ভয়াল গ্রেনেড হামলা দিবস আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগস্ট মাস বাঙালি জাতির শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই জাতি হারিয়েছিল তার শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র। তখন দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

এরপর কালের পরিক্রমায় শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে হাল ধরেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। কিন্তু তার চলার পথ ছিল কাঁটায় ভরা। বারবার শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় লিপ্ত থাকে ঘাতকচক্র। ভয়াবহতম আঘাত হানে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাই ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন।

সেদিন ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।

আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতকচক্র। শুধু গ্রেনেড হামলাই নয়, সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়ি লক্ষ্য করেও চালানো হয় ছয় রাউন্ড গুলি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হন, তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সার্থক উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তপিপাসু বিএনপি-জামাত অশুভ জোটের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ছিল ২১ আগস্টের হামলা। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নীল নকশায় সংঘটিত হয় গ্রেনেড হামলা। এমনকি বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় গ্রেনেড হামলা মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতায় রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২টি মামলা হলে দীর্ঘদিন বিচারের পথ ছিল রুদ্ধ। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়।

দ্রুত বিচার আদালতে মামলার বিচারকার্য শেষ হয় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর। সেদিন ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এই রায় নিয়ে আওয়ামী লীগে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দল তখন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের সর্বোচ্চ সাজা না হওয়াতে হতাশ তারা।

২১ আগস্ট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ সদস্য এস এম কামাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম বলেন, ‘২১ আগস্ট হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল তারেক রহমান। আমরা চাই উচ্চ আদালতের বিচারে তারেকের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’

২১ আগস্টের কর্মসূচি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ২১ আগস্ট সকাল ৯টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হবে।

এছাড়া বিকেল ৪টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সভায় দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসের কর্মসূচি পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, ১৪ দলভুক্ত অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

   

ফেনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কোরআনে হাফেজের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার আবদুল্লাহ আল নোমান (১৪) নামে এক ক্ষুদে কোরআনে হাফেজের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহতের মামা মাওলানা মাহফুজুর রহমান (৩৭) গুরুতর আহত হয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি চরলক্ষ্মীগঞ্জ নাজেরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নুরানী শিক্ষক ও চরগোপালগাও জামে মসজিদের ইমাম।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুহুরীগঞ্জ এলাকার কাশীপুর রাস্তায় মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাফেজ নোমান ফেনী সদর উপজেলার শান্তি কোম্পানি রোড খাজুরিয়া পাটোয়ারী বাড়ির আলমগীর পাটোয়ারীর কনিষ্ঠ পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত নোমান ও তার মামা মাহফুজুর রহমান রাধানগর ইউনিয়নের উত্তর কুহুমা গ্রামে নোমানের নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি জেলা শহর ফেনীতে যাচ্ছিলেন। এসময় কাশীপুর রাস্তা মাথায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল চালক মাহফুজুর রহমান হঠাৎ মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে পেছনে বসে থাকা নোমান মোটরসাইকেল থেকে সড়কের উপর ছিটকে পড়ে যায়। পরক্ষণে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার



অভিজিত রায় (কৌশিক), স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দেশের কারাগারগুলোতে রয়েছেন ৬৬ হাজারের বেশি বন্দি। এদিকে, কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা রয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার। কারা অধিদফতরের দেওয়া তথ্য বলছে, ধারণক্ষমতার চাইতে ২৩ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছেন দেশের কারাগারগুলোতে।

কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বার্তা২৪.কম-কে বলছেন, আমাদের আজকে (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত সারা দেশে মোট কারাবন্দি আছেন ৬৬ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৩ হাজার ৬৮৫ জন এবং মহিলা ২ হাজার ৬৪১ জন।

দেশের কারাগারে ধারণক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাবন্দিদের হিসাব অনুযায়ী আমাদের ধারণক্ষমতা অনেক কম। আমাদের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন।

ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দিরা কীভাবে রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ধারণক্ষমতা তো আর হুট করে বাড়ানো যায় না। তাই আমাদের ম্যানেজ করে কারাবন্দিদের রাখতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেটা থাকার কথা সেই হিসাবে ৪২ হাজার ৮৬৬ জন থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কারাবন্দি বেশি হওয়ার কারণে এক রুমে রাখার কথা ৪ জন, আমরা সেখানে ৮ জন রাখছি। ইউনিভার্সিটির হলগুলোর মতন আর কী! যদি বন্দি বেশি হয় তাহলে আমরা সেগুলো ম্যানেজ করে রাখি। আমাদের সক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়ছে। একসময় আমাদেরও এই সক্ষমতা পূরণ হয়ে যাবে।

এর আগে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সে সময় তিনি বলেন, শুধু আকরামের ঘটনা নতুন নয়। আমাদের আন্দোলন চলাকালে ৩০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে৷ গত কয়েক দিনের মধ্যে তারা ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ৷ তারা সারা দেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছ।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে দেওয়া তথ্যকে মিথ্যা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে এই দাবির যথাযথ প্রমাণ না দিতে পারলে মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ নেতাকর্মী জেলে বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিল ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

;

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কা, শিশুসহ আহত ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুসহ ৬ যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদাঘাট এলাকার চামাউরাকান্দি গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা (৩৫), তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩২), বিমানবন্দর থানার ছালেক আহমদের স্ত্রী (নাজমা বেগমের বোন) আছমা আক্তার (৪০), আছমা আক্তারের নাতি রবিউল (৬), ভাতিজি সাজনা আক্তার (১২), সিএনজিচালিত অটোরিকশার ড্রাইভার মাঝেরগাঁও গ্রামের আজিম মিয়ার পুত্র আজাদুল ইসলাম (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) গোলাম দস্তগীর আহমদ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা অপর একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশার চালকসহ কয়েকজন যাত্রী ছিটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়।

;

ঝিনাইদহে ৪০ সোনার বারসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি সোনার বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয় বলে মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান।

আটককৃতরা হলেন, মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহলদল ছয়ঘড়িয়ায় অবস্থান নেয়। সেখানে মোটরসাইকেলে চড়ে দুজন ব্যক্তি সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে দেহ তল্লাশি চালায়। এসময় একজনের কোমরের মধ্যে সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ৪০টি সোনার বার খুঁজে পায়। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজারমুল্য প্রায় ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।

;