নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব ময়মনসিংহের বাজার!



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
এখনো দোকানগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এখনো দোকানগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নগরীর সানকিপাড়া রেলক্রসিং কাঁচাবাজার। বিকেলেও সরগরম বাজার। একটি সবজির দোকান থেকে সবজি কিনছিলেন আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার। শাক, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পর দোকানি তা তুলে দিলেন পলিথিন ব্যাগে।

এ ছবি ক্যামেরায় ধারণের পর সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম হাঁক দিলেন, 'ভাই নিয়ম জানি। কিন্তু কী আর করার? দোহানে যে পলিথিন আছে হেইড্যা তো শেষ করতো অইবো। কতা দিলাম এরপর আর বেচুম না।'

দোকানির কথা শুনে ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে ওই তরুণী বললেন, 'নিয়ম সবার জন্যই সমান। আমরা নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পরিবেশের জন্য হুমকি পলিথিন আমরা বর্জন করব। এখন থেকে বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়েই বাজারে আসব।'

এ চিত্রটি রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের। অথচ এর মাত্র ঘণ্টা কয়েক আগে বেশ ঘটা করেই ময়মনসিংহকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। নিজেই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছেন।

নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব ময়মনসিংহ বাজার!

পরিবেশবাদীরা বলছেন, 'দায়িত্ব নিয়েই ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশংসিত হয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে নগরী পলিথিনের রাহুমুক্ত হবে। কথিত শক্তিশালী পলিথিন সিন্ডিকেটের রমরমা ব্যবসার অবসান হবে।'

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগে পলিথিনমুক্ত করার। বলেছিলেন, সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে। অতঃপর এদিন বিভাগীয় কমিশনার নিজেই মাঠে নেমেছেন।

এতকিছুর পরেও বাজারমুক্ত হলো না নিষিদ্ধ পলিথিন থেকে। ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার দিব্যি করে যাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। দোকানিরাও বলছেন, স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কিছুই করার নেই।

শুধু সানকিপাড়া রেলক্রসিং কাঁচাবাজারই নয়। নগরীর নতুন বাজার, সানকিপাড়া শেষ মোড়, কলেজরোড, কাচিঝুলিসহ বেশকিছু স্থান ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে দেদারছে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। ময়মনসিংহে কোনো পলিথিন থাকবে না। আমরা এ নির্দেশ অবশ্যই বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে পরিবেশকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করব।'

নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব ময়মনসিংহ বাজার!

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরিবেশ রক্ষার্থে সরকার ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগ/ঠোঙার উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে এর ব্যবহার পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

উক্ত আইনে শাস্তির বিধান পলিথিন শপিং ব্যাগ/ঠোঙা উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাত করলে ন্যূনতম দুই বছর, অনধিক ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা ন্যূনতম দুই লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয়। একইসঙ্গে পলিথিন শপিং ব্যাগ/ঠোঙা বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ বা বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহার/পরিবহন করলে অনধিক এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার আইন রয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে 'পলিথিন শপিং ব্যাগ/ঠোঙা বর্জন করুন, পরিবেশ সুরক্ষা করুণ' শীর্ষক এক প্রচার-প্রচারণাপত্রে বলা হয়েছে- 'পলিথিন ব্যাগ পচনশীল নয়। তাই এটি মাটির সঙ্গেও মিশে যায় না। ফলে যত্রতত্র পড়ে থাকা পলিথিন ও পলিথিন ব্যাগ মাটির উর্বরতা নষ্ট করে এবং শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। পলিথিনে খাদ্যদ্রব্য রাখলে দ্রুত রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃষ্টি করে ক্যানসারসহ মারাত্মক রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দেয়। এছাড়া এটি পোড়ালেও বিষাক্ত হাইড্রোজেন সায়ানাইড গ্যাস নির্গত হয়, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।'

   

ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আগে থেকেই ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির বাঁ পায়ের কিছু অংশ ছিল না। লাঠি দিয়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করতেন।

তিনি জানান, রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও মৃত্যু হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভিক্ষুক প্রকৃতির। ফকিরাপুল এলাকাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং ওই এলাকায় থাকতেন।

;

লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে দিঘিরহাট নামক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাক একটি যাত্রীবাহী ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান চালক সহ গুরুতর আহত হয় ৬ জন।

তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাইয়ুম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। বাকি ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে এবং হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মৃত আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন ধুবনী এলাকায়।

ঘাতক ট্রাকটিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে সিংগীমারি ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।

হাতীবান্ধা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আরিফ জানান, সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে ছয়জনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।

;

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোর সুমন (১৬) মারা গেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সুমনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।

সুমন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ মাস পূর্বে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গিয়েছিলেন সুমনসহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ২৫-৩০ জন কিশোর। সেখানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চিওড়া সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণে লেবার হিসেবে কাজ করছিলেন তারা।

রোজার ঈদের জন্য ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে এলো আসেননি কিশোর সুমন ও জিলানী। ঈদের পরদিন ওই এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী খোকন মিয়া।

রংপুরে ৫ দিন চিকিৎসার পর সুমনের স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিশেষায়িত একটি ক্লিনিকে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বজনরা টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা না করে শুক্রবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমনকে। নিয়ে আসার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে শনিবার সকাল ১১টায় মারা যায় সুমন।

সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলে চিকিৎসক। সুমনের মাথা, ঘাড়ে ও দুই হাতে প্রচুর আঘাত রয়েছে। আইসিউতে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এত টাকা কোথা থেকে পাবো। এজন্য গতকাল ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম।

সুমনের বাবা আরও জানান, ঠিাকাদার খোকন তাকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপরে আর খোঁজ নেননি তিনি। আজ সকালে মৃত্যুর খবর জানালে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পরিবারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর নিয়ে খোকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।

আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডংগা) বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ছেলেটির চিকিৎসা করানো সামর্থ নেই তার বাবার। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ছেলের চিকিৎসা না করে বাড়ি নিয়ে আসেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যায় সুমনের দাফন হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমাদের কেউ অবগত করেনি। তবে পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

;

পশু বিক্রির জন্য ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে ডিএনসিসি



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অস্থায়ীভাবে ৯টি হাট বসানোর পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্য হাটগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান করেছেন সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত কোন হাটের জন্য কারা দরপত্র জমা দিয়েছে সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির গাবতলী স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ও খিলক্ষেত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা।

সূত্র জানায়, পূর্বের মত এবারও কোরবানির পশুর হাট পাঁচ দিনের জন্য বসানো হচ্ছে। হাটগুলোতে ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারেন তার জন্য বিশেষব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ক্রেতারা হাট থেকে পশু কেনার পর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েচে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে অস্থায়ীভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথ বসানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা এক কোটি ৩৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা ছয় কোটি টাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা এক কোটি ৭৪ লাখ দু' হাজার ৭২৭ টাকা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং এক কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ টাকা, মোহাম্মদপুর বসিলার খালি জায়গা দু' কোটি ২০ লাখ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও খিলেখত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ডিএনসিসির এই সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাট শুরুর আগে নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকে। সকল প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই হাটের তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

;