জজ মিয়া নাটকের প্রহসনকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম ঢাকা
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ২১ আগস্ট অত্যন্ত নৃশংস এবং কালো অধ্যায়। সেদিন রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করে কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্ব শূন্য করা যায় সেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রকৃতভাবে গ্রেনেড হামলা সাথে জড়িতদের আইনে ঊর্ধ্বে রেখে-কিভাবে মামলাটিকে অন্যখাতে প্রভাবিত করা যায়, কিভাবে তদন্ত ভিন্নখাতে নেওয়া যায় সেজন্য জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল। যারা সেদিন জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা উচিত।

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির আইভি রহমান মিলনায়তনে বেগম আইভি রহমান এর ১৫তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।  আইভি রহমান মৃত্যু বার্ষিকী পালন কমিটি-২০১৯ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

স্পিকার বলেন, একুশের আগস্টের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সেদিন নোয়াখালীর সেনবাগের একজন সাধারণ লোক তাকে কিভাবে ২০০৫ সালের জুন মাসে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে এনে জোড়পূর্বক স্বীকারোক্তি দিয়ে মামলার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর প্রকত ঘটনা বেরিয়ে আসে। রায় প্রকাশিত হয় তৎকালিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী হারিস চৌধুরী, তারেক রহমানরা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল। রায় প্রকাশিত হয়েছে।

এ সময় নারী রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে স্পিকার বলেন, যে নারীরা আগামী প্রজন্মে রাজনীতিতে আসতে চান নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চান আমি তাদেরকে বেগম আইভী রহমানের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানাব। সেখানে থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। যেটা আমাদের আগামী দিনের এগিয়ে চলার পথকে আরও প্রশস্ত করবে।

স্পিকার বলেন, আইভি রহমান দীর্ঘদিন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দিয়েছেন। তিনি অনুকরণীয় এক নেতৃত্ব। আমরা জানি রাজনীতিতে একজন মহিলার উঠে আসা অনেক কঠিন বিষয়। যারা মহিলা আওয়ামী লীগ করেন বা যুব মহিলা লীগ করেন আপনারা জানেন মহিলা হিসেবে আমাদের রাজনীতিতে আসা বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয়া এবং এগিয়ে যাওয়ার পথটা কিন্তু এত মসৃণ না। কিন্তু বেগম আইভী রহমান মেয়েদের জন্য সেই জায়গাটি তৈরি করার জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন।

বেগম আইভি রহমান মৃত্যু বার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, ডেপুট অ্যার্টনি জেনারেল কাজী শাহানারা ইয়াসমিন প্রমুখ।

   

ভুটানে পৌঁছেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভুটানে পৌঁছেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ভুটানে পৌঁছেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এর আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এর আগে বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজার আমন্ত্রণে গতকাল (২৮ মার্চ) বিকেলে তাঁর সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভারত হয়ে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখেন এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমন্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়। পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

ভুটান সফর শেষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

;

রাজধানীসহ ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ী দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, আজ সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ।

আর আগামীকাল শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে ওইদিনও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অপরদিকে রোববারও (৩১ মার্চ) ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একইসাথে ওইদিনও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

;

আশুলিয়ায় ৩ কথিত সাংবাদিক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চাঁদা না দিলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আশুলিয়ায় ৩ কথিত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বিভিন্ন কথিত মিডিয়ার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে আসছিল চক্রটি। পরে অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আশুলিয়া থানা থেকে তাদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে তাদের আশুলিয়ার বাইপাইল পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে এক ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাগুরা জেলার মো. শহীদুল ইসলাম (৩৯), সিরাজগঞ্জ জেলার মো. শাহীন (৩২) ও যশোর জেলার মো. আরমান হোসেন (৩০)। তারা আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থেকে সাভার, আশুলিয়া ধামরাই এলাকায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

তাদের কাছ থেকে একটি প্রেস স্টিকার লাগানো একটি মোটরসাইকেল, সত্য প্রকাশ, আইন সমাজ, জে জে বাংলা টিভি সহ ৬টি বিভিন্ন মিডিয়ার পরিচয় পত্র, টোয়েন্টি ফোর বিডি নিউজ ও এম টিভি নামে দুটি ২টি মিডিয়ার বুম, মোবাইল ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, সংঘবদ্ধ চক্রটি এলাকার সাধারণ মানুষের বাসায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা পুনরায় গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন কৌশলে বাড়ির মালিককে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায়ের প্রতারণা করে আসছিলো।

র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাভার-আশুলিয়া আশপাশের এলাকায় ভূয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।

;

ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই, তোলা হবে মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রাজধানীর গুলশান থানায় ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান, তার ছেলেসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ভাইকে হত্যার অভিযোগে শাযরেহ হক এ মামলা করেন।

মামলার তদন্তভার পিবিআই পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত হোসেন শামীম।

তিনি জানান, ১০ মাস আগে আরশাদের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২১ মার্চ রাতে আরশাদের বড় বোন সিমিন ও তার ছেলে ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারাইফ আয়াত হোসেনসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন আরশাদের আরেক বোন শাযরেহ হক। তদন্তের অংশ হিসেবে আরশাদের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে পিবিআই। এজন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আদালতে আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে; চলতি সপ্তাহেই মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পিবিআই ঢাকা উত্তরের তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৬ জুন রাজধানীর গুলশানের বাসায় নিজের শোয়ার ঘরে রহস্যজনক মৃত্যু হয় সিমিন রহমান ও শাযরেহ হকের একমাত্র ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের। অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আরশাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে এক সপ্তাহ আগে গুলশান থানায় মামলা করেন শাযরেহ। গুলশান থানা পুলিশ আরশাদের মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের অনুমতি পায়। মামলার তদন্তভার ২৭ মার্চ পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়।

পিবিআই ঢাকা উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে ভাইকে হত্যার অভিযোগে শাযরেহ হকের করা মামলার তদন্তভার পিবিআই পেয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সব প্রক্রিয়াই গ্রহণ করবে পিবিআই। এ ধরনের মামলায় কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন স্বাভাবিক তদন্তের অংশ। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

শাযরেহ হক এর আগে সিমিন রহমান ও তার মা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান (লতিফুর রহমানের স্ত্রী), বোন, ভাগ্নেসহ আটজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগ এনে আরও তিনটি মামলা করেন। গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ এনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় এসব মামলা করা হয়। ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লতিফুর রহমানের মৃত্যুর পর সম্পত্তির ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে এ তিন মামলার সূত্র ধরে পিবিআই এরই মধ্যে ট্রান্সকম গ্রুপের গুলশানের হেড অফিস থেকে বেশ কিছু নথি জব্দ করেছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার ট্রান্সকমের পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রথমে জামিন দেওয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।

আরশাদ হত্যা মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অন্য ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে কৌশলে বিষপ্রয়োগ/শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে সিমিন রহমানসহ অন্যদের আচরণে প্রকাশ পাচ্ছে।

মামলায় শাযরেহ হক দাবি করেন, পারিবারিকভাবে বনানী করবস্থানে আরও ৪টি খালি কবর থাকার পরও তাড়াহুড়া করে তার ভাইয়ের মরদেহ তার ছোট বোন শাজনীনের কবরের ওপর দেওয়া হয়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিমিন হকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। আরশাদের মৃত্যুর পরপরই তার বাড়ি, গাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি সিমিন রহমান, যারাইফ আয়াত হোসেনসহ অন্যরা দখলে নিয়ে নেন।

এ মামলার আসামি হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান, তার ছেলে ও ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারাইফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ম্যানেজার (মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স) ডা. মুরাদ, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, ট্রান্সকম লিমিটেডের ট্রান্সকম গ্রুপ করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান, মো. জাহিদ হোসেন, ট্রান্সকম লিমিটেডের ম্যানেজার (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) সেলিনা সুলতানা, ট্রান্সকম লিমিটেডের ম্যানেজার (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, বাবুর্চি রফিক ও ব্যক্তিগত গাড়িচালক মিরাজুল। এজাহারে ৭ নম্বর আসামি জাহিদ হোসেনের কোনো পরিচয় দেওয়া হয়নি।

;