আলহামদুলিল্লাহ, ন্যায়বিচার আছে প্রমাণ হলো: মিন্নির বাবা
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেছেন, 'আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি। ন্যায়বিচার এখনো আছে, এটা প্রমাণ হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা যা করেছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে গর্বিত। আমি সুন্দর একটা রায় পেয়েছি।'
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) হাইকোর্টে মেয়ে মিন্নির জামিনের রায়ের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মিন্নির জামিন আদেশ দেন।
আদালতে মিন্নির জামিনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি চেষ্টা করেও রিফাতকে বাঁচাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে চাক্ষুষ সাক্ষী করা হলেও এক আসামির জবানবন্দিতে তার নাম আসলে আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আটকের পর রিমান্ডে নিয়ে মিন্নিকে শারীরিক নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ করেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। মেয়ের জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদনও করেন। কিন্তু কয়েক দফার শুনানি শেষে সেটি খারিজ হয়ে গেলে ফের জামিন আবেদন করেন মিন্নির আইনজীবী। এরই প্রেক্ষিতে অবশেষে জামিন পেলেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: হাইকোর্টে মিন্নির জামিন
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন হয়নি মিন্নির, আবেদন ফেরত