ঢাবি প্রশাসনে ‘নিষ্ক্রিয়তা’ প্রশ্ন প্রতিশীল ছাত্র জোটের
ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
রোববার (৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নিকট একটি ‘স্মারকলিপি’প্রদান করে বাম ছাত্র সংগঠন নিয়ে গঠিত প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এই জোটে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিকট স্মারকলিপি জমা দানের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি উপাচার্য কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
তাদের চারদফা দাবি মধ্যে রয়েছে, সন্ত্রাস সহিংসতা ও দখলদারিত্ব মুক্ত শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, আটককৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে ।
এই ‘স্মারকলিপিতে তারা বলছেন, দিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালালেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিস্ক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ছাত্র শিক্ষকসহ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডি ব্যর্থ হয়েছে।
`গত ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে ও শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মরিয়ম নামে এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের হুমকি দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ঘটনাকে ‘চরম’ দমনমূলক পরিস্থিতি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে ছাত্রজোটের নেতারা। স্মারকলিপিতে, ছাত্রলীগ এভাবে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে শিক্ষাঙ্গণের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করে চলেছে। বাক,ব্যক্তি ও মতামত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। এরকম চরম দমনমূলক পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি। উদ্ভুত পরিস্থিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জ্বিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।