মক্কায় হাজীরা যার ‘মেহমান’



 জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব থেকে: ওমরাহ বা হজ্ব করতে আসা বাংলাদেশিরা আমার কাছে মেহমান। ব্যবসা যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে হাজীদের ‘খেদমত’ করার বিষয়টিই আমার কাছে সবচাইতে বেশি অগ্রাধিকার। এই নীতি আর আদর্শই আমাকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই বলছিলেন পবিত্র নগরী মক্কায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চৌধুরী।

কাবা ঘরকে ঘিরে গোটা পৃথিবীর ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মিলনমেলা বসে এই নগরীতে। এখনকার বিখ্যাত মসজিদ ‘আল হারামের’ কাছে গ্র্যান্ড মক্কা হোটেলের পেছনে সেবা আমির জবলে সউদান এলাকায় জসীম উদ্দিন গড়ে তুলেছেন ‘ঢাকা হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজ" নামের বিশাল এক রেস্টুরেন্ট।

/uploads/files/sIKM4X8P270kancnziStLZM68Kn4xAM6yYS0deda.jpeg

রেস্টুরেন্টে বছর জুড়েই লেগে থাকে ব্যস্ততা। রমজান মাস আর হজ্বের মওসুম এলে তো কথাই নেই, তা বেড়ে যায় বহুগুণে। রমজান মাসের শেষ দশদিন না‘জাতের। বছরের এ সময়টাতে বিশ্বের নানা দেশ থেকে ওমরাহ'র উদ্দেশে লাখো মানুষ আসে মক্কায়। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মক্কা নগরী।

এমন ভিড়ে বাংলাদেশিদের সংখ্যাটাও কম নয়। তাদের আগমনে "ঢাকা হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজ" যেন হয়ে ওঠে এক খন্ড ‘বাংলাদেশ’। 

বিদেশ ভুঁইয়ে আসা এমন বাংলাদেশিদের পাতে দেশি খাবার তুলে দিতেই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ঢাকা হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজের স্বত্বাধিকারী জসীম উদ্দিনের।

চট্রগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার চুড়ামনি গ্রামের আলহাজ্ব কবির আহমেদ চৌধুরীর ছেলে জসীম। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে বছর বিশেক আগে পাড়ি জমান মক্কায়। তখন তার ভরসা বলতে ছিলো বড়ভাই। এখন জসীমসহ পাঁচ ভাই জমিয়ে ব্যবসা করছেন মক্কায়।

জসীম প্রবাস জীবনে পা রেখেই যুক্ত হন ব্যবসায়। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি তার।

প্রতিদিন আড়াই থেকে প্রায় ৩ মণ গরুর মাংস বিক্রি হয় তার হোটেলে। এর বাইরে থাকে দেশ থেকে আসা ইলিশ,রুই,কাচকিসহ রকমারি স্বাদের মাছ তো রয়েছেই।

/uploads/files/1tqG6xBOZpr6mLnFmIdfnqdRKb4d00Clq3t9LFEs.jpeg

মক্কায় দেশি খাবারের স্বাদ নিতে হলে প্রতি বেলায় গুণতে হয় ১৫ থেকে ২০ রিয়াল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩শ'থেকে ৪শ' টাকা। তবে জসীম উদ্দিন চৌধুরীর হিসেবটা অন্যদের থেকে ভিন্ন। তিনি আসছে হজ্ব মওসুমে হাজীদের মাত্র ২০ রিয়ালেই তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।

জসীম জানালেন, গতবার ২০ হাজার বাংলাদেশি হাজীর খাবার সরবরাহ করেছি। এবার লক্ষ্য আরো বেশি। আমাদের হোটেলের সব মাছই আসে বাংলাদেশ থেকে। সে অর্থে দেশ থেকে আমদানী করা মাছের বদৌলতে রপ্তানির চাকা যেমন ঘুরছে, তেমনি ২৫ জনের কর্ম সংস্থানের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণে আমরাও ভূমিকা রাখছি।

তবে আমাদের এই ভূমিকাকে আরো বেশি করে উৎসাহ দিলে দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়বে বলে জানান তিনি।

জসীম উদ্দিন মনে করেন, প্রবাসীদের উৎসাহ দিতে সরকার দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের সন্মানিত করতে পারে। সেই সন্মান এক ধরনের স্বীকৃতিও। সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। তবেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রা যেমন বাড়বে,তেমনি বিনিয়োগও বাড়বে।

এছাড়া প্রবাসীদের দেশে পাঠানো অর্থ ও বিনিয়োগের পরিমাণ ও ভূমিকা বিবেচনায় সিআইপি কার্ড প্রদানের দাবীও করেন। এটা প্রবাসী ব্যবসায়ীদের মর্যাদাকে যেমন বাড়িয়ে দেবে, তেমনি দেশকেও সমৃদ্ধ করবে- যোগ করেন  প্রবাসী ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিন চৌধুরী।

   

চাকরিতে প্রমোশন, ৯ লাখ টাকা নিয়ে গ্রেফতার কবিরাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে এক কবিরাজ নিয়েছিলেন ৯ লাখ টাকা। প্রতারণা বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরে অভিযান চালিয়ে সেই ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃত কবিরাজকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ভন্ড কবিরাজের নাম মো হুমায়ুন কবির (৫৩) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় আল্লাহর দান আজমিরি কবিরাজি দাওয়াখানা-২ নামে একটি কবিরাজের দোকান দিয়ে স্থানীয়দের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। স্থানীয়রা সবাই তাকে কবিরাজ হিসেবেই চেনে।

ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন ভুঁইয়া একই এলাকায় বসবাস করে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে কবিরাজ তাঁর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়েছেন। পরে কাজ না হলে টাকা ফেরত চাইলে উলটো হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন সেই কবিরাজ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, প্রতারণার অভিযোগে এক ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট বিনিময়। যা চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কয়েকটি শাখা থেকেও নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন শাখা কাউন্টারের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমেও গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যেসব ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবেঃ

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।....

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা।....

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।....

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ ভুলতা শাখা, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর শাখা, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সীগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

;

বিডিজেএ'র সভাপতি মাসুম, সম্পাদক মাহবুব সৈকত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) ঢাকার আগামী দু’বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের জয়েন্ট এসাইনমেন্ট এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম এবং সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত।

রাজধানীতে কারওয়ান বাজার রেইনি রুফটবে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪-২৫ সেশনের জন্য বিডিজেএ'র কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি বাংলা টিভির এসাইনমেন্ট এডিটর এম এম বাদশাহ ও দীপ্ত টিভির সিনিয়র নিউজ রুম এডিটর ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট নাদিরা জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সানবির রুপল ও নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এশিয়ান টিভির নিউজ এডিটর মাহবুব জুয়েল, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক ঢাকা মেইলের সিনিয়র রিপোর্টার বুরহান উদ্দিন, কল্যান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাসিব মাহমুদ শাহ, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সময় টিভির সিনিয়র ক্যামেরা জার্নালিস্ট মিজানুর রহমান মিন্টু

কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, একুশে টেলিভিশনের চীফ ক্যামেরা জার্নালিস্ট ফারুক হোসেন তানভীর, দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুল ইসলাম, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল রাসেল, দৈনিক সকালের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আলী বাচ্চু।

নির্বাচন পরিচালনা করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিইউজেএ'র সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, বিএফ ইউ জেএ'র যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ক্রাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিইউজেএ'র সাবেক সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন, শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার, রাজনীতিবিদ আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

;

‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’



গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’

‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’

  • Font increase
  • Font Decrease

 

‘আমগো আর ঈদ! পোলাডার লাইগা কিছুই কিনতে পারলাম না, মাইয়াটা ছুডো বুঝেনা এহনো।ঈদে দ্যেশে (গ্রামে) যে যামু টাকা পয়সার অভাবে যাইতে পারমু কিনা জানিনা। ঈদের আগে আইয়া পড়ছে ঘর ভাড়া, পোলাপাইনের বেতন কোন দিক সামলামু?  আমগো আর ঈদ প্রস্তুতি!  কিছুই কিনি নাই।’

কথাগুলো বলছিলেন মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়া বস্তিবাসী রাবেয়া খাতুন। আসন্ন ঈদুল ফিতরের খুশির আমেজ বইতে শুরু করলেও রাবেয়া খাতুন এর সংসারে নেই সে আমেজ। রাবেয়ার স্বামী রাজমিস্ত্রির সাথে জোগাড়ী খাটেন। দুই মাস অসুস্থ ছিলেন কোনো কাজ করতে পারেননি। এখন দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয় তা দিয়ে দুই ছেলেমেয়ে সহ চারজনের পরিবার চলে ছোট্ট এক খুপাড়ি ঘরে। রোজার মাসে ইফতার করেন শুধু ছোলা মুড়ি আর খেজুর দিয়ে।

রাবেয়া খাতুন বলেন, "আমগো আর ঈদ আফা ওসব বড়লোকদের আমগো না। পোলাডা হাফিজি পড়াইতেছি মাদ্রাসায়। নতুন টুপি পাঞ্জাবি দিতে চাইছিলাম হইলো না। যদি কপালে জোটে তাইলে ঈদের দিন ব্রয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু। "

ভোলার চরফ্যাশন এলাকা থেকে জীবিকার তাগিদে ১০ বছর আগে ঢাকায় এসে কাজ শুরু করেন রাবেয়া খাতুনের স্বামী খোকন। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ি হিসেবে কাজ করেন। চারজনের সংসারের দিন এনে দিন খাওয়াই দায় তাদের পরিবারের। তাই ঈদ বা কোন উৎসবে আনন্দের ইচ্ছে থাকলেও সাধ পুরনের নেই সাধ্য।

শুধু রাবেয়া খাতুনই নয়, মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ওয়াসা রোডের এই বস্তির প্রায় শতটি পরিবারের জীবন সংগ্রামের গল্প অনেকটা একই রকম।


সরেজমিনে দেখা গেছে, ওয়াসা রোডের এই বস্তিতে প্রায়ই ৮০ থেকে ৯০টি পরিবারের বসবাস। ছ্যাতছেতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এক একটি রুমের ভেতর থাকেন ৪-৫ জন । প্রত্যেকটি পরিবারের আয়ের উৎস রিক্সা চালানো,দিনমজুর, মাছ কাটা, তরকারি বিক্রি বা অন্যের বাড়িতে কাজ করা। নিম্ন আয়ের এসব মানুষ সারাদিন কাজ করে দৈনিক ৩০০-৪০০ কেউবা ৫০০- ৬০০ টাকা  আয় করেন। এত অল্প আয়ে কোনো রকমের সংসার চালানো দায় এসব মানুষের তাই তাদের নেই ঈদের কেনাকাটা বা কোন প্রস্তুতি।

বস্তিবাসী সালমা বেগম আক্ষেপের সুরে বলেন, "দুইডা মাইয়া আমার ছোটডা ঘরে শুইয়া আছে দেখেন সোনার চান! ওগো লাইগা ঈদে দুইখান ফ্রক ও কিনতে পারি নাই। আমগো আর ঈদ আফা! মাইয়ার আব্বা আমারে বাইরে কাম করবার দেয় না। হেয় সারাদিন মজুরি দিয়া যা আনে তাই দিয়া বাজার কইরা খাই। এখন চারদিক রাস্তা খোড়া বাসা বাড়িতে কাম কাজ কম করাইতাছে তাই জোগাড়ীর কাজ ও কম। নিজের জন্য লাগে না মাইয়াডার দিকে তাকাইলে চোখে পানি আইসা পড়ে!  রমজান মাসে কি কষ্টে দিন কাটাইতেছি সে আমার আল্লাহ জানে। ঈদের বাজার করমু কোন হানতে মজুররে কেউ তো আর বেতন বোনাস দেয় না।"

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হয়েছে। খাদ্য তালিকায় কমেছে আমিষের উপস্থিতি তাই মাছ মাংস খাওয়া যেন বিলাসিতা বস্তিবাসীদের কাছে। সবজির দাম উচ্চ থাকায় তাও ভাগ্যে জোটানো দায় অনেকের। পশ্চিম শেওড়াপাড়া ওয়াসা রোডের বস্তিতে তাই নেই আসন্ন ঈদ উল ফিতরের খুশির আমেজ। বেশিরভাগ পরিবারই ছেলে মেয়েদের জন্য ঈদে কিনতে পারেননি নতুন পোশাক।  ঈদ কিংবা যেকোন উৎসব সবই হার মানে তাদের সাধ্যের কাছে।

;