জিসিসি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিই বড় চ্যালেঞ্জ



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: মঙ্গলবার (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু কাঙ্খিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা যেমন ইসির জন্য 'এসিড’ টেষ্ট তেমনিভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও প্রেস্টিজ ইস্যু। কেননা, এই নির্বাচনই বলে দেবে জাতীয় নির্বাচনের কোন পথে যাবে তার ভবিষ্যৎও। 

ইতোমধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু যাদেরকে ঘিরে আয়োজন, সেই ভোটারা আদৌ কতটা স্বত:স্ফুর্ত।

ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন তো? সময় যতই গড়াচ্ছে এই প্রশ্ন বড় করে দেখা দিয়েছে।নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষতরাও মনে করছেন জিসিসি নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে আনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

’ভোট চুরি ও ভোট ডাকাতি করে কেউ জিততে পারবে না। আমরা এই চুরির দায় নিতে চায় না। নির্বাচন যেন স্বচ্ছ হয়, নির্বাচন নিয়ে যেন কেউ কথা বলতে না পারে।’ সম্প্রতি গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন বক্তব্য দেন।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ’ভোটাররা ভোট দিতে না এলে দায় আপনাদেরকেই নিতে হবে।’

এর পরদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, অন্যথায় ইসির পদত্যাগ করতে হবে। এমনকি তিনি ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ’ভোট’ প্রয়োগে আহবান জানান। 

প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন দেয়া হবে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী পরিবেশ ইতোমধ্যে বৈরী হতে শুরু করেছে। পোলিং এজেন্টদের ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে বলে বিএনপি থেকে অভিযোগ আছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ তাদের সকল নেতাকর্মীদের কেন্দ্র গুলো দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সুতরাং সরকার যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে ভোট সুষ্ঠু হবে না। শুধু তাই নয়, ভোটাররা কতটা স্বতস্ফুর্তভাবে কেন্দ্রে আসে তা বলাটা মুশকিল।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী এলাকায় সকল কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আমি মনে করি, কোন দল যদি এককভাবে নির্বাচন করতে চায় তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হবে। বিশৃঙ্খলা তৈরী হলে জনগণ অর্থাৎ ভোটাররা সেখানে স্বত:স্ফুর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে আসবে না।

ইসি, পুলিশ প্রশাসন ও সকলে মিলে চেষ্টা করছে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার। তবে ঝুঁকি থাকলে কেউ জীবন বাজি রেখে ভোট দিতে আসবে না। এজন্য ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনাই হলো বড় চ্যালেঞ্জ- এ সিটি নির্বাচনে বলে জানান তিনি।

আগামীকাল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে যে ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে জনগণ অবাধে পছন্দানুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে এমন কোন পরিবেশ এখনও দৃশ্যমান নয়। জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কা আরও গভীরতর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী।

আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪কে বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ ভালো। তবে আমরা চেষ্টা করছি ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। জনগণ স্বত:স্ফুর্ত আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কি-না তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বার্তা২৪কে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে সরকার দলীয় প্রার্থী তাদের দলীয় ক্যাডার দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না পারে সেজন্য নানা ফন্দি ফিকির তারা করছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নেতাকর্মীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আশা করছি সরকার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করবে। এমনটি হলে বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

   

র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) তাকে দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত র‌্যাব ১১ জন মুখপাত্র পেয়েছে। আরাফাত ১২তম মুখপাত্র হলেন।

দীর্ঘ তিনবছর মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা মঈন গত বৃহস্পতিবার নিজ বাহিনীতে ফেরত যান। এর আগে তিনি ২০২১ সালের ২৫ মার্চ র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হন।

জানা গেছে, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বর্তমানে র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতবছরের জানুয়ারিতে তিনি ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব পান। ২০২২ সালে তিনি প্রেষণে র‌্যাবে আসেন। নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা ১৯৯৫ সালে বাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। পেশাগত জীবনে আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

পেশাগত জীবনে তিনি নৌবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি নৌবাহিনী প্রধানের প্রশংসা, ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশনসহ নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হন। তাছাড়া পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ৩৪টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও দুই কন্যা সন্তানের জনক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫১০ পিস ইয়াবা, ১০ কেজি ৪০০ গ্রাম ৪০ পুরিয়া গাঁজা, ১৫১ গ্রাম হেরোইন ও ৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর, নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত রানা প্লাজা ধ্বসের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ-১, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ভবন ধ্বসের ঘটনায় আহত শ্রমিক ও নিহতের স্বজনেরা। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সাভার বাজার স্ট্যান্ড সংলগ্ন ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে এই শ্রদ্ধা জানান তারা। এসময় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকরা ভবন মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। পাশাপাশি আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দাবি করেন।

এদিকে, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

;

মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যহত হচ্ছে কৃষি কাজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরে সকাল থেকেই তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়ছে জনজীবন। কয়েকটি জেলার মত মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব তাপপ্রবাহ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার আবহাওয়া অফিস।

এদিকে রোদের তীব্রতায় ক্ষেত খামারের কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পেয়ে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা।

চাষিরা জানান, বৈশাখ মাঠের আবাদ হিসেবে পাট ও সবজি বীজ বপন এবং বোরো ধানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছে। তবে সকাল ১০ টার পর থেকে মাঠে অবস্থান বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

এছাড়া জেলাজুড়ে ভুট্টা ও তামাক ঘরে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রচণ্ড গরমে রোদের মধ্যে কাজ করতে চাইছেন না শ্রমিকরা। কাজের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক। দুয়েকজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও তারা দিনের পুরো সময় কাজ করতে নারাজ। রোদ ও গরমে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক শ্রমিক ও চাষি। কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় পানি পান করেও মিলছে না স্বস্তি। বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার চেষ্টা হলেও তাতে মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ।

;