এতো ভিড় অতীতে দেখা যায়নি রেলে
ঢাকা: গত ৬টি ঈদে স্টেশন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন সিতাংশু চক্রবতী। ট্রেনের টিকেটের জন্য এতো ভিড় আগে কখনও দেখেন নি। ১৪ জুনের অগ্রিম টিকিটের জন্য যে ভিড় স্টেশন ছাড়িয়ে বাইরে রাস্তা পর্যন্ত গড়িয়েছে। লাইনের সামনে যারা আছেন তারা গতকাল দিনের বেলা এসে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন স্টেশনে।
৫ জুন সকাল থেকে ১৪ জুনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে। সামনের সারিতে থাকলেও কেউই এসি টিকিট পাচ্ছেন না-বরাবরের মতো এমন অভিযোগ আছে। এদিকে তিল ধারণের ঠাঁই নেই রেলওয়ে স্টেশনে। এ অবস্থায় কতজনই বা পাবেন টিকিট-এ প্রশ্ন ঘুরছে।
স্টেশন সূত্র জানায়, সড়কপথে যাতায়াত সুবিধাজনক না হওয়ায় এবার ট্রেনে বাড়ি ফিরতে মানুষের চাপ বেশি। ১৪ এবং ১৫ এই দু’দিন সবচেয়ে বেশি টিকিটের চাহিদা।
রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংসু জানান,সবাইকে হয়ত টিকিট দেয়া সম্ভব না। তবে যাত্রার কিছু আগে স্ট্যান্ডিং টিকিটও বিক্রি করে থাকে রেলওয়ে। এসব টিকিটের কোন সিট নাই, ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে যেতে হয়।
সকাল ৮টা থেকে মোট ২৬টি কাউন্টারে টিকিট দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আছে দুইটি। এছাড়া বুধবার ৬ জুন দেয়া হবে ১৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন।
আন্ত:নগর ট্রেনের ২২ হাজারসহ মেইল-লোকাল মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫৬ হাজার টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বছরের অন্য সময় দিনে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি হয় এ স্টেশন থেকে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে জানা যায়, কমলাপুর থেকে যে ৩১টি আন্ত:নগর ট্রেন চলে তার টিকিটসংখ্যা ২২ হাজার ১শ'২২টি। এ টিকিটের ৬৫ শতাংশ কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি করে টিকিট নিতে পারেন।
রেল মন্ত্রণালয়ের তথ্য,এবার ঈদে সারাদেশে ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী টানবে রেল। চলবে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন। ঈদের ৫ দিন আগে থেকে বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
প্রতি বছর রেলের মোট টিকিটের ২৫ ভাগ বিক্রি করা হয় অনলাইনে, ৫ ভাগ বিক্রি হয় ভিআইপিদের কাছে আর আরও ৫ ভাগ বিক্রি করা হয় রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। এ কারণে একটি ট্রেনের ৬৫ ভাগ টিকিট কাউন্টারের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি ২৫ ভাগ কোটা।