পদ্মার আরও তিন পিলার প্রস্তুত; স্প্যান এখনও চীনে
ঢাকা: দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মাসেতুতে কাজ চলছে দিনরাত। এ হিসেবে স্প্যান একটির পর আরেকটি ওঠার কথা। কিন্তু মাঝখানে ২২টি পিলারের গভীরতা ঠিক করতে দেরি হওয়ায় পরবর্তী স্প্যান বসতে দেরি হবে। এখনও আরও দুটি পিলার পুরোপুরি প্রস্তুত থাকার পরও স্প্যান দেশে না আসায় সেতুর অন্য কাজে মনোযোগ দিতে হচ্ছে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে এখন দৃশ্যমান কেবল জাজিরা পাড়ের ৬ টি খুঁটিতে বসানো ৫ টি স্প্যান। যা পৌনে এক কিলোমিটার নদীর ওপর। তবে এসব স্প্যানের ওপর গাডার বসানো ও পিচ তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। এগুলো শেষপর্যায়ে করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, ‘কাজ কোন সময়ই আটকে থাকছে না। কারণ ৪২টি পিলারের যে ২৭২ টি পাইল তার ১৫০ টি ড্রাইভ হয়ে গেছে। এ ড্রাইভিং কাজ কিন্তু কোন সময়ই থামছে না।
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া ও নদী প্রকৃতি সব মেনেই কাজ করতে গিয়ে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তখন তার সমাধান করে আবার কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পের মূলসেতুর দায়িত্বরত প্রকৌশলরা জানান, মাওয়া প্রা্ন্তে এখনই দুটি স্প্যান উঠানো সম্ভব। কিন্তু যে স্প্যান এখন কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে সেগুলোর এখনও পিলার প্রস্তুত হয় নি। সেতুর ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর পিলার স্প্যানের অপেক্ষায় আছে। এ দুটি স্প্যান এখনও চীনে রয়েছে। এজন্য কাজ থামছে না। অন্য পিলারগুলো যেমন ১, ২, ৯, ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭ নম্বর পিলার গড়ে তুলতে ড্রাইভিংসহ আনুষঙ্গিক কাজ চলমান রয়েছে।
পদ্মাসেতু প্রকৌশলীদের একজন বলেন, সাড়ে ৬ কিলোমিটার পদ্মাসেতুকে ৭টি ভাগে ভাগ করা। ৭ নম্বর ভাগের কাজ সবার আগে শেষ হয়েছে। বাকি ৬ ভাগের মধ্যে ১ নম্বর ভাগের কাজ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। আর বাকিগুলো পিছিয়ে।
‘‘এখন থেকে পরবতী দু’মাস হয়তো স্প্যান না থাকায় উঠানো হবে পিলারে কিন্তু এরপর একটি পর একটি স্প্যান উঠিয়ে শেষ করা যাবে না’- বলছিলেন সেতুর সুপারস্ট্রাকচার প্রকৌশলী।
তিন বছর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ শুরু হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ করা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আরও ২ মাস পরে ঠিক বলা যাবে কবে শেষ হবে পদ্মাসেতুর কাজ।
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ চলছে।