এরশাদপুত্র সাদ-এরিকের ভিন্ন রকম ঈদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
ঈদের নামাজ পড়তে যাচ্ছেন এরশাদপুত্র এরিক এরশাদ (মাঝে)/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঈদের নামাজ পড়তে যাচ্ছেন এরশাদপুত্র এরিক এরশাদ (মাঝে)/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দুই পুত্র সাদ ও এরিক রংপুরে অবস্থান করছেন। বাবার মৃত্যুর পর এটি এরিকের প্রথম রংপুর সফর। আর সাদ রংপুর এসেছিলেন এরশাদের মৃত্যুর পর জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নিতে। কিন্তু এবার তারা দুই ভাই রংপুর এসেছেন ঈদ উদযাপন করতে।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে রংপুরের দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে গিয়ে দেখা গেছে সাদ ও এরিককে। দুজনের ব্যস্ততা ও ঈদ উদযাপনে ছিল কিছু ভিন্নতা।

এরিক ঈদের নামাজ আদায়ের পর পল্লী নিবাসের লিচু তলায়ে একাই বাবার কবর জিয়ারত করেন। আর সাদ এরশাদ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, যুগ্ম-মহাসচিব এসএম ইয়াসীর, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাকসহ দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দুপুরে কবর জিয়ারত করেন। সেখানে সবার সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় সেখানে এরিক এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565623931787.gif
দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিমিয় করছেন এরশাদপুত্র সাদ এরশাদ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

এদিকে পল্লী নিবাস সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ঈদ করতে রংপুরে আসেন এরিক এরশাদ। তিনি পল্লী নিবাসে অবস্থান করছেন। আর সাদ এরশাদ রংপুরে এসেছেন রোববার। সঙ্গে এনেছেন তার সহধর্মিনীকেও। সাদ উঠেছেন সেনপাড়ার স্কাইভিউতে।

সেখান থেকে সোমবার সকালে পুলিশ লাইন মাঠে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করে সাদ পল্লী নিবাসে যান কবর জিয়ারত করতে। দুই ভাই রংপুরে অবস্থান করলেও এক সাথে হননি। ঈদের কুশল বিনিময় বা কথাও বলেননি একে অপরের সাথে।

জানা গেছে, এরশাদের ছোট ছেলে এরিক ঈদের দিন সকাল থেকে পল্লী নিবাসে গরু কোরবানি তদারকি, মাংস বিতরণ, বাসার লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে যান। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে থেকে তার বাবার নামে উৎস্বর্গ করা গরু কোরবানি করতে দেখেন। এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। সন্ধ্যার পর দলের নেতাদের সাথে গালগল্পে মেতে উঠেন এরশাদের জীবদ্দশায় কাছে থাকা এরিক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565624023535.gif
এরশাদের কবর জিয়ারতে সাদ সহ জাতীয় পার্টির নেতারা/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

অন্যদিকে, সাদ এরশাদ তার বাবার কবর জিয়ারত করার পর স্কাই ভিউতে ফিরে যান। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্য ছাড়া দলের স্থানীয় নেতা-কমীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অংশ নেন স্কাইভিউতে পশু কোরবানির সময়ও।

এরশাদপুত্রদের ঈদ উদযাপনে সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে তেমন উচ্ছ্বাস নেই। তবে এরশাদের মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় থাকা সাদ এরশাদের উপস্থিতিকে অনেকের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

নাম না প্রকাশের শর্তে সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির এক নেতা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এরিক ও সাদ তারা দুজনই স্যারের (এরশাদের) ছেলে। এরিক বিভিন্ন সময় রংপুরে এসেছিলেন। কিন্তু গত এক দশকে সাদকে রংপুরে কখনো দেখা যায়নি। স্যারের মৃত্যুর পর তার রংপুর আসা শুরু হয়েছে। এবার ঈদ উদযাপন করতে নয়, এই আসনে উপ-নির্বাচন আসন্ন, তাই তার রংপুর আগমন।’

   

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। প্রতিবছর বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্ন মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সীসা দূষণে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঘটে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিইএ রিপোর্টে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ু দূষণ কমাতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্রাকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

;

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

এসময় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জনবলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কাজ যথাযথভাবে করতে হবে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

;

মদ বোঝায় পিক-আপ জব্দ, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ১ হাজার ৮৬৬ বোতল মদ বোঝাই পিক-আপ ভ্যান জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১)। একই সঙ্গে মো. মাসুদ বিশ্বাস (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বনানী থানাধীন এলাকায় ১ জন মাদক ব্যবসায়ী ১টি সাদা রং এর পিক-আপ ভ্যানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বহন করে বনানী এলাকা থেকে গুলশান এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ব্লক-জি এর সামনে রাস্তার উপর হতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বিশ্বাসকে (৩৪), গ্রেফতার করা হয়।

এসময় আসামির নিকট হতে কেরুর তৈরি ১ হাজার ৮৬৬ বোতল বিলাতি মদ ও ১টি পিক-আপ ভ্যান এবং ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

;

চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ গ্রেফতার ৩৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


র‍্যাব জানায়, অভিযান চালিয়ে পাঁচলাইশ থানার ফরেষ্টগেইট রেল ক্রসিং এলাকা থেকে রুবেল গ্রুপের প্রধান রুবেলসহ ছয়, মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকার বাচা গ্রুপের প্রধান বাচা সোহেলসহ পাঁচ, বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে জনি গ্রুপের প্রধান জনিসহ পাঁচ, পাহাড়তলীতে ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে সাজ্জাদ গ্রুপের প্রধান সাজ্জাদসহ সাত, সরাইপাড়া এলাকার সাকিব গ্রুপের প্রধানসহ ছয়, বিপুল গ্রুপের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ইভিটিজিং এর মতো অপরাধে এ কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব ছয় কিশোর গ্যাং লিডারসহ ৩৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঈদে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় র‍্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা নিয়োজিত আছেন বলে জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা।

;