শোলাকিয়ায় জঙ্গি হানা: ২ বছর পরও রক্তাক্ত স্মৃতি শঙ্কা জাগায়



মায়াবতী মৃন্ময়ী, অতিথি লেখক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কিশোরগঞ্জ থেকে: তারিখটি ছিল ৭ জুলাই। ২০১৬ সাল। দিনটি ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকাল বেলা জঙ্গি হামলায় প্রকম্পিত হলো শান্ত কিশোরগঞ্জ শহর। মারা গেলেন পাঁচ জন। দেশের বৃহত্তম ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে সমবেত লাখ লাখ মানুষ স্তম্ভিত। শোলাকিয়ায় জঙ্গি হানার ২ বছরেও রক্তাক্ত স্মৃতি শঙ্কা জাগায় জনমনে।

২ বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনো তাড়া করে মানুষকে। ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রায় দুই শ’ বছরের ইতিহাসে এমন নাশকতার ঘটনা কোনদিন ঘটে নি। কিশোরগঞ্জের মানুষ এমন হামলার সম্মুখীন কখনো হয় নি।

২ বছর আগে ঈদ জামাতের প্রাক্কালে সংঘটিত রক্তাক্ত ঘটনার স্মৃতিচারণে সেদিনের জামাতের ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আবদুর রউফ আজো বিহ্বল ও শিহরিত হন।

/uploads/files/JDePeOlihxejPZFnuERJDCZJKnPcwGkduJECetsF.jpeg

'জঙ্গি হামলার সময় কী করছিলেন তিনি', বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সেসব কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন।

শোলাকিয়ায় সাধারণত ঈদের জামাত পড়ান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজের আগে শোয়াইব বিন আবদুর রউফ ৪০ মিনিট বয়ান বা আলোচনা করেন। সেদিন ছিল মাঠের ১৮৯তম জামাত। সে জামাতের পূর্বে বয়ানের মাঝখানেই তার ভাই গণমাধ্যমে খবর পেয়ে একবার মুঠোফোনে বলছিলেন, 'শোলাকিয়ায় গণ্ডগোল হচ্ছে।' কিন্তু তিনি গা করেননি। তিনি দেখেন, মাঠের পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক। তিনি বেশ আগে বক্তৃতা শুরু করেন, কিন্তু যখন দেখলেন নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও কেউ তাকে বক্তৃতা থামাতে বলছেন না, কিংবা ইমাম আসছেন না, তখন তার প্রথম সন্দেহ হয়। তিনি পেছনের দিকে তাকালে সেখান থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তৃতা চালিয়ে যেতে ইশারা করেন।

হাফেজ মওলানা শোয়াইব আবদুর রউফ শোলাকিয়া মাঠে ঈদের দিনের ঘটনার বর্ণনাকালে জানান, শোলাকিয়া মাঠের নিয়োগপ্রাপ্ত দ্বিতীয় (বিকল্প বা প্যানেল) ইমাম আমি। শোলাকিয়ার মূল ইমামের অনুপস্থিতে আমি ঈদ জামাতের ইমামতি করি। বস্তুত আমি, কিশোরগঞ্জের বড়বাজার এলাকার শাহাবুদ্দীন মসজিদের ইমাম এবং স্থানীয় জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।

বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, 'ঘটনার তাৎপর্য বুঝতে পেরে ও অন্যদের পরামর্শ অনুসারে নামাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা হয়। এরপর খুতবা ও দোয়াও একইভাবে সংক্ষিপ্ত করে শেষ করা হয়। কেননা, এ ঘটনার কোনো আঁচ যদি মাঠের কোনো অংশে পড়ত, তবে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।'

মাওলানা শোয়াইব আবদুর রউফ বলেন, 'পবিত্র কোরআনে সুরা মায়েদায় আল্লাহ তাআলা বলেছেন, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা। সুতরাং, ধর্মের নাম নিয়ে কেউ এই ধরনের হত্যাকাণ্ড চালালে তা কোনোভাবেই ধর্মসিদ্ধ নয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।'

তিনি বলেন, ‘সকাল নয়টা থেকে নয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আমার বয়ান (বক্তৃতা) করার কথা। বয়ান শুরু করলাম আরও ১০ মিনিট আগে। কিন্তু নয়টা ৪৬ বেজে গেল, হুজুর (মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ) আসেননি, আমাকেও কেউ বয়ান থামাতে বলছে না। আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমাকে ইশারা দেওয়া হলো, বয়ান চালিয়ে যান। এ সময় প্রথম সন্দেহ হয়, কোথাও কিছু একটা সমস্যা হয়েছে।’

মাওলানা শোয়াইব আবদুর রউফ এভাবেই ১০টা পর্যন্ত বয়ান চালিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। মনে হলো তারা নামাজের জন্য প্রস্তুত। এমন অবস্থায় আমি বক্তৃতা শেষ করে পেছনের দিকটায় গেলাম। সেখানে ডিসি (জেলা প্রশাসক) সাহেবের সঙ্গে অন্যদের কথোপকথন থেকে বুঝলাম ঝামেলা হয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত হলো যে যথাসময়েই নামাজ হবে।’

যখন শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ বয়ান করছিলেন, তখন শোলাকিয়া মাঠের আধা কিলোমিটারের মধ্যে আজিমউদ্দীন হাইস্কুলের কাছে সবুজবাগে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি চলছিল। মাঠে অনেকেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন। অনেকে পরিবার-পরিজনের ফোনে বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু আবদুর রউফ ছিলেন অন্ধকারে। নামাজ শুরু হওয়ার মিনিট ১৫ আগে কোনো একটা সমস্যার আঁচ পান তিনি। তবে সেটা যে এতো ভয়াবহ ছিল, বুঝতে পারেন নি তিনি।

দীর্ঘক্ষণ ধরে হামলা চলেছিল সে দিন', বার্তা২৪.কমকে বলেন স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ ভৌমিক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অনেক বাড়ির দেয়ালে গুলির চিহ্ণ ও ক্ষত দেখা যায়। যে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর গুলি ঢুকে প্রাণ হারান ঝর্ণা রাণী ভৌমিক, সেখানে তার ছবিসহ স্মৃতিস্মারক বানানো হয়েছে। সামনের সড়কটির নামকরণও করা হয়েছে তার নামে।

/uploads/files/OImQEyhZayYKfxEyhItzdCVWeUo9rdqDgg85V2wZ.jpeg

শোলাকিয়া মাঠের কাছে বিস্ফোরণের পর ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ মাঠে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টার থেকে নামেন। সেখান থেকে মাঠে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তাকে সার্কিট হাউসে যেতে হয়। এর মধ্যে ঈদের নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় বিকল্প ইমাম শোয়াইব বিন আবদুর রউফ
নামাজ পড়ান।

শহরের পূর্বপ্রান্তের প্রায়-গ্রামীণ এই আবাসিক এলাকায় এমন সন্ত্রাসী ঘটনার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি। পুরোটা সময় এলাকাবাসী আতঙ্কের গর্ভে নিমজ্জিত ছিল। সিনিয়ার সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ ছিলেন সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, 'লাখ লাখ মুসুল্লী শোলাকিয়া মাঠে অপেক্ষা করছিলেন। তখন সকাল ৮.৪০ মিনিট। এমন সময় জঙ্গি হামলা হয় মাঠে আসার পথে সবুজবাগ এলাকায়। পুলিশের সাহসিক আত্মত্যাগে জঙ্গিরা পরাস্ত হয় এবং নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়। পুলিশসহ সেদিন মোট পাঁচ জন নিহত হন।'

এ জঙ্গি হামলার ঘটনার পরের বছরগুলোতে শোলাকিয়ার ঈদ জামাতের প্রাক্কালে নিরাপত্তার প্রশ্নটি সবচেয়ে গুরুত্ব পায় সর্বমহলে। দেশের বৃহত্তম ঈদগাহের ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে শান্তি ও নিরাপত্তার দিকে প্রশাসন মনোযোগী হয়। নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় এবং ঈদের দিন শোলাকিয়ার আকাশে উড়ে ড্রোন, যাতে সংস্থাপিত ক্যামেরা দিয়ে পুরো নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়


২০১৬ সালের ঘটনার পর নিহত ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের এক ছেলেকে চাকরি দেয়া হয় সরকারের উদ্যোগে। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার বার্তা২৪.কমকে বলেন, '২ বছরেও জঙ্গি হামলা ঘটনারটির বিচার সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই অতিদ্রুত এই সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার হোক।' জানা গেছে, জঙ্গি হামলার ২ বছরেও চার্জশিট তৈরি হয় নি।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;