গণহত্যার বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ে কাজ চলছে, ২০ রাষ্ট্রের সমর্থন



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা দিবস হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ের দাবি ক্রমেই জোড়ালো হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আজ রাত ৯টা থেকে এক মিনিট পুরো দেশে বাতি নিভিয়ে কর্মসূচি পালন করা হবে। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর পর থেকে সেই তারিখ বদলে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গণহত্যা দিবসের বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোড়ালোভাবে কুটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার জন্য জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করা হয়েছে। ২০টি দেশ এসব তথ্য-প্রমাণ হাতে পেয়ে বাংলাদেশের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোরও সহযোগিতাও চাওয়া হচ্ছে। আশা করছি দুই বছরের মধ্যে আমরা স্বীকৃতির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাবো। ১৯৪৮ সালে গৃহীত জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড পানিশমেন্ট অব দ্য ক্রাইম অব  জেনোসাইড’-এ গণহত্যার যে পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ আছে তার একটি বাদে সব অপরাধই মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে- কোনো গোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা, জীবনমানের প্রতি আঘাত ও শারীরিক ক্ষতিসাধন, শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিসাধন, জন্মদান বাধাগ্রস্ত করা এবং শিশুদের অন্য গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া। এই পাঁচটি বৈশিষ্ঠের কোনো একটি থাকলেই সে ঘটনা গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত হবে। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি  সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হোক।’ এর পর ২০ মার্চ মন্ত্রিসভার  বৈঠকেও ২৫ মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' ঘোষণার বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। পরদিন ২১ মার্চ জারি হওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে দিবসটিকে 'ক' শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমাদের প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ধরে চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টায় জোর দেওয়া। অথবা ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চালানো হত্যাযজ্ঞকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করা। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে হবে একাত্তরের যুদ্ধটি পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ নয় বা এটা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কোনো যুদ্ধও নয়। এই যুদ্ধটা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ। বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তান এবং তাদের এ দেশীয় দোসরদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে আরো বেশি একাডেমিক গবেষণা দরকার। কানাডা ও আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত নির্মম গণহত্যার বিষয় নিয়ে পড়ানো ও গবেষণা হচ্ছে। এগুলোকেও আমাদের তথ্য উপাত্ত হিসেবে কাজে লাগানো উচিত। তাহলে আমরা সহজেই আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী বলেন, ‘এখনো আমাদের করণীয় অনেক কিছুই আছে। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর মাত্র ৯ মাসে এতো বেশি সংখ্যক মানুষ হত্যার ঘটনা অন্য কোথাও নেই, তাই আমাদের প্রথমে প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিটা অর্জন করা। সেটা হলেই পরবর্তী প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাবে। এই বিষয়ে সরকার কুটনৈতিকভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। আমরা প্রথমে নয় মাসের স্বীকৃতি অর্জন করতে পারলে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি পাওয়া খুব একটা কঠিন হবে না।’ ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. এম এ হাসান বলেন, ‘আমরা ২০০১ সাল থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির জন্য ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে আসছি। টানা তিন বছর আবেদনের পর ২০০৪ সালে তারা জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ তথ্য প্রমাণসহ আবেদন করতে হবে। এরপর বিএনপি জামায়াত সরকার বিষয়টা নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু পরবর্তীতে এই সরকারও যথা সময়ে সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেনি। ২০১২ সালেও সরকার আবেদন করতে পারেনি। এরই মধ্যে ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যদিয়ে আমাদের স্বীকৃতির সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। আমরা যথা সময়ে যথা কাজটা করতে পারিনি। সেই ট্রেন চলে গেছে। আমরা সেই ট্রেন ধরতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের উচিৎ হবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে অথবা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ধরে যে গণহত্যা চলেছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া।
   

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা, 'পাচারকারী' আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় মনোরউদ্দিন নামে এক যুবককে ৭০ লাখ টাকা মুল্যের ৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক পাচারকারী মনোরউদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শরীরের পায়ু পথে লুকিয়ে স্বর্ণপাচারের কথা স্বীকার করলে এ স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়।

বিজিবি জানান, গোঁপন একটি তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পাচারকারীরা স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। এক পর্যায়ে রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইজিবাইক চালিয়ে সীমান্তের দিকে প্রবেশের সময় তাকে ধরা হয়। এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বাজারে রজনী ক্লিনিকে শরীর স্ক্যানিং করে পায়ুপথে ছয় পিস সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭০০ গ্রাম। এবং যার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার সোনাসহ এক পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার সোনার চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

;

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই আজকের এই আয়োজন। আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

গাজীপুরে চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।

অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহাড়া বসিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন। গ্রামবাসী গরুর চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়বাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে একজনসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আরো চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে জানতে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

;

পুলিশের সোর্সকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২১ সালে পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে চাকু মেরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলমগীর (৩১) ও মো. রাজিব (২২)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) র‍্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকায় পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি আলমগীর ও রাজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মিলে গ্রেফতাররা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় যারাই বাধা সৃষ্টি করতো, তাদেরকে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতো। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স নিহত আসিফ আসামি জিন্নাত আলীর কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়।

এতে গ্রেফতার আলমগীর ও রাজিবসহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় প্রধান আসামি জিন্নাত এবং তার সহযোগী গ্রেফতার আলমগীর ও রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়।

এএসপি শামীম হোসেন আরও বলেন, এরপর তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে। আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়াস্থ সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে আসামাত্র আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে জাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। এ সময় আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় আসিফকে তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখপূর্বক ৫/৬ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এএসপি শামীম হোসেন বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান হত্যাকারী জিন্নাত আলী এবং তার এক সহযোগীকে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর র‍্যাব-৩ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ১৬৪ ধারায় জিন্নাতের জবানবন্দিতে গ্রেফতার আলমগীর এবং রাজিব এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে।

;