তন এনে এবং অধিকাংশ ধারায় চালক ও চালকের সহকারীদের জেল জরিমানা ও শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনের ৬৯, ৭০, ৮১, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৯০, ৯৮, ১০৫ ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে।

তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০২৪-এ যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করা [ধারা ৬০ (২)], সুপারভাইজার সংযুক্ত করা [ধারা ৭১] এবং গণপরিবহনে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন অথবা নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘনের দণ্ড আলাদাভাবে করা [ধারা ৮০] হয়েছে। এ তিনটি সংশোধনীর সঙ্গে টিআইবির গবেষণালব্ধ সুপারিশের সামঞ্জস্য থাকায় সতর্ক সাধুবাধ জানিয়ে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলায় এনে তা জনগণের জন্য নিরাপদ করে তুলতে যেখানে জরিমানা ও শাস্তির বিধান যৌক্তিকভাবে বাড়ানো প্রয়োজন ছিলো, সেখানে সংশোধনীর মাধ্যমে শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হলে সড়কে বিশৃঙ্খলা বাড়াবে এবং জনগণের জন্য আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে, চালক-শ্রমিকদের আইন না মানার প্রবণতার পাশাপাশি সড়কে অনিয়মকেও উৎসাহিত করবে। সড়ককে নিরাপদ করে তুলতে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও, অবস্থাদৃষ্টে সরকারের অবস্থান ঠিক তার উল্টোদিকে বলে প্রতীয়মান হয়। এমন সংশোধনের ফলে সড়কে অনিয়ম-দুর্নীতি, নৈরাজ্য আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি যেমন সৃষ্টি হবে, তেমনি সড়ক-মহাসড়কে অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক মৃত্যুর মিছিল কেবল দীর্ঘই করবে।’

টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকপক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশার প্রকটতার বিষয়টি উঠে আসে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘সড়ক আইনের সংশোধনের মাধ্যমে শাস্তি ও জরিমানা কমিয়ে আনার বিষয়টি এ জিম্মিদশার সঙ্গে দৃশ্যত সম্পর্কিত। আইনে সংশোধন এনে শাস্তি কমানোর পেছনে সরকারের ওপর রাজনৈতিক মদদপুষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের যে প্রভাব রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এই সংশোধনী সংসদে গৃহীত হলে জনগণের স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত হবে। এ আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংশোধন প্রক্রিয়ার কোনো ধাপেই প্রস্তাবিত সংশোধনীর খসড়া খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য উন্মুক্ত না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। টিআইবি মনে করে, সড়কে জনগণের চাহিদা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রেক্ষিতে যাদের শৃঙ্খলায় আনতে আইনটি তৈরি করা হয়েছে, তাদের চাপে এবং স্বার্থে আইনের সংশোধন করা হলে আইনের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। একইসঙ্গে যে উদ্দেশ্যে আইনটি করা হয়েছিল তা থেকে সরে দাঁড়ানো হবে। এমতাবস্থায়, খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

;

‘উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যা ভাবার ওয়াসার সময় হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যার দিকে ওয়াসার তাকানোর সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) – এর ‘কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (ক্রিয়া)’ প্রকল্প আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা: প্রেক্ষিত জেন্ডার।’

ড. সুজিত কুমার বালা বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির প্রাপ্যতার অভাব রয়েছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানি সংকট আরও বেড়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে এই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা চলছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। ওয়াসা ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও আমার মনে হয় এখন আমাদের উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যার দিকে তাকানোর সময় এসেছে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ পাইপ ওয়াটার সাপ্লাইয়ের সুবিধা ভোগ করছে আর নিরাপদ পানির সুবিধা আছে ৬০ শতাংশ মানুষের। এ ছাড়া পানির লবণাক্ততা ২৬ মিলিয়ন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লবণ পানি ব্যবহারের কারণে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে।

‘পানি সংগ্রহ থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত নারীদের সম্পৃক্ততা বেশি থাকার কারণে বৈশ্বিকভাবে তাদের ‘ওয়াটার ম্যানেজার’ বলা হয়। কিন্তু পানি সংগ্রহের কাজে অতিরিক্ত সময় দিতে গিয়ে নারীরা আয় বৃদ্ধিমূলক ও কৃষি কাজে অংশ নিতে পারে না। এতে আর্থিকভাবে তারা পিছিয়ে থাকছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ-এর নির্বাহী পরিচালক এসএমএ রশিদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মিষ্ঠা দেবনাথ, সুইডেন দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ রবিউল আলম।

ক্রিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকা থেকে পানি নিয়ে ভুক্তভোগী দুজন নারী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান। পানির অপ্রাপ্যতা, সংগ্রহ করার জটিলতা, অনিরাপদ পানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব, লবণাক্ততার কারণে পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘পানির যোগান দিতে গিয়ে নারীরা নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। সুপেয় পানি একটি মানবাধিকার। আমরা পানি নিয়ে নানা সংকটের কথা আলোচনা করি কিন্তু নারীদের দুর্ভোগের বিষয়টি অত গুরুত্ব পায় না।

‘এসব সমস্যার সমাধানে চাই সামষ্টিক উদ্যোগ। সরকারের একার পক্ষে সব সম্ভব নয়। তাই আমাদের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’

আলোচনা শেষে শাহীন আনাম অতিথিদের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখান। প্রদর্শনীর বিষয় ছিল ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর দুর্বলতা।’

;

পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ( ২৮ মার্চ) দুপুরে শহরের মুক্তি মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নওগাঁ সরকারি কলেজের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নওগাঁ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বরকত মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত হোসেন, আরমান মন্ডল, শাকিল, আরিফ,তামান্না, রিয়া প্রমুখ। এসময় আরো অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন ।

বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯ মে থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হবে। রুটিনে প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে একদিন করে ছুটি রয়েছে। কিন্তু এতে তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। যে কোনো পরীক্ষা নিতে দেড় মাস সময় বরাদ্দ থাকে। সেখানে তড়িঘড়ি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা শেষ করতে চাচ্ছে। এর আগে কখনোই এমনভাবে রুটিন তৈরি করা হয়নি। তারা প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে কমপক্ষে তিন দিন করে ছুটি চান

;

এলডিসি উত্তরণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এলডিসি উত্তরণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এলডিসি উত্তরণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটবে। তখন বিদেশ থেকে কী সুবিধা মিলবে, আর কোন কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও সমস্যা মোকাবিলায় এখন থেকেই তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 বৈঠকে সবার উদ্দেশ্যে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেসব প্রকল্পে দ্রুত অর্থছাড় করে সমাপ্ত করতে হবে।

একনেক সভায় মিশরে চ্যান্সারি হাউস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের সেবাদানের জন্য বুথ ও অপেক্ষার জায়গা রাখার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, বাংলাদেশের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তাঁত বোর্ডের নতুন কমপ্লেক্সে নারীদের প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সব উপজেলার নদী ভাঙন রোধ, রাস্তাঘাট নির্মাণে ভাঙনের ঝুঁকি মাথায় রেখে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত), কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়), ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারজি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়), ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত) ইত্যাদি।

;