ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক দুষ্টচক্রের সৃষ্টি কিশোর গ্যাং!



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
কিশোর গ্যাং এর প্রতীকী ছবি

কিশোর গ্যাং এর প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ‘কিশোর গ্যাং’। সাধারণ জনগণ থেকে আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী সবারই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এরা। রাজধানী থেকে শুরু হওয়া ‘কিশোর গ্যাং’-এর ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়েছে জেলা-উপজেলা কিংবা মফস্বল শহরেও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক অনুশাসনের অভাব, ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক দুষ্টচক্র, মূলত এই তিন কারণে গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। যারা উঠতি বয়সেই সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছে।

কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধগুলোর একটি বড় উদাহরণ বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ড। ০০৭ নামের একটি কিশোর গ্রুপের সদস্যদের মধ্যকার মনোমালিন্য, স্বার্থের দ্বন্দ্ব থেকে সেখানে হত্যাকাণ্ডের মতো মারাত্মক ঘটনা ঘটে। যা গোটা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে কিশোর গ্যাং’র ১ হাজার ২০০জন সদস্যকে রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাং’র সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: হিরোইজম থেকে কিশোর গ্যাং, আছে মাদকের প্রভাব!

তবে কিশোর অপরাধীদের সমস্যা শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে সমাধান করা যাবে না বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের দাবি এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে তৃণমূল পর্যায় থেকে। যার প্রথম ধাপ পরিবার, মাঝে সমাজ ও শেষ ধাপে রাষ্ট্র।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ১০-১৫ বছর আগেও দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। কিন্তু গত ১০ বছরের ব্যবধানে দেশের প্রতিটি কিশোরের হাতে পৌঁছেছে স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট। অপরাধ প্রবণতা বাড়ায় এমন কিছুই ইন্টারনেটে কিশোররা শিখছে বেশি। পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন ভেঙে পড়ায় কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে।

ফলে তাদের ভেতরে সঠিক ও সুস্থ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকেই ট্রেন্ড হিসেবে দেখছে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক রাজনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যও সচেতনভাবে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আকিব উল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘একজন কিশোর প্রাইভেসির নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সে খারাপ কিছু শিখছে কিনা তা পরিবারের লোকজন জানার চেষ্টা করছে না। পারিবারিক এমন সংস্কৃতি থেকেই কিশোররা ইন্টারনেটে নানা অপরাধমূলক অনুষ্ঠান দেখে নিজেকে অপরাধী হিসেবে গড়ে তুলছে।’

তিনি বলেন, ‘কিশোরকাল মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ সময় তাদের সুন্দর পরিবেশ উপহার না দিলে, তারা ভুল পথে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সমাজে সেই পরিবেশ নেই বলেই কিশোররা অপরাধী হয়ে উঠছে। তাদের সুস্থ বিনোদনের অভাব, খেলার মাঠের অভাব ও সংস্কৃতি চর্চারও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। তাই কিশোররা ভুল পথে চলে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন: সন্ধ্যার পর কিশোররা বাইরে থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম কে বলেন, ‘শক্ত হাতে দমন করা হবে’ পুলিশের এসব কথা বললে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে আসবে না। মনে রাখতে হবে সামাজিক সমস্যার কারণে কিশোররা ভুল পথে চলে গেছে। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে এই সমস্যা সমাধান করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের সুস্থ ব্যবহার, সামাজিক ও পারিবারিক অনুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কৈশোর জীবন কাটানোর সুযোগ দিতে হবে তাদের। সুস্থ বিনোদন ও সৃষ্টিশীল কাজের পরিবেশ করে দিতে হবে। এছাড়া স্কুল ও কলেজে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে অনেকাংশে এ সমস্যা সমাধান করা যাবে।’

আরও পড়ুন: হাতিরঝিল থেকে কিশোর গ্যাংয়ের শতাধিক সদস্য আটক

   

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কা, শিশুসহ আহত ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুসহ ৬ যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদাঘাট এলাকার চামাউরাকান্দি গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা (৩৫), তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩২), বিমানবন্দর থানার ছালেক আহমদের স্ত্রী (নাজমা বেগমের বোন) আছমা আক্তার (৪০), আছমা আক্তারের নাতি রবিউল (৬), ভাতিজি সাজনা আক্তার (১২), সিএনজিচালিত অটোরিকশার ড্রাইভার মাঝেরগাঁও গ্রামের আজিম মিয়ার পুত্র আজাদুল ইসলাম (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) গোলাম দস্তগীর আহমদ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা অপর একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশার চালকসহ কয়েকজন যাত্রী ছিটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়।

;

ঝিনাইদহে ৪০ সোনার বারসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি সোনার বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয় বলে মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান।

আটককৃতরা হলেন, মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহলদল ছয়ঘড়িয়ায় অবস্থান নেয়। সেখানে মোটরসাইকেলে চড়ে দুজন ব্যক্তি সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে দেহ তল্লাশি চালায়। এসময় একজনের কোমরের মধ্যে সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ৪০টি সোনার বার খুঁজে পায়। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজারমুল্য প্রায় ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।

;

বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এই বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’

এই বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ঈদের সালামি দাও নগদে, গাছ লাগানোর বাবদে’ শীর্ষক স্লোগানে বৃক্ষ রোপণে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করছে ইচ্ছে ফাউন্ডেশন। এই ক্যাম্পেইনকে সফল ও বেগবান করতে ইচ্ছে ফাউন্ডেশন এবং টুগেদার উই ক্যানের পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই বর্ষায় সংগঠনটি ১ লাখ বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন প্রজাতির দেশজ ফলের গাছ দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গ্রিন ফিউচার প্রজেক্টের আওতায় বৃক্ষ রোপণের এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- টুগেদার উই ক্যানের প্রতিষ্ঠাতা অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা, মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোহাম্মদ রেজাউল (রেজা) ও রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নাজমুল।

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্যে আমাদের দায়িত্ব হলো বসবাস উপযোগী পৃথিবী গড়ে তোলা। তাই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা গাছ রোপণ করছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা বলেন, ‘আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার্থে তরুণ সমাজ উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আমাদের জন্যে সুসংবাদ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদের তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়ানো। যার যার জায়গা থেকে বাড়ির আঙিনা থেকে বাসার ছাঁদ কিংবা বেলকুনিতে বৃক্ষ রোপণ করা।’

সংগঠনটির কো-ফাউন্ডার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বনভূমির পরিমাণ হলো ১৪ ভাগ। আমরা এটা ৩০ ভাগে রুপান্তর করতে চাই। আমরা মনে করি, তরুণ সমাজ চাইলে এটা সম্ভব। তারই বীজ বুনতে আমাদের এই উদ্যোগ। আশা করি সমাজের মানুষকে আমাদের পাশে পাবো।’

সংগঠনটির সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, এই বর্ষায় ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা সারা দেশে অন্তত ১ লাখ বৃক্ষ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই কার্যক্রমে প্রাধান্য পাবে মূলত উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। ইচ্ছে ফাউন্ডেশন মনে করে, ক্রমবর্ধমান এই তাপমাত্রাকে সহনীয় পর্যায় নিতে হলে সারা দেশে প্রচুর গাছ রোপণ করতে হবে। দেশের অন্তত ৩০ ভাগ বনভূমি করতে হলে প্রতিনিয়ত বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি চলমান রাখতে হবে। এই জন্য প্রয়োজন সরকারি, বেসরকারি সহায়তা। ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে বাণিজ্যিক কারণে ব্যক্তি সচেতন মানুষ চাইলে গাছ রোপণ করতে পারে না। সাধারণ মানুষের গাছ রোপণের ইচ্ছাকে সফল করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আপনিও চাইলে আগামী প্রজন্মের জন্যে গাছ রোপণ করতে পারেন ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। ইচ্ছে ফাউন্ডেশন সারাদেশে বিসৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

;

উপজেলা নির্বাচন

প্রথমধাপে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ১৪ প্রার্থী



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুত্তাপ উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ১শ ৫০টি উপজেলার মধ্যে তিনটি পদের (চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান) বিপরীতে ১২টি উপজেলায় একক প্রার্থী থাকায় ১৪ জন বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইসির (নির্বাচন কমিশন) একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীদের তালিকায় রয়েছেন, দুই চেয়ারম্যান, তিনজন পুরষ ভাইস চেয়ারম্যান ও সাতজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কেননা, আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। সেইদিন চূড়ান্ত হবে কতটি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কতজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলা এবং মুন্সীগঞ্জ সদর এ দুটি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

একইভাবে উপজেলা ভাইস (পুরুষ) চেয়ারম্যান পদে তিনজন অর্থাৎ কক্সবাজার সদর, হাতিয়া ও সন্দ্বীপ উপজেলায় একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন অর্থাৎ বাগেরহাট সদর উপজেলা, হাতিয়া, বড়লেখা, বালিয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া সদর, মতলব সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় একক প্রার্থী রয়েছেন।

এসব উপজেলায় তিনপদে ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে টিকলে সবাই একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হবেন।

এদিকে, দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুই দলের কোনো একটি নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে নির্বাচন হয়ে পড়ে একপেশে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো চলমান উপজেলা নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা গেছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে বাধ্যতামূলক মনোয়নপত্র দাখিল করার বিধান করেছে ইসি। সোমবার ছিল মনোয়নপত্র দাখিল করার শেষ সময়।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে ধাপে ১ হাজার ৮শ ৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬শ ৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭শ ২৪ জন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪শ ৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ইসি জানায়, সেখানে চেয়ারম্যান পদে একটি উপজেলায় একজন প্রার্থী ও সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে প্রার্থী রয়েছেন ১৮টি উপজেলায়। আর একজন প্রার্থী দুটি উপজেলায়।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থীর দুটি উপজেলা হচ্ছে, সিলেটের বিশ্বনাথ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। দ্বিতীয় ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন, একটি উপজেলা হচ্ছে, নেত্রকোনার কলমাকান্দা। নয়জন করে প্রার্থী হচ্ছেন, কুড়িগ্রামের রৌমারী, নওগার বদলগাছী, নাটোরের নলডাঙ্গা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও পাবনার বেড়া। আর ৮ জন করে প্রার্থী আছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, গোপালগঞ্জ সদর, নওগার মহাদেবপুর, নীলফামারীর ডোমার ও দূর্গাপুর।

এছাড়া ৯টি উপজেলায় যথাক্রমে ৭ জন ও ৬ জন করে প্রার্থী, ১৯টা উপজেলায় ৫ জন, ২২টি উপজেলায় ৪ জন, ৩৪টি উপজেলায় ৩ জন করে এবং ১৮টি উপজেলায় ২ জন করে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলায়, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১২ জন এবং ১০ জন করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, রামগতি ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। আর সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী সিলেটের ঘোড়াঘাট ও যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়।

দু’দিন প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামী ২৩ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হবে প্রতীক। এর পর থেকেই শুরু হবে টানা ১৫ দিনের প্রচার-প্রচারণা। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। আর দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে আগামী ২১ মে।

;