তবুও চ্যালেঞ্জ নিয়েই টিকে থাকতে চান রুস্তম আলীরা
সৌদি আরব (মদীনা) থেকে: সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে বেশ ভালোই ছিলেন মাওলানা রুস্তুম আলী কাসেমী (৪২)।
মাসে আয় ছিলো লাখ টাকার বেশী। আরো ভালো থাকার আশায় ৫ মাস আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন মধ্য প্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবে।
রহমতের নগরী মদিনায় এসে বেশ বিপাকেই পড়েছেন তিনি। কাজ নেই, প্রতিদিন নিরূপায় প্রবাসীদের দেশে ফেরা,নানা সংকটে প্রবাসীদের হাবুডুবু খাওয়া- এমন চিত্র দেখে পুরোপুরিই হতাশ রুস্তুম আলী কাসেমী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে রুস্তুম আলী কাসেমী।
আরবীতে মাষ্টার্স। ভাগ্য অন্বেষণে ১১ বছর আগে পাড়ি দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলো ঝলমলে নগরী দুবাইতে। একটি গাড়ির শো রুমে কাজ করতেন। আয়ও ছিলো বেশ।তবে আরো ভালো থাকার আশায় পাড়ি জমান সৌদি আরবে। প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ করে এখানে এসে বিপাকেই পড়েছেন তিনি।
গত ৫ মাস ধরে আয় রোজগার বলতে তেমন কিছু নেই। চেষ্টা করছেন মদীনাতেই উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে।
বাঙালী মার্কেট এলাকায় একটি খেজুরের দোকানে আপাতত ব্যবসার গতি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি।
মাওলানা রুস্তুম আলী কাসেমী বার্তা২৪.কমকে জানান, এখানে এসে যা দেখছি, তা মোটেও সুখকর নয়। চারপাশে অদৃশ্য হাহাকার।বিশেষ করে, প্রবাসীদের মাঝে। ক্ষুদ্র থেকে মাঝারী বা বৃহৎ উদ্যোক্তাদের কেউ শান্তিতে নেই।
সরকারের সৌদিকরণ নীতির কারণে প্রবাসীদের এখানে ব্যবসা বানিজ্য করে টিকে থাকাই মুশকিল।
আরবী বছরের শুরু আসছে মুহাররম মাস থেকে একটি খেজুরের দোকান নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
এই দোকানের বর্তমান মালিক বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে ব্যবসা ছেড়ে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। তার সাথে আলাপ আলোচনা চলছে।
যার ব্যবসা তিনিই টিকতে পারছেন না। আপনার টিকে থাকার কৌশল কি হবে?
রুস্তুম আলী বলেন, আপাতত কিছুই বলতে পারছি না। দেখা যাক কি হয়। তবে এত টাকা খরচ করে যেহেতু চলেই এসেছি তখন তো চ্যালেঞ্জ একটা নিতেই হয়। এর বিকল্পই বা কি আর আছে- যোগ করেন মাওলানা রুস্তুম আলী কাসেমী।