টিকিট বিক্রির নতুন আইডিয়া নেবে রেলওয়ে
ঢাকা: বছরের পর বছর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদের আগে যেসব দৃশ্যের অবতারণা হয় তা থেকে বের হওয়ার কৌশল আপাতত নেই রেলওয়ের। আগের দিন বা রাত থেকে মানুষের যে লাইনের দেখা মেলে, তা কমানোর সমাধান পেলে যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন রেল সচিব।
দিনে মাত্র ২০ হাজার টিকিটের বিপরীতে ৫০ হাজার মানুষের যুদ্ধ থামাতে নতুন কৌশল পেলে তা কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
রেলমন্ত্রী বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, আপাতত তাদের কাছে নতুন কোনো ভাবনা নাই, ভবিষ্যতে চিন্তা করা হবে।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, টিকিট নিতে গিয়ে যে পরিস্থিতি দাঁড়াচ্ছে তার অবসানে রেলওয়ের কাছে নতুন কোনো ভাবনা নেই, এখন কারও কাছে যদি এরকম কোনো আইডিয়া থাকে, তা রেল ভবনে নিয়ে আসলে যাচাই বাছাই করা হবে।
মন্ত্রণালায়ের ইনোভেশন টিমের কাছে এটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেল সচিব মোফাজ্জাল। নতুন পদ্ধতি কার্যকর হলে আগামী ঈদুল আজহা থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করবেন তারা।
তার সঙ্গে তিনি আরও জানান, রেল টিকিট প্রথাগত যে পদ্ধতিতে মানুষ কাটে সেভাবে না কেটে র্যাপিড পাস কার্ডের মাধ্যমে কাটতে পারে সে প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে রেলওয়ে। এ নিয়ে কাজ চলছে। তখন র্যাপিড পাস কার্ডের বড় একটা ব্যবহার শুরু হবে রেলওয়েতে। চলতি বছরই এটা শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছিলেন, টিকিটের লাইন এড়াতে ব্যাংকের মতো টোকেন পদ্ধতি প্রবর্তন করার জন্য। টিকিট প্রত্যাশীরা টোকেন দিয়ে সিরিয়াল নিয়ে যাবে। কোনো লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তার টোকেনে যে সময় আসতে বলা হবে সেই সময়ে এসে টিকিট সংগ্রহ করবে।
বার্তা২৪.কমকে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলওয়ের কাছে লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো আইডিয়া নেই। আপাতত এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও করা হচ্ছে না, ভবিষ্যতে করা হবে।
রেল টিকিট অনলাইনে ব্যবস্থাপনা ও পুরো টিকিটং কার্যক্রম পরিচালনা করে সিএনএসবিডি। তাদের তথ্যে দেখা গেছে, সকাল ৮ থেকে দুপুর দুপুর ১২টার মধ্যে প্রতি মিনিটে ১০ হাজারের বেশি মানুষ রেলের ওয়েবসাইটে টিকিটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আরও কয়েক হাজার মানুষ সার্ভারে ঢুকতে পারেন না। আর রেলস্টেশনে চলে কয়েক হাজার মানুষের টিকিট যুদ্ধ। এ অবস্থায় নতুন পদ্ধতি খুঁজছে রেলওয়ে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, রেল টিকিটের মাত্র ৬৫ শতাংশ কাউন্টারে, আর বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট মোবাইল ও অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি ৫ শতাংশ ভিআইপিদের জন্য ও ৫ শতাংশ রেলওয়ের কর্মীদের।