অভিযোগ ধর্ষণের, অভিযুক্ত বলছেন সমঝোতা!
ঢাকা: রাজধানীর আসাদ গেইট থেকে শনিবার (৯ জুন) মাহামুদুল হক রনি (৩২) নামে এক যুবককে আটক করে স্থানীয় জনতা। রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ও তার ড্রাইভার এক মেয়েকে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতা রনি ও তার ড্রাইভারকে মারধর করে। সেই মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে দ্রুত ভাইরাল হয় এবং ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়।
পরে শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ রনিকে আটক কর।
রোববার (১০ জুন) রনিকে এ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও প্রকৃত ঘটনা জানা যায়নি।
জিজ্ঞাসাবাদে রনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সংসদ ভবনের খেজুর বাগানের সামনে থেকে দুই তরুণীকে সমঝোতার মাধ্যমে গাড়িতে তুলেন। তাদের নিয়ে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর একজনকে কলেজ গেইট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই তরুণী ধর্ষণের কথা বলে চিৎকার শুরু করে। সেসময় পথচারীরা কারটি আটকায় এবং মারধর করে পুলিশে খবর দেয়।
তবে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্র জানা যায়, কলেজ গেইট দিয়ে রনির গাড়িটি যাওয়ার সময় কয়েকজন পথচারী দেখতে পান, গাড়ির মধ্যে এক যুবক একটি মেয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলেন। গাড়িটি ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেলে পথচারীরা দ্রুত কাছে গিয়ে দেখতে পান অভিযুক্ত রনি মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন। পরে তাকে এবং তার ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উত্তেজিত জনতা মারধর করে।
এ সময় রনির মুখ দিয়ে মদের গন্ধ আসছিল বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিজি বিশ্বাস বলেন, রনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সঠিক তথ্য ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে থানায় আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পেশায় ব্যবসায়ী রনির বাসা জিগাতলায়। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক।