‘নির্মল বায়ু’র টাকায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ!



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি লোগো

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকল্পের খরচে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজে লাগানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংসদীয় কমিটিতে। অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণ দেশের জন্য অকল্যাণকর হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।

ভবিষতে কেউ কোন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ গেলে তিনি যেন দেশে ফিরে অন্তত কিছুদিন ওই প্রকল্পের বিষয়ে সহায়তা করতে পারেন সে ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির কথা বলছে সংসদীয় কমিটি।

২০০৯ সালের জুলাই মাসে শুরু হয় নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্প। এ প্রকল্পের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। প্রকল্প চলাকালে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনের ৩২ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাদের অধিকাংশই এখন অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন, নয়তো বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা অবসরে চলে গেছেন। প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই তারা অবসরে গেছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সবশেষ বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি মনে করে এভাবে বিদেশ ভ্রমণ করে টাকা খরচ করে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করার কোন অর্থ হয় না।

প্রকল্পে খরচ ধরা ছিল ৪৬০ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রকল্পের সেই টাকা খরচ করে এখন আবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে চাইছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পের অর্থের মধ্যে জিওবি ৭ কোটি ৯৪ লাখ এবং সাহায্য ৪৫৩ কোটি ২০ হাজার টাকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পথচারী চলাচল বৃদ্ধি, ট্রাফিক গতি বৃদ্ধি, ট্রাফিক দুর্ঘটনা হ্রাস করা, পথচারী ও গাড়ি চালকদের উদ্বুদ্ধকরণসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এর মধ্যে দুই দফা সড়ক দুর্ঘটনার কারণে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা।

তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়নের খাতায় দেখানো হয়েছে—৮৩ দশমিক ৯১ কি. মি. রাস্তা, নর্দমা, ফুটপাত এবং ২০টি অত্যাধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। ২১টি ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগন্যাল রিমোট কন্ট্রোলসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাস্তবে এসব যাত্রী ছাউনি ব্যবহার হয় না। আর রিমোট কন্ট্রোল সিগনালও চলে না।

প্রকল্প চলাকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ ৩২ কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা। যাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছে তাদের মধ্যে শুধু মেয়র আর কাউন্সিলর ছাড়া বাকিরা কেউ নেই ডিএসসিসিতে। কাজেই অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে এভাবে বিদেশ সফরকে মেনে নিতে পারছে না সংসদীয় কমিটি।

অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে বিদেশ সফর করেছেন ডিএসসিসি’র ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হামিদুল হক শামীম, ডিএসসিসি প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম, যিনি বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব। অতিরিক্ত সচিব মো. আলমগীর ডিএনসিসি প্রশাসক থাকাকালে বিদেশ সফর করেছেন। অতিরিক্ত সচিব মো. আক্তার হোসেন ভূঁইয়া, অবিভক্ত সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ যিনি বর্তমানে সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুলতান উল আলম চৌধুরী, মো. আনছার আলী খান বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত।

এছাড়া ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিলাল বর্তমানে এনবিআর সদস্য, বি এম এনামুল হক যুগ্ম সচিব প্রধান নির্বাহী ডিএনসিসি বর্তমানে অবরপ্রাপ্ত, এ এস এম ইমদাদ দস্তগীর মহা ব্যবস্থাপক (পরিবহন) ডিএসসিসি, ব্রি. জে. আব্দুল কাদির প্রধান প্রকৌশলী ডিসিসি (অবিভক্ত) অবসরপ্রাপ্ত, ব্রি জে. মো. আহসানুল হক মিয়া প্রধান প্রকৌশলী ডিএনসিসি (অবরপ্রাপ্ত), ডিএসসিসি প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল্লাহ অবসরপ্রাপ্ত, প্রধান প্রকৌশলী ডিএসসিসি মো. রেজাউল করিম প্রধান কোথায় আছেন তার কোন হদিস নেই। মো. আব্দুস সালাম অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ডিএসসিসি (অবসরপ্রাপ্ত), মো. সেহাব উল্লাহ প্রকল্প পরিচালক কেইস প্রকল্প (অবরসপ্রাপ্ত), মোছা. শাহিনা খাতুন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোন-১, মফিজুল ইসলাম আইন কর্মকর্তা (অবরসরপ্রাপ্ত)।

বিদেশে ট্রেনিং নিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ নির্বাহী প্রকৌশলী অঞ্চল-১, মো. মফিজুর রহমান খান নির্বাহী প্রকৌশলী কেইস প্রকল্প. মো. রফিকুল ইসলাম সহকারী প্রকৌশলী ডিসিসি বর্তমানে ডিএনসিসি, মুনসী মো. আবুল হাসেম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ডিএসসিসি, মোহাম্মদ আরিফুল রহমান তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী টিইসি ডিএনসিসি, নাঈম রায়হান খান সহকারী প্রকৌশলী টিইসি ডিএনসিসি, ইশতিয়া মাহমুদ সহকারী প্রকৌশলী অঞ্চল-৩ ডিএনসিসি, মো. আব্দুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী ডিসিসি বর্তমানে ডিএনসিসি, তৌহিদ ইবনে আকরাম সহকারী প্রকৌশী কেইস প্রকল্প ডিএসসিসি, সুপ্রতীম সেনগুপ্ত সহকারী প্রকৌশলী কেইস সাইফুল ইসলা সহকারী প্রকৌশী টিইসি ডিএনসিসি, মো. সাইদুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএনসিসি।

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, প্রশিক্ষণের নামে ঢালাওভাবে লোকজন পাঠানো হয়েছে। প্রশিক্ষণের সুফল আমাদের পাওয়া দরকার, সেটা তো আমরা পাচ্ছি না। আসলে এর কোন নীতিমালা ছিল না। আমরা তাই নীতিমালার ওপর জোর দিয়েছি। নীতিমালা থাকলে কারও পছন্দ-অপছন্দের বিষয় থাকবে না। যারা যোগ্য তারাই প্রশিক্ষণে যাবেন। তাছাড়া যারা ১০-১৫ বছর সার্ভিস দিতে পারবেন তারাই যাবেন।

   

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪ কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহ ও কাঠফাটা রোদে রাস্তার মোড়ে মাথায় হাত দিয়ে বসা এক রিকশাচালক। টপটপ করে ঘাম ঝরছে। বারবার মাথার ঘাম গামছা দিয়ে মোছার চেষ্টা করছেন। গরমের কারণে রাস্তায় তেমন লোকজন নেই। রিকশাচালক গোলাপ মিয়ার মাথায় চিন্তার ভাঁজ। একদিকে রিকশার ভাড়ার চাপ, আরেকদিকে সংসার চালানো।

দিনটা পার হলেই রিকশার ভাড়া দিতে হবে, তিনশো টাকা৷ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত তার উপার্জন মোট আশি টাকা। রাতে রিকশার মহাজনকে যেভাবেই হোক টাকা দিতেই হবে। উপার্জন হোক বা না হোক এ-টাকা তাকে দিতেই হবে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তার।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌরবাজারে দেখা মিলেছে এমনই এক রিকশারচালকের৷ তার নাম গোলাপ মিয়া (৪০)। পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউপির পূর্ব বীরগাঁও গ্রামের মাঝিবাড়ির বাসিন্দা তিনি।

এলাকাবাসী ও রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্ত্রী দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার গোলাপ মিয়ার। মেয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বাকিরাও স্কুলে লেখাপড়া করছে। ছেলেমেয়েরা সবাই মেধাবী। লেখাপড়ায় তারা আগ্রহী। তীব্র অভাব অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এলাকাবাসী জানান, গোলাপ খুবই সহজ সরল ও পরিশ্রমী মানুষ। নিয়মিত নামাজ পড়েন। নিজস্ব থাকার নিজস্ব কোন জায়গা নাই। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভালো। অভাবের কারণে খাবার জোটানো কঠিন। লেখাপড়ার খরচ তাদের জন্য যুদ্ধ করার মতো কষ্ট হচ্ছে। তার নিজস্ব একটা গাড়ি হলে পরিবার নিয়ে উপার্জন করে ভালোভাবে চলতে পারতেন বলে ধারণা তাদের।

রিকশাচালক গোলাপ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংসার নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি। ভাত জোটানো যেখানে দায় সেখানে লেখাপড়া কীভাবে করাব বলেন? তবুও সন্তানের মুখের দিকে তাকালে মনডা মানে না আর, তাদের আবদার রাখতে পারি না।

তিনি আরও জানান, একটা আনলে আরেকটা বাকি থাকে। আমার নিজস্ব একটা প্যাডেলের রিকশা ছিল। ২৫ বছর আগে চিকিৎসার খরচ আর তীব্র অভাবে বিক্রি করেছিলাম। পরে আর কেনার সাধ্য হয়নি। একটি অটোরিকশা হলে সংসারটা চালাতে পারতাম। বাড়িটাও ঝুপড়ি ঘর, বৃষ্টি আসলেই ভিজতে হয়; এভাবেই চলছি।

;

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও মসজিদ কমিটি কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বিত্তিপাড়া গ্রামের মৃত কলিল মন্ডলের ছেলে জাহিদুর মন্ডল (৫৫), মৃত ফকির মন্ডলের ছেলে মনি মন্ডল (৬০), মৃত মকবুল মন্ডলের ছেলে খালেক মন্ডল (৫৫) ও মৃত আহসান আলীর ছেলে আক্কাস মন্ডল (৫০)।

আহতরা সবাই উজানগ্রামের বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থক।

আহতরা জানান, মাগরিবের নামাজের পরে বিত্তিপাড়া তেল পাম্পের নিকটে মোহিদের দোকানে বসে চা পান করছিলেন তারা। হঠাৎ করে উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক ও তার লোকজন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , বিত্তিপাড়া গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।

বুধবারের এই ঘটনার আগে গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর আগে ঈদের (ঈদুল ফিতর) নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোশত কিনতে গিয়ে দু’পক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এরপর ঈদগাহে আসার পথে বক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদগাহের দখল নিয়ে দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে বক্কার গ্রুপের যোয়াদ মণ্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন। পূর্বের ঘটনার জেরে সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে।

সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫, ৬ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছা. শারমিন আক্তার জানান, ‘আমার মাধ্যমে জেলা পরিষদ থেকে বিত্তিপাড়া জামে মসজিদের গেইটের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান পাই। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দীক মসজিদে গিয়ে দাবি করেন, তিনি এ টাকা জেলা পরিষদ থেকে নিয়ে এসেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সে সময় তিনি দাবি করেন তাকে মসজিদ কমিটির সভাপতি বানাতে হবে। এই নিয়ে মসজিদে মধ্যে হট্টগোল বাঁধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হোসেন মেম্বারের লোকজন বাজারে গোশত কিনতে আসে। লোক মুখে শুনেছি, তখন সরদার পাড়ার জামাল পাগল অর্থাৎ জামাল খোড়া হোসেন মেম্বারের এক সমর্থককে মারধর করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। ওই মারামারি ঘটনা সমাধান না হওয়ার জের ধরে বুধবার অতর্কিতভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীকের সমর্থকরা হোসেন মেম্বারের সমর্থকদের উপর এই হামলা চালিয়েছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘জেলার শীর্ষ নেতারা উভয় পক্ষের লোকজনদের এক জায়গায় বসিয়ে এই মারামারি, এই সংঘর্ষ পুনরায় যাতে না হয়, সে বিষয়ে একটি সমাধান করে দেবেন। আমরা গ্রামের শান্তি চাই।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন অহত হয়েছে। বর্তমানে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিত্তিপাড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

;

মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা মাইন ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা দুইটি মাইন ও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণ ঘটায় ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় ক্যানেলের পাশের এক পতিত জমি খননের সময়ে শ্রমিকরা থ্রি নট থ্রি রাইফেলের যন্ত্রাংশ, দুইটি মাইন ও একটি মটরসেল দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী জানাজানি হলে সবাই দেখতে ছুটে আসেন। সেসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে বিস্ফোরণ করেন। ধারণা করা হয় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল। সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে সেগুলো বিস্ফোরণ করেন।

;

নওগাঁয় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় তীব্র তাপদাহ হতে রক্ষা ও বৃষ্টি চেয়ে এবং জনজীবনে স্বস্তির আশায় নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয় । এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় বিভিন্ন এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় শেষে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিগণ।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ধান ও আমের গুটির জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর এই আবহাওয়া। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ দরকার। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির পানি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন তিনি।

শাহারিয়ার শান্ত বলেন, হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সবািইকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মাওলানা আব্দুল মুকিমের ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়।

;