সৌদি থেকে মৃত দেহ আনার প্রক্রিয়া জটিল, প্রয়োজন সচেতনতা!



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব(মক্কা) থেকে: সুন্দরভাবে ওমরাহ পালন শেষে অপার পার্থিব আনন্দ নিয়ে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেদ্দায় বিমান বন্দর থেকে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে উড়োজাহাজে আরোহন করবেন, সেই মুহূর্তে জীবনের আয়ু ফুরিয়ে এলো। আবার এমনও হয়েছে, উড়োহাজাজ ঢাকার উদ্দেশে টেক অফ করবে। সে মূহূর্তে একজন ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। তার নিথর দেহটি এখানে রেখেই যেতে হলো স্বজনদের।

হঠাৎ করে জীবনের দূয়ারে হানা দেয়া এমন শত শত মৃত্যুর ঘটনার করুণ সাক্ষী আমরা। অনাকাঙ্খিত এই মত্যু আমাদের ব্যথিত করে। তবে এটা কঠোর এক বাস্তবতা।

নিজ দপ্তরে বসে বার্তা২৪.কমকে এমনটিই বলছিলেন সৌদি আরবের জেদ্দার বাংলাদেশ মিশনের কনস্যুলর (হজ) মো. মাকসুদুর রহমান।

তিনি বলেন, পবিত্র কাবা ঘরে এলে আমাদের যে কোন মূহূর্তে মৃত্যু হতে পারে তেমন মানসিক প্রস্তুতি সকলেরই নেয়া প্রয়োজন। কারণ, এই ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে যারা পড়েন, একমাত্র তারাই মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারেন প্রবাসে মরদেহ নিয়ে স্বজনদের বিড়ম্বনা।

শেষ রমজানের দিকে মায়ের মৃতদেহ নিয়ে এমনই জটিল বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয় ঢাকার মোহাম্মাদপুর বাঁশবাড়ী এলাকার বাসিন্দা দাউদ হোসেনকে।

মা সাহিদাকে নিয়ে ওমরাহ পালন করতে আসেন দাউদ। এক পর্যায়ে মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে নেয়া হয় কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার মাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সৌদির প্রচলিত নিয়ম-কানুন না জানায় বেশ বিপাকে পড়তে হয় দাউদ হোসেনকে।

তিনি জানান, এখানে হাসপাতালে মায়ের মরদেহ দেখার আগে ওরা নিশ্চিত হতে চায় প্রকৃতপক্ষে আমি তার স্বজন কি-না। আমাদের এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুতি ছিল না। তাই এদিক-সেদিক দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে। ভাবছি যারা একেবারে গ্রাম থেকে আসেন তাদের অবস্থা তাহলে কতটা ভয়াবহ। তবে হ্যাঁ নিয়মকানুন জানলে আবার এখানে সবকিছুই সোজা। 

কারো এখানে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে নেয়ার প্রক্রিয়াটাও বেশ জটিল। বিশেষ করে হজে এসে মারা গেলে মরদেহ দেশে নিতে সময় লাগে তিন থেকে চার মাস। তার চেয়ে অনেকে এখানেই দাফন করাটাকে উত্তম বলে মনে করেন। তারা এই পবিত্র ভূমিতে প্রিয় স্বজনের সমাধি হবার বিষয়টিকেও ধর্মীয় চেতনায় বেশ গর্বের বলে মনে করেন। অনেকে আবার অসিয়ত করে যান মৃত্যু হলে যাতে তার সমাধি হয় দেশে। তাদের মরদেহ দেশে পাঠানোটাই বেশ দূর্ভোগের।

কেউ এখানে মারা গেলে প্রথমত, হাসপাতাল থেকে মরদেহ ছাড়িয়ে আনতে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট মোনাজ্জেম বা মোয়াল্লেমের (হজ এজেন্ট) প্রত্যায়নপত্র।

সেটা নিয়ে স্থানীয় হজ মিশনে গেলে সেখান থেকে আরেকটি পত্র প্রদান করা হয়। এসব কাগজপত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে তবেই দেবে মৃত্যুর সনদ।

তারপর মরদেহ নিতে অনাপত্তির কাগজ পেলে মরদেহ নেয়া হবে মসজিদ আল হারামে। সেখানে প্রতি ওয়াক্তের নামাজ শেষেই জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে দাফনের ব্যবস্থা করে এখানকার কর্তৃপক্ষ।

মো. মাকসুদুর রহমান জানান, এই প্রক্রিয়াগুলোর সাথে অনেকের পরিচয় না থাকলে এ দপ্তর-ও দপ্তরে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে হয়রান হতে হয়। পেরেশান হতে হয়, এর মধ্যে ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় অগত্য মরদেহের দাফনের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত না করেই ফিরে যেতে হয় অনেককে।

হজ মিশনের এই কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালে হজে এসে মারা গেছেন ১৬২ জন বাংলাদেশী। এবারও ওমরাহ করতে গিয়ে সৌদি আরবে মারা গেছেন ২০ জনের মতো।

আমাদের নির্দেশনা রয়েছে, সন্মানিত কোন হাজী মারা গেলে প্রয়োজনে অফিস খুলে তার জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে তৈরি করে দিতে হবে। এ ব্যাপারে মিশন অত্যন্ত আন্তরিক।

তবে অনেকেই প্রক্রিয়াগুলো সঠিক সময়ে অনুসরণ করতে পারেন না বলে মরদেহ দাফনের প্রক্রিয়া শেষ করতে ৭/৮ দিন সময় লেগে যায়।

কখনো দেখা যায়, ঢাকায় এজেন্সির সাথে সে যোগাযোগই করতে পারছেন না। আবার কোথায় কি করতে হবে সেটাও ভালোভাবে বুঝতে পারেন না। সেটাও একটা সমস্যা। তাই ওমরাহ করতে আসার আগে প্রত্যকের উচিৎ মৃত্যু নিয়ে একবার অন্তত ভাবা। কারণ কার কখন কোথায় মৃত্যু তা মহান আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তার গাইড কে, সৌদিতে তার স্থানীয় মোনাজ্জেম কে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর প্রভৃতি বিষয়ে অবগত থাকাটা অত্যন্ত জরুরী-জানান মিশনের এই কর্মকর্তা।

   

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। 

 

 

 

 

 

;

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী “বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

;