কমলাপুর স্টেশনে ‘ডিজিটাল কোচ লোকেটর’
রেলসেবাকে আধুনিকায়ন করতে নেওয়া হয়েছে নানা ধরনের পদক্ষেপ। এরই অংশ হিসেবে কমলাপুর রেলস্টেশনে পরীক্ষামূলক ডিজিটাল কোচ লোকেটর সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যেই প্ল্যাটফর্মজুড়ে লাগানো হয়েছে সারি সারি স্ক্রিন। এসব ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখা যাবে ট্রেনের কোনটা কোন বগি।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায় ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষামূলকভাবে সারি সারি ডিজিটাল কোচ লোকেটর স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এর ফলে কোনো ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে কোনটা ‘ক’ বগি আর কোনটা ‘খ’ বগি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘ডিজিটাল কোচ লোকেটর সার্ভিস’-এর পরীক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনে বগির নাম দেখাচ্ছে। ডিজিটাল কোচ লোকেটর সার্ভিসের ফলে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা ট্রেনের কোচ নম্বর স্ক্রিনে দেখতে পারবেন। বগি খোঁজার জন্য তাদের আর দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।
ডিজিটাল কোচ লোকেটর সার্ভিস প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম মিলে মোট ৩৬টি ডিজিটাল স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই বাকি সব প্ল্যাটফর্মেই ডিজিটাল স্ক্রিন লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এর মধ্যেই আমরা ডিজিটাল কোচ লোকেটরের কাজ পুরোপুরি শেষ করেছি বিমানবন্দর রেলস্টেশনে। পর্যায়ক্রমে সব স্টেশনেই এ সেবা চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কোচ লোকেটর সেবার কাজটি বেশ জটিল তবে ঠিকঠাক করতে পারলে সুফল মিলবে। ট্রেনচালকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে প্ল্যাটফর্মে ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোর নিচেই দাঁড় করানো হয়। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে ডিজিটাল কোচ লোকেটর সেবাটি যথাযথ নাও মিলতে পারে। আমরা প্রকল্পের আওতায় কাজ করছি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সচিব এবং রেলওয়ের মহাপরিচালক সবসময় তদারকি করছেন।
কমলাপুর স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ডিজিটাল কোচ লোকেটর সার্ভিস বা ডিজিটাল কোচ শনাক্তকরণের সেবা এই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কাজটি থার্ড পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলে ডিজিটাল কোচ শনাক্তকরণ সেবা যাত্রীরা পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে ট্রেনের বগির নম্বর বুঝতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না। কোথায় কোন বগি আছে স্ক্রিনে দেখেই তারা জানতে পারবেন।