‘পানির’ দরে চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ট্যানারি ও পোস্তার আড়তধাররা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনছেন না/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ট্যানারি ও পোস্তার আড়তধাররা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনছেন না/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরও যে চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনেছিলেন, এ বছর সেই চামড়া কিনছেন ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, `পানির’ দরে চামড়া কিনছেন বড় (পোস্তা ও ট্যানারি) ব্যবসায়ীরা।

সরকার নির্ধারিত দামে ভাল মানের ছোট একটি গরুর চামড়ায় দাম কমেছে এক থেকে দেড়শ টাকা। মাঝারি মানের গরুর চামড়ার দাম কমেছে অর্ধেক। একইভাবে প্রতিটি বড় গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে কিনছেন। ছাগল কিংবা ভেড়ার চামড়ার দাম একেবারেই কম।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুর থেকে রাজধানীর হাজারীবাগ, মতিঝিল, সায়েন্স ল্যাব, পোস্তা এলাকায় ছোট গরু অর্থাৎ ৬০ হাজার টাকার নিচের দামের গরুর চামড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় কিনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

মাঝারি গরু অর্থাৎ লাখ টাকার নিচের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। গত বছর একই চামড়া বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামে এসব চামড়া বিক্রি হওয়রা কথা ছিল অন্তত হাজার টাকা।

এদিন এসব এলাকায় এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। এছাড়াও পাঁচ লাখের উপরে গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকার উপরে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565616706574.gif

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যনারি ও পোস্তার আড়তদাররা তাদের কাছ থেকে চামড়া কিনছেন না। আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কম বলে তারা চুপ করে বসে আছেন। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। রাজধানীর বিভিন্ন সংগঠন, মাদরাসা ও এতিম খানার লোকরা চামড়া নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন।

সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম অনুযায়ী, ঢাকায় কোরবানির গরুর প্রতিটি ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুট চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে এক হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি মালিকদের। কিন্তু সোমবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন। কোথাও কোথাও আরও কম।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ শুরু

রাজধানীর বাইরে সবচেয়ে ভালো মানের কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। আর মাঝারি মানের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। যা গত বছরও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

এ বছর পোস্তার ব্যবসায়ীদের সাত লাখ পিস গরুর চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তার মধ্যে ৯০ ভাগ চামড়া এখন কেনার কথা। কিন্তু তারপরও চামড়া কিনছেন না পোস্তার আড়তদাররা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565616725045.gif

বাংলাশে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘লবণযুক্ত চামড়া কিনব। যারা লবণ দেবে না, আমরা তাদের চামড়া কিনব না।’

তিনি বলেন, ‘মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যেন চিন্তাভাবনা করে এবার চামড়া কেনেন। কারণ, আমরা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি চামড়া সংগ্রহ করছি না।’

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব চামড়া কেনার মতো টাকা নেই। ফলে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এবার সব চামড়া হয়তো কিনতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ট্যানারি মালিক গতবছরের চামড়ার পেমেন্ট এখনো পর্যন্ত দেননি। এছাড়া আগের বছরের চামড়ারও বেশকিছু টাকা ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা রয়েছে।’

দেলোয়ার হোসেনের দাবি, ‘পাইকারদের হাতে টাকা না থাকলে তারা চামড়া কিনবে কিভাবে? ফলে অনেক চামড়া এবার নষ্ট হয়ে যাবে। পচে যাবে। টাকার অভাবে হয়তো চামড়ার দামও পড়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: বগুড়ায় গরুর চামড়ার সাথে ছাগলের চামড়া ফ্রি! 

   

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে গোলাম রাব্বানী (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। নিহত রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

তিনি গুঠাইল বাজারে মরিচের ব্যবসা করতেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন, ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী।

পরে তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণেই উনার মৃত্যু হয়েছে।

;

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
মর্তুজা হাসান

মর্তুজা হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) রাত আড়াইটায় হবিগঞ্জ শহরের চিড়াকান্দি এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, ২০১৭ সালে আজমিরীগঞ্জ থানায় মর্তুজা হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয় উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের নামে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ওয়ারেন্ট থাকা সত্বেও প্রকাশ্যে ছিলেন।

মর্তুজা হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

আগামী ৮ মে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মর্তুজা হাসান একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তাকে গ্রেফতারের পর এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে।

;

জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণকে ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ বলে মন্তব্য করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি মনে করে, প্রস্তাবিত একীভূতরকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহি সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা সংকটের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে ‘দায়মুক্তি’ প্রদানের নামান্তর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মতামত প্রকাশ করেছে টিআইবি।

টিআইবি জানায়, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আর্ন্তজাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড ও রীতিনীতি, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারীভাবে চাপিয়ে দেওয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে। যা একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরুর আগেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, যে কোনো দুর্বল ব্যাংক চলতি বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশপূর্বক নিজস্ব সম্পদ ও দায়-দেনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে মূল্যায়ন করে প্রকাশ করার কথা। যা বিবেচনায় নিয়ে সবল কোনো ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকটিকে স্বেচ্ছায় একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ রাখা রয়েছে।

প্রাথমিক এই প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হলেই কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জোরপূর্বক একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা- মনে করিয়ে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি, আবার এ প্রক্রিয়ায় নাম আসা সবল ব্যাংকগুলো স্বীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে তাও নয়। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথম থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ঘোষিত নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাছাড়া, দুর্বল ব্যাংকের সম্পদ ও দায়-দেনার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন ছাড়া আপাত সবল ব্যাংকের ঘাড়ে একীভূতকরণের নামে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যা ঘটছে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যারাসিটামল প্রয়োগের নামান্তর। একীভূতকরণের নামে একদিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও জালিয়াতির জন্য যারা দায়ী তাদের যেমন সুরক্ষা দিয়ে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতিকে গভীরতর করা হচ্ছে, অন্যদিকে সবল ব্যাংকগুলোর সাফল্যের পরিণামে খারাপ ব্যাংক হজম করিয়ে দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে। যা অস্বস্তি ও শঙ্কার নতুন বাতাবরণ ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো খাতে।

দুর্বল ব্যাংককে বাঁচানোর এই প্রক্রিয়া হিতে বিপরীত হবে কি-না আশঙ্কা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একীভূতকরণের আলোচনায় সরকারি-সরকারি, বেসরকারি-সরকারি এবং বেসরকারি-বেসরকারি তিন ধরনের ব্যাংকই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন বিবেচনায় এই ব্যাংকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একীভূত করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, কিংবা কোন সবল ব্যাংকের সঙ্গে কোন দুর্বল ব্যাংক একীভূত হবে, তা কিভাবে ঠিক করা হয়েছে- তাও স্পষ্ট নয়। আবার, একীভূত হওয়ার আলোচনার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়ছে। অন্যদিকে, দুর্বল দুটি ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে যাওয়া সবল বলে পরিচিত সরকারি দুটি ব্যাংকের নিজেদের খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেশ বড়। এমন বাস্তবতায় ব্যাংকিং খাতের মূল সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর জবাবদিহি-ভিত্তিক সুশাসন নিশ্চিত করা ছাড়া, শুধু একীভূত করলেই সংকট মোকাবিলা করা যাবে বা গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা পাবে কিংবা খেলাপি ঋণ কমে আসবে- এমন ভাবনা সত্যিই অলীক।

একীভূতকরণ নীতিমালায় দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের পাঁচ বছর পর পুনরায় একীভূত হওয়া ব্যাংকের পর্ষদে ফেরত আসা ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের পুনঃনিয়োগের সুযোগ রাখার বিধানের সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ বিধান দুর্বল ব্যাংকের সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির বদলে পুরস্কৃত করা এবং এক ধরনের দায়মুক্তি দেবার বিধান। পাশাপাশি, দুর্বল ব্যাংকের নিরীক্ষাকালে নতুন কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির চিত্র উঠে এলে সে বিষয় গোপন রাখার যে বিধান নীতিমালায় রাখা হয়েছে, তা শুধু আর্থিক অনিয়মের চিত্রকেই ধামাচাপা দেবে না, একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে। যা এক কথায় অন্যায়কে সুরক্ষা দেওয়ার শামিল। একীভূতকরণের নামে যা ঘটছে, তা হতাশাজনক এবং ঋণ খেলাপিদের হাতে ব্যাংকিং খাতের অব্যাহত জিম্মিদশার পরিচায়ক।

নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত দুর্বল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রাষ্ট্রীয় মালিকানার একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জনগণের অর্থে ঋণ খেলাপিদের আরও এক দফা দায়মুক্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাতের বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও জন অস্বস্তি বিবেচনায় টিআইবি মনে করে, প্রত্যাশিত ফল পেতে সংশ্লিষ্ট খাতে সুখ্যাতিসম্পন্ন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞগণের মতামতের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি, ইতোমধ্যে একীভূতকরণের নামে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।

;

রাঙামাটিতে ইয়াবা পাচারকালে আটক ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পান ব্যবসায়ের আড়ালে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে মাদক পাচারকালে ইয়াবাসহ আটক হয়েছে সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টার সময় চট্রগ্রামের হাটহাজারী থেকে পান বোঝাই একটি মিনি ট্রাক রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আর্মি ক্যাম্পের চেকপোস্টে আসলে চেক করার জন্য গাড়ি দাড় করায় সেনাবাহিনী। এর মধ্যই সন্দেহজনক হলে লংগদু থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তল্লাশি করে ইয়াবাসহ তাদের আটক করে।

লংগদু থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও এসআই আল আমিন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে গাড়িতে থাকা পানের খাঁচাগুলো তল্লাশি করে খাঁচা থেকে একটি প্যাকেট পায়। যার মধ্যে ৫১ পিস ইয়াবা (মাদক) ছিলো। যা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় গাড়ির ড্রাইভার মারুফ ও হেলপার ইউনুছ এবং পান ব্যবসায়ী সাবেক কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম ও রফিকুল ইসলমাকে আটক করে পান বহনকারী গাড়ি সহ থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদক নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) সারনির ১০(ক)/৩৮/৪১ ধারায় অপরাধে, আসামিদের দুপুর ২টায় লঞ্চে রাঙ্গামাটি আদালতে প্রেরণ করে। 

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, আমদের কাছে খবর আসলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং মাদকসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

;