হজে অব্যবস্থাপনায় জিরো টলারেন্স নীতি জেদ্দা হজ মিশনের



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব (জেদ্দা) থেকে: আর মাত্র ১ মাস পর ঢাকা থেকে শুরু হবে হজফ্লাইট। এবার হজপালন করতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজারসহ সৌদি আসছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জন।

নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে হজপালন নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিস। দিনরাত ২৪ ঘন্টা অফিস খোলা রেখে প্রাথমিকভাবে হজ এজেন্সিগুলোকে প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছে এই মিশন।

হজযাত্রীদের সঙ্গে অনিয়ম ও প্রতারণা ঠেকাতে আগেভাগেই কোমড়বেঁধে নেমেছে জেদ্দার হজ অফিস।

জেদ্দার কাউন্সেলর (হজ) মো. মাকসুদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, বাংলাদেশ থেকে আসা নারী হজযাত্রীরা আমার কাছে ‘মা’। এ ছাড়া সন্মানিত সকল হজযাত্রীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ধর্ম মন্ত্রণালয় এখানে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। সৌদি আরবে হজে আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা বিশ্বে চতুর্থ।

হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের আগাম প্রস্তুতির বিষয়টি এখানে প্রশংসিত হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের যে বৈঠক ও চুক্তি হয়েছে, সেখানে আমাদের আগাম ব্যবস্থাপনা আর তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব।

বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীর কোটা ১০ ভাগ বাড়ানোর অনুরোধ করেছি আমরা। সেই প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীদের সঙ্গে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আমাদের নীতি- জিরো টলারেন্স। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয়ের অবস্থানও বেশ কঠোর।

তাদের পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতবার ৪৭টি এজেন্সিকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আমরা ৬'শ ৩৫টি এজেন্সির মধ্যে ১শ' এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এবারও ৫শ'২৮টি এজেন্সিকে আমরা কড়া বার্তা দিয়েছি, হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।

জনসংখ্যার অনুপাতে ইন্দোনেশিয়া,পাকিস্তান ও ভারতের পর হজযাত্রীর সংখ্যায় আমরা এখানে চতুর্থ বৃহত্তম দেশ।

‘অন্যান্য দেশ যেভাবে হজযাত্রীদে গাইড করে আমাদের তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সৌদি আরব এসে অনেকেই গাইডদের পরামর্শ মানতে চান না, নিজেদের মতো চলতে চান; বিপত্তি দেখা দেয় তখনই।’ বলছিলেন জেদ্দার কাউন্সেলর (হজ) মো. মাকসুদুর রহমান।

জনপ্রশাসনের অষ্টম ব্যাচের মেধাবী এই কর্মকর্তা আগে ছিলেন কাতারে। সততা ও একাগ্রতায় তাকে সমীহ করেন এখানকার কমিউনিটির নেতাসহ দেশটির মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এখানে যোগদানের পর থেকেই হজযাত্রীদের হয়রানি, তাদের সঙ্গে প্রতারণা ও অনিয়মের কারণগুলো নিজ তাগিদেই অনুসন্ধান করেন তিনি।

অতীতে এজেন্সির প্রতিনিধির (মোনাজ্জেম) দায়িত্ব পালন না করায় কিংবা তাদের অবহেলায় যাতায়াত, আবাসন ও খাবারসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে হজযাত্রীদের।

হাজীদের ক্রুটিপূর্ণ,চুক্তিহীন বা মানহীন বাড়িতে রাখা, এক বাড়িতে অতিরিক্ত হাজী রাখা এবং মানব পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার সুপারিশেই বাতিল করা হয় অসংখ্য এজেন্সির লাইসেন্স।

হজে আসার আগে হজযাত্রীদের পুলিশ ভেরিভিকেশন নামের "হয়রানি’ তুলে দেওয়া হয় তারই পরামর্শে।

আরবি ভাষায় অত্যন্ত পারদর্শী হওয়ায় কোনো দোভাষী ছাড়াই তিনি সরাসরি কথা বলেন সৌদি আরবের বিভিন্ন মন্ত্রণলয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।

যে কারণে সৌদি সরকারের হজ মন্ত্রণালয়ের মনোভাব তিনি যেমন সহজেই বুঝতে পারেন, তেমনি বোঝাতে পারেন সৌদিতে অবস্থানকালীন সময়ে হাজীদের প্রয়োজনীয় চাহিদার কথাও। বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টিও। আর এভাবে তিনি অন্যদের তুলনায় একটু বাড়তি সুবিধা আদায় করতে পারেন সহজেই।

হজ গাইড সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা এক অর্থে ইমাম সাহেবের মতো। তাদের এ দেশে আসার আগে নূন্যতম তিনটি বিষয় সম্পর্কে ধারনা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

প্রথমত: এখানকার পথঘাট চিনতে হবে, হজের রীতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। একইসঙ্গে আরবি ভাষা জ্ঞানও থাকতে হবে- নচেৎ হজযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হবে।

৭ জন স্থায়ীসহ বর্তমানে ১২ জনের জনবল দিয়েই জেদ্দার হজ মিশনের অধীনে চলছে মক্কা ও মদিনার অফিস। হজ মওসুমে হজযাত্রীদের সেবায় চিকিৎসক, নার্স, আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সহস্রাধিক গাইড নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রনালয়। সেই ছক ধরেই সমন্বয় সাধন করে ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার হজ মিশন। জেদ্দা, মক্কা ও মদিনায় বাংলাদেশের হজ অফিস দিনরাত ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকছে। হাজীদের জন্যে বাড়িভাড়া ছাড়াও সৌদি সরকারের নিয়মানুযায়ী দেশের বৈধ হজ এজেন্সির মোনাজ্জেমরা (হজ এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি যিনি সৌদি আরবে দাপ্তরিক কার্যাবলী করবেন) সৌদি আরবের মোয়াল্লেমদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজটিই করছেন এই হজ মিশনের মাধ্যমে।

জাতীয় হজনীতির আলোকে হজ এজেন্সিগুলোকে হজযাত্রীদের হজের আরকান, সৌদি আরবের আইন কানুন, ভ্রমণের নিয়ম- কানুন, নাগরিক জ্ঞান,ব্যাগেজ রুল প্রভৃতি বিষয়ে নিজ উদ্যোগে জানার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি কাউন্সেলর (হজ) মো. মাকসুদুর রহমান।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;