রেলের তিন হাজার একর জমি বেদখল



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
রেলের জায়গাতেই গড়ে উঠেছে বস্তি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রেলের জায়গাতেই গড়ে উঠেছে বস্তি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পুরানো রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রেলওয়ের অনেক ভূ-সম্পদ রয়েছে। তবে বেদখল হওয়ায় দিন দিন এই সম্পদের পরিমাণ কমে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ এই জমি উদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সারাদেশে বাংলাদেশ রেলের প্রায় তিন হাজার ২১৩ দশমিক ৭৮ একর জমি বেদখল হয়ে আছে। যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৭৫০ একর এবং পশ্চিমাঞ্চলে দুই হাজার ৭১৫ দশমিক ৯১ একর জমি বেদখল হয়ে আছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা বিভাগে বেদখল হয়ে আছে ৫৩৫ দশমিক ৩১ একর জমি।

রেলওয়ে ভূ-সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত রেলের মোট জমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮২০ দশমিক ৩৫ একর। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে জমি আছে ৩৭ হাজার ৪১৯ দশমিক ৩৫ একর এবং পূর্বাঞ্চলে আছে ২৪ হাজার ৪০ দশমিক ১ একর।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালী, নাখালপাড়া, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ঘুরে দেখা গেছে, রেল লাইনের পাশে ১০ ফুট জায়গা খালি রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। রেললাইনের পাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে বাজার, বস্তি, দোকানপাট এবং নানা ধরনের স্থাপনা। এর মাধ্যমে রেলের জমি বেদখলের চিত্র স্পষ্টতই চোখে পড়ে।

রেলের তিন হাজার একর জমি বেদখল

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকার দু’পাশে গড়ে উঠেছে বস্তি। ওই বস্তির বাসিন্দা মো. আয়নাল হক জানান, রেললাইনের পাশের বস্তিতে তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে থাকেন। তবে কোনো প্রভাবশালীকে চাঁদা দিতে হয় না। নিজেরাই ঘর বানিয়ে সেখানে থাকেন এবং ঘর ভাড়া দেন।

তিনি আরও জানান, তারা জোর করে রেলের জমি দখলে রাখেননি। কর্তৃপক্ষ যেদিন তাদের উঠিয়ে দেবে সেদিনই তারা চলে যাবেন।

তেজগাঁও রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এমএ আজিজ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'তেজগাঁও স্টেশনের পাশে অনেক জমি প্রভাবশালীদের দখলে আছে। অনেকবার উচ্ছেদ করেও তাদেরকে সরানো যায়নি। খুব শিগগিরই ঢাকা টু টঙ্গী চার লেনের কাজ শুরু হবে। তখন এমনিতেই রেললাইনের পাশের এই বস্তি উচ্ছেদ করা হবে।'

রেলের তিন হাজার একর জমি বেদখল

রেল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান আগের চেয়ে বেড়েছে। প্রতিমাসেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় রেলের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

রেলের ভূ-সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ এর জুলাই মাস পর্যন্ত এক বছরে পশ্চিমাঞ্চলে থেকে বেদখল জমি উদ্ধার হয়েছে ৯৬ দশমিক ২৩ একর। একই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলে উদ্ধার হয়েছে ৭৭ দশমিক ৪৪ একর জমি। পূর্বাঞ্চলের চেয়ে পশ্চিমাঞ্চলে বেদখল হওয়া বেশি জমি উদ্ধার হয়েছে।

বেদখল জমি উদ্ধার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'সরকারি-বেসরকারি প্রভাবশালীসহ বিভিন্ন খাতে রেলের জমি বেহাত হয়ে আছে। বেহাত হওয়া এসব জমি উদ্ধার করার জন্য প্রতি মাসেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আগের চেয়ে এখন বেদখল হওয়া জমির পরিমাণ অনেক কমে এসেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য বিশেষ কোনো বাজেট না থাকায় আমরা পুরোপুরি কাজ করতে পারছি না। এজন্য বিশেষ বাজেটের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত অর্থ পেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে নিজেরাই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারব। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ভাড়া করে নিয়ে আসতে হয় মেশিন। যাতে বেশি অর্থ খরচ হয়, ফলে বেদখল জমি উচ্ছেদে অভিযান বাধাগ্রস্ত হয়।'

   

বরিশালের এবায়েদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম চকবাজার জামে এবায়েদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করতে যখন প্রস্তুত হচ্ছিল ঠিক সেই সময় ইমামের কক্ষের এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। সাথে সাথে আগুন ধরে যায় ইমামের কক্ষে। তাৎক্ষণিক মুসুল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইমামের কক্ষে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ইসলামিক বই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল আলামিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তিনটি ইউনিট কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরও ধারণা এসি থেকেই আগুনে সূত্রপাত ঘটে। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;

লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য বিক্রি: যুবক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নয়ন শেখ (২৮) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-১২।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।

আটককৃত নয়ন শেখ কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন বিপিএম পিপিএমের নির্দেশনায় বুধবার রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১৯০ পিস ইয়াবাসহ মো. নয়ন শেখ (২৮) নামের ১ জন মাদক কারবারিকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

১৪ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষণ মামলা আসামির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির ১৪ বছর পালিয়ে থেকেও রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়ার পরে তাকে এরই মধ্যে সাজাভোগের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেফতার এনায়েত রাঢ়ী বরিশালের উজিরপুর থানাধীন হারতা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামের মো. শাহজাহান রাঢ়ীর ছেলে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে র‍্যাব-৩ এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বরিশাল উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহম্মেদ।

তিনি জানান, এএসআই আল মামুন ফোর্সসহ ২৭ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযানে র‍্যাব -৩ এর সদস্যরা সহযোগিতা করে। বরিশালে আনার পর গ্রেপ্তার আসামিকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

থানা পুলিশের তথ্যানুযায়ী, উজিরপুর থানায় ২০০৯ সালে সাতলা গ্রামের এক নারী এনায়েত রাঢ়ীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা করে। ২০১০ সালে বরিশালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এরপর থেকে এনায়েত রাঢ়ী আত্মগোপনে চলে যায়। টানা ১৪ বছরের মাথায় সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লো।

;

মহেশখালীর ‘সিরিয়াল কিলার’ আজরাইল লোকমান অবশেষে র‍্যাবের জালে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার হত্যা মামলাসহ ১০ মামলায় দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ মহেশখালীর সক্রিয় জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখা (রিক্রুটমেন্ট উইং) এর প্রধান মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র‍্যাব-১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে তার সদর্প পদচারণা। ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ শরীফ চেয়ারম্যানের কনিষ্ঠ পুত্র, কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান এবং মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২১ মে ২০১১ তারিখে সরকারি বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কোরআনে হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখন্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেয়। লোকমান ও তার সহযোগীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও ৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই সালের ১১ জুন তারিখে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় দরিদ্র মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

র‍্যাব জানায়, র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মহেশখালীর দুর্গম সোনাদিয়া দ্বীপের আস্তানায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ ভোরে অভিযান পরিচালনা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে (৫৩) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমান (৫৩) মহেশখালীর কালারমারছড়ার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

 

;